আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক দলগুলো কি গনতান্ত্রিক অধিকারের সোল এজেন্সি নিয়েছে?

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো খুবই গনতান্ত্রিক অধিকার সচেতন - আর সেই সাথে একদল বুদ্ধিজীবিও সেই রকমের ধারনা প্রচার করে যে রাস্তায় মিছিল মিটিং করে সাধারন মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা আর মাইক লাগিয়ে উচ্চস্বরে চিৎকার করে শব্দদুষন তৈরী করার অধিকার রাজনৈতিকদলগুলো গনতান্ত্রিক অধিকার হিসাবে পেয়েছে। আসলে কি তা ঠিক? আমার একটা গনতান্ত্রিক দেশে বসবাসের সুবাদে যা দেখছি - তাতে এইটুকু বলতে পারি - বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে যা করে - তা পাবলিক নুইসেন্স এবং কোনকোনটা রীতিমতো ক্রাইম। যেমন ধরা যাক - কোন দল যদি সমাবেশ করতে চায় - তাকে এখানে পুলিশের এবং সিটির অনুমোদন নিতে হবে। পুলিশ যদি তাদের নিয়মনীতির মধ্যে থাকে তবে ফ্রী পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দেবে - নতুবা একটা বিল ধরিয়ে দেবে - কতজন পুলিশ কতঘন্টা তাদের নিরাপত্তার জন্যে কাজ করবে তার বিস্তারিত ব্যয় দেখিয়ে বিল পরিশোধ করলে তারপর পরমিশন। এখানে বুঝার বিষয় হলো পুলিশের ব্যয় বহন করে সরকার আর সরকারকে জনগনের ট্যাক্স থেকে তা খরচ করতে হয় বলে প্রতিটি পেনির সঠিক হিসাব রাখতে হয়।

আর সিটি একটা নির্দিষ্ট পরিমান জামানত রাখবে যাতে মিটিং এরপর মিটিং এর স্থান পরিষ্কার করে দেওয়া হয়। নতুবা জামানত থেকে টাকা কেঁটে রেখে দেওয়া হবে। আর রাস্তা বন্ধ করে কোন অনুষ্ঠানের অনুমোদন পাওয়া খুবই কঠিন। গতকাল ঢাকায় দেখলাম দুই দল মিটিং মিছিল করলো - তারা রাস্তা বন্ধ করে যান চলাচল বন্ধ করে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যহত করলো - রাস্তা নোংরা করলো - আর হাজার দশেক পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিলো। একটা গরীব দেশের জন্যে এই বিরাট অংকের ব্যয় ভার বহন না করে - রেডিও টিভিতে জাতির উদ্দেশ্যে দুই দল প্রচার চালাতে পারতো।

তাতে টিভিগুলো কি আয় করতো। অন্যদিকে নিরাপত্তার জন্যে ব্যয়, রাস্তা পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যয় আর যানচলাচলের বাঁধার জন্যে যে ক্ষতি হলো তার সকল দায় ভার জনগনের উপরে চাপলো। কিন্তু সাধারন জনগন ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি সংসদে পাঠিয়েছে - যাতে সেখানে তারা সকল বিষয়ে আলোচনা করে। রাজনৈতিক দলগুলো এই বিপুল ব্যয় রাষ্ট্র কেন বহন করবে? এখানেই প্রশ্ন আসে এইটা কোন ধরনের গনতান্ত্রিক অধিকার - জনগনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত করার দায়ভার জনগনের উপরেই চাপনোর যে কর্মকান্ড কোন ভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। গনতান্ত্রিক অধিকার প্রতিটি নাগরিকের - প্রতিটি নাগরিকের অধিকার হলো নির্বিঘ্নে নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করা - আর তার চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে যারা তাদের অন্যায় কাজকে জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় ব্যয়ভার বহন করা অন্যায়।

সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মুল হলো সংসদ আর দলগুলোর জন্যে নিজস্ব ফোরাম। নিজেদের কাজ মূল্যায়নের জন্যে এরা অডিটরিয়াম ভাড়া করে যত ইচ্ছা বত্তৃতা করুক - তার জন্যে জনগনের সমস্যা হয় না। আর জনগনকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্যে আছে মিডিয়া - যেখানে বিজ্ঞাপন দিয়ে - সংবাদ সন্মেলন করে যত ইচ্ছা যুক্তিতর্ক তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু জনগন ভোট দিয়ে একটা দলকে নির্বাচিত করে সরকার গঠন করতে দিয়েছে বলে মিছিল মিটিং আর জ্বালাও পোড়াও করে জনগনকে শাস্তি দেওয়া কোন ভাবেই গনতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.