বাংলাদেশের মাটি দিয়ে গড়া এক মানুষ আমার ১০০তম পোষ্টে ছিল এক কষ্টের কাহিনী। জানলাম, পুতুলের যে সমস্যাটি ছিল তা হচ্ছে তার অসম্ভব হাচিঁ হতো। এক নাগাড়ে ২৫/৩০ টা। অনেক দিনের সমস্যা। অনেক ডাক্তার দেখানো হলো।
বাংলাদেশের ডাক্তার তো আসল সমস্যার কাছেই যেতে পারলো না। সর্বশেষ ইসলামিয়া হাসপাতালের এক ডাক্তার কি সব ওষুধ দিল। তা নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরে এলো পুতুল। ডাক্তারের কাছ থেকে ওষুধ খাওয়ার পর একেবারে হাচিঁ বন্ধ হয়ে গেলো। একটি কথা জানতাম, তা হলো মুসলমানরা হাচিঁ দেয়ার সাথে সাথে আলহামদুল্লিলাহ বলেন।
কারন একটাই নাকি, এ সময় মৃত্যুও হতে পারে। হাচিঁ দেয়ার পর বেচেঁ থাকার কারনে এ শব্দটি মানুষ বলে। আর সেখানে ওষুধ খেয়ে হাচিঁ একেবারে বন্ধ হবার ১১ দিনের মাথায় পুতুলের ব্রেইন হেমারেজ হয়ে যায়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ মেডিক্যালে।
১২ই রবিউল আওয়াল বেলা ১১টায় কাংখিত মোবাইল ফোনটি এলো। মারা গেল পুতুল। একটি মানুষ হাসতে হাসতে পৃথিবীতে বিদায় নিল। এ মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ফুটফুটে ৭ বছরের একটি কণ্যা সন্তান রেখে পুতুলের জায়গা হলো আজিমপুর কবরস্থানে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।