আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রিয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

Nothing.... ফাটাকেস্টের মতো এগুচ্ছেন ওবায়দুল কাদের সুমন প্রামাণিক ॥ এ যেন বাংলাদেশের ফাটাকেষ্ট। বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার যে করুন দশা হয়েছে তাতে খুব দরকার ছিল বাংলাদেশের ফাটাকেস্ট ওবায়দুল কাদেরের। যিনি নিজেই বলেছেন, আমি শেষ বেলার মন্ত্রী, একটু পরেই গোধুলী নামবে। ভারতীয় বাংলা সিনেমার সেই ফাটাকেস্টের মত সরকারের ৩ বছর পেরিয়ে যাবার পর মাত্র ২ বছরের জন্য যিনি যোগাযোগ মন্ত্রানালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ছুটে বেড়াচ্ছেন দিন-রাত।

সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন সাহসের সঙ্গে। এমনকি গভীর রাতে রাস্তায় বেড়িয়ে গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীা করছেন। এসব কর্মকান্ডে পাচ্ছে সাধারণ মানুষের অকুন্ঠ ভালবাসা। নতুন বছরের শুরুতে মেঘনা টোল প্লাজা পরিদর্শনে গিয়ে যানবাহনের ওজন মাপার যন্ত্রটি বিকল থাকায় মন্ত্রী ােভ প্রকাশ করে বলেন, ‘টাকা খাওয়ার জন্য এটি বিকল করে ফেলে রাখা হয়েছে’। নিজের মন্ত্রণালয়ের অফিস কোনো দলীয় অফিস নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি কাজ করতে এসেছেন, শুধু কাজ করবেন। মন্ত্রানালয়ের অফিস কোন দলীয় কার্যালয় নয়, দলের আলোচনা বাড়িতে গিয়েই হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আবার সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, আমি নিজে অপকর্ম করবো না। অন্যকেও তা করতে দেবো না। সাফল্যের কৃতিত্ব যেমন সবার ব্যর্থতার দায়ও সবাইকে নিতে হবে।

এদিকে সম্প্রতি মিরপুরস্থ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপরে (বিআরটিএ) কার্যালয়ে আকস্মিক সফরে গিয়ে দুই দালালকে ভূয়া লাইসেন্স তৈরির সময় হাতেনাতে ধরে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করেন। শুধু তাই নয় কর্মকর্তাদের ক ঘুরে দেখার সময় একজন মোটরযান পরিদর্শককে নিজের সিটে না পেয়ে গালমন্দ করেন। বিআরটিএর ৩নং শেডে গাড়ির ফিটনেসের জন্য ব্যাংকে অর্থ জমা দেওয়ার লাইন দীর্ঘ দেখে সেবা গ্রহীতাদের পরামর্শ অনুযায়ী দুটি কাউন্টার বাড়ানোর নির্দেশ দেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রীসভায় শপথ নেওয়ার পর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে বসেই ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘অরাম কেদারা সরাও। মন্ত্রী হওয়ার পর ওবায়দুল কাদের ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কের কাঁচপুর ব্রিজের ওপর বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার ঘটনা প্রত্য করে নিজের গাড়ী থেকে নেমে হাতে-নাতে বাস চালককে ধরে ফেলেন।

তৎসময়ে তিনি অপরাধী বাস চালককে শস্তিস্বরূপ কান ধরে ওঠ-বস করান। মন্ত্রী হিসেবে তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন আগে থেকেই সেখানে তার আগমন উপলে তোরণ নির্মাণ না করার নির্দেশ দিচ্ছেন। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য গত বছরের ১১ নভেম্বর তিনি অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেছেন, অর্থমন্ত্রীর অর্থহীন অতিকথনে সরকার বিব্রত। তার অতিকথনের কারণে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। গত বছরের ১৩ আগস্ট আইন-শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের মতো অতি উৎসাহী আওয়ামী লীগার হবেন না।

দয়া করে নিরপেভাবে দায়িত্ব পালন করুন। ১০ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে দেশজুড়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব চলছে। কাঁচাবাজার, ফুটপাত লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে সর্বত্রই ফ্রি-স্টাইলে চাঁদাবাজি চলছে। এ সত্যকে চাপা দিয়ে লাভ হবে না। পুঁজিবাজারে ব্যবসায়ীদের ফটকাবাজ ও রোজার মাসে কম খেতে মন্ত্রীদের পরামর্শের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফ্রি-স্টাইলে কথা না বলে কাজের কাজ করুন।

কম কথা বলে বেশি কাজ করুন। এ সবের সরব প্রতিবাদ না জানালেও আগামী নির্বাচনে নীরব ভোটে এর জবাব পাওয়া যাবে। সম্প্রতি একটি লোকাল বাসে হেলপার ও যাত্রীদের মধ্যে বাস ভাড়া নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হলে হঠাৎ করেই এক যাত্রী হেলপাড় কে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠেন এই বেশি ভাড়া নেওয়ার দিন আর নেই আমাদের ফাটাকেষ্ট আছে। মারবে এখানে পড়বে শসানে। সঙ্গে সঙ্গে হেলপাড় চুপসে যায়।

সে জানায় কয়েকদিন আগে তার গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকায় মন্ত্রীর হাতে ধরা পরেছিল। যে সময় তার গাড়ীর রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছিল। তাই সে ফাটাকেস্ট মন্ত্রী নাম শুনে ভীত হয়ে পরে। পরে নির্ধারিত ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। “জিও ফাটাকেস্ট জিও ওবায়দুল কাদের।

দেশের ১৬ কোটি মানুষ তোমার সঙ্গে”। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.