সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কোনো দস্যুতা বা ডাকাতি নয়। পরিচিতজনরাই তাঁদের খুন করেছে। রুনি ও সাগর কিছু সময়ের ব্যবধানে আগে ও পরে খুন হয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক বিরোধ ও পেশাগত বিরোধ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এ তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই তদন্ত করছে থানার পুলিশ ও গোয়েন্দারা।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তাঁরা হত্যাকাণ্ডের অনেক ক্লু পেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আসামি গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। যদিও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ খুনিদের বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেয়নি।
বিস্তারিত:
click here
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনি হত্যাকাণ্ডের পর ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও রোববার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ ও র্যাবের গোয়েন্দারা তদন্ত চালালেও গ্রেপ্তার করা হয়নি কাউকে।
এ মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, “দুই পরিবারের সদস্যদের কাছে মামলা করার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত তাদের কেউ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেননি। ”
ওই হত্যা রহস্যের কিনারা করতে তদন্ত চলছে জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, “সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো অগ্রগতি হয়নি। ”
শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।
ওসি জাকির হোসেন বলেন, দুই পরিবারের সদস্যদর সঙ্গে রোববারও কথা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সাগর-রুনির বন্ধু-বান্ধবদের সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাগর ও রুনির মোবাইল ফোন নিয়েও কাজ চলছে বলে জানান ওসি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ হত্যাকাণ্ড কি কারণে ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে- সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলার সময় এখনো আসেনি।
”
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক এম সোহায়েল জানান, তাদের একাধিক দল এ ঘটনার তদন্তে কাজ করছে।
“তবে উল্লেখ করার মতো কিছু পাওয়া যায়নি’, বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মারুফ হাসান, তেজগাঁও জোনের উপ কমিশনার ইমাম হাসান এবং গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মাহবুবুর রহমান রোববার সকালে ঘটনাস্থলে যান।
মারুফ হাসান বলেন, “তদন্ত চলছে। যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারেরও চেষ্টা চলছে।
আশা করি, অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের, গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা যাবে। ”
দুপরে সচিবালয়ে এক বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা (পাগল-বুদ্ধি প্রতিবন্ধী) খাতুনও একই কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “যেভাবেই হোক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার হোতাকে ধরা হবে। আশা করি, তাদের ধরা পড়তেই হবে”, বলেন সাহারা।
ঘটনার পর প্রাথমিক তদন্তের পর র্যাবের গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ওই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং খুনিরা নিহতদের পরিচিত বলেই ধারণা করছেন তারা।
এছাড়া লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, আঘাতের ধরন দেখে তার মনে হয়েছে হত্যাকারীরা অপেশাদার।
আসলে ফলাফল শুন্য অথবা প্রশাসন বিশেষ করে পু---লি---শের সর্বশেষ অস্ত্র কিছু নিরীহ মানুষকে ফাসিয়ে দেয়া সেটাই হয়ত হবে । । । ।
। । ।
Click Here All
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।