আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ প্রতিদিনের হলুদ সাংবাদিকতার শিকার মোহাম্মাদ আরাফাত কোথাও সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু হিসাবে বিজ্ঞপ্তি দেন নি ।

বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত মোহাম্মদ এ আরাফাত কে নিয়ে ভ্রান্ত, মিথ্যা এবং বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাম্পানের আহ্বায়ক ওমর ফারুক শিকদার। প্রতিবেদনটিতে পলিটিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন ‘সাম্পান’ এবং তাদের আয়োজিত একটি সেমিনারের আলোচ্য বিষয়কে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিকৃত করে উপস্থাপিত হয়েছে বলে প্রতিবাদ-লিপিতে উল্লেখ করেন। ‘সাম্পান’ একটি পলিটিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন হিসেবে ‘বাংলাদেশের অমর-সমকালীন জাতীয় নেতৃত্ব ও তাঁদের আদর্শ এবং করণীয় দিক’ শীর্ষক তিনটি সেমিনার আয়োজন করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তিনটি সেমিনারের প্রথমটি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের যুব রাজনৈতিক প্রতিনিধিবর্গ নিয়ে, দ্বিতীয়টি দেশের প্রবীণ রাজনীতিবিদবর্গ নিয়ে এবং সর্বশেষ সেমিনারটি নবীন-প্রবীণের অংশগ্রহণে আয়োজন করার কথা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে প্রথম সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারটি সফল ও অর্থবহ করার জন্য গণমাধ্যমের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছিল। জনাব আরাফাত উক্ত সেমিনারের একজন আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, আয়োজন ছিলেন না। একজন অতিথি হিসেবে মোহাম্মদ এ আরাফাত এ বিষয় অবগত থাকার কথাও নয়। সর্বোপরি সেমিনার-সংক্রান্ত আলোচক হওয়ার পূর্বে তার সঙ্গে সাম্পানের কোন আনুষ্ঠানিক সম্পর্কও ছিল না। বিভিন্ন সেমিনার, সভা, সিম্পোজিয়াম ছাড়াও প্রায় সকল টেলিভিশন চ্যানেলেই আলোচক ও বিশ্লেষক হিসেবে জনাব আরাফাত একজন পরিচিত মুখ।

ইতোপূর্বে তিনি কখনোই কোন অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেননি। প্রতিবাদে আরও বলা হয় মোহাম্মদ এ আরাফাত যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করেছেন এবং তিনি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবির একজন প্রতিভাবান শিক্ষক, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক যার অন্যতম কর্ণধার জনাব সজীব ওয়াজেদ। সুচিন্তা ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধি, যুবসমাজকে প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশের লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত। তাছাড়া বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডও পরিচালনা করছে। এই সংগঠন সংশ্লিষ্ট কোন সদস্য সম্পর্কেও কোথাও কিংবা কারো কোন প্রকারের অভিযোগ নেই যার দৃষ্টান্ত বিরল।

তাকে ব্যক্তিগতভাবে ও সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার জন্য প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পেয়েছে সংবাদটি। এ ছাড়া সংবাদে বলা হয়েছে, বক্তারা জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর সংবাদ। আলোচক হিসেবে ‘গড়ব বাংলাদেশ’-এর কামরুল হাসান নাসিম ছাড়া বর্তমান জাতীয় নেতৃত্বের প্রতি কেউ অনাস্থা রাখেননি। অন্যান্য আলোচকরা তাদের নিজ নিজ দলের অবস্থান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। কোন একজন ব্যক্তির মন্তব্যের দায়-দায়িত্ব অবশ্যই অন্য কোন আলোচক এমন কি আয়োজকরাও নিতে পারেন না।

তাছাড়া আলোচকদের কেউই ‘গড়ব বাংলাদেশ’ সংশ্লিষ্ট নয়। জনাব আরাফাত অন্য সকল আলোচনাসভার মতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে অমর জাতীয় নেতাদের আদর্শ অনুসরণের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান। উল্লেখ্য জনাব আরাফাতের কোন বক্তব্য নিয়ে ইতোপূর্বে কখনোই কোন প্রকার বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি। প্রতিবাদ লিপিতে মোহাম্মদ এ আরাফাতকে সাম্পানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিহত করতে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন যেন আগামীতে কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়, সেই আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে আমাদের মন্তব্য সুচিন্তার বিজয় উৎসবে জনপ্রিয় টিভি ব্যক্তিত্ব শিমুলের উপস্থাপনায় রেল-মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, জেনারেল শফিউল্লাহ ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে জনাব আরাফাতকে একজন আলোচক আরাফাত রহমান এবং সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সভাপতি হিসেবে অভিহিত করে মন্তব্য রাখেন। বক্তার এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য কি জনাব আরাফাত দায়ী? জনাব আরাফাত একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে মন্তব্য করে বাংলাদেশ প্রতিদিন কি রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছে! বাংলাদেশ প্রতিদিন ইতোপূর্বেও তাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি। একটি জাতীয় দৈনিক যদি ব্যক্তিগত কোন আক্রোশ চরিতার্থ করতে চায় তবে পক্ষান্তরে তারা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় এই মনোভাবেরই পরিচয় দিচ্ছে।

এ রিপোর্টটি করার পূর্বে তার বা আয়োজক সাম্পানের মতামত না জেনে তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তাছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানের ধারণকৃত ভিডিও-চিত্রও রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের কারণে জনাব আরাফাতকে হেয় করার যে চেষ্টা করা হয়েছে সত্যতা নেই বিধায় এর প্রভাব সাময়িক কিন্তু একটি সংবাদমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিন যে হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়েছে তার মাধ্যমে নিজেদের বস্তুনিষ্ঠটা ও গ্রহণযোগ্যতারই অপূরণীয় ক্ষতি করলো।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.