আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রাইভেট কোচিং বন্ধ ও আমার কিছু পরামর্শ

Simple man. আজকের প্রথম আলোতে প্রাইভেট কোচিংয়ের ব্যাপারে একটি আর্টিকেল পড়লাম। যেখানে কোচিং বন্ধের কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। যেমন নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী পড়ানো যাবে না। অন্য প্রতিষ্ঠানের ১০ জনের অতিরিক্ত পড়ানো যাবে না। আবার ভর্তির সময় গৃহীত অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে হবে বা সমন্বয় করে নিতে হবে।

অবশ্যই এগুলো একটি ভাল দিক। তবে সে ক্ষেত্রে আমার বক্তব্য হচ্ছে যখন একই দেশে দুই নীতি চালু থাকে তখন কোন নীতিই আপনি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। শিক্ষকদের কোচিং যদি বন্ধ করতে হয় তাহলে ডাক্তারদের প্রাইভেট প্রাকটিস কি বন্ধ করা প্রয়োজন না। আবার যারা শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত আইন করে তাদেরকে হয়তো বাধ্য করতে পারেন কোচিং থেকে বিরত রাখতে কিন্তু যারা শিক্ষকতার সাথে জড়িত নয় কিন্তু বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের নামে ব্যবসা করছে তাদের ব্যাপারে কি পারবেন কিছু করতে? ভর্তির সময় গৃহীত টাকা ফেরত দিতে হবে, কিন্তু কিভাবে বুঝবেন অতিরিক্ত টাকা। এখানে তো বিভিন্ন খাতে টাকা নেয়া হয় অতিরিক্ত হবে কিভাবে? অতিরিক্তের মাপকাঠিই বা কি দিয়ে করবেন? তাহলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নিবেন? পারবেন সেগুলোকে ঠিক করতে? কখনো নয়।

যেমন সম্ভব নয় এনজিওগুলোক। পাঠক আপনারা জানেন কিনা এনজিওগুলো মাঠ পর্যায়ে তাদের যে কর্মী যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে এনজিওগুলো মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে তারা খুব সামান্যই ভোগ করে। অথচ র্শীর্ষ বা কর্তা ব্যক্তিরা একেক জন বেতন নিচ্ছেন লাখোর্ধ বেতন, হাকাচ্ছেন দামী দামী গাড়ি এবং বিলাসবহুল জীবন যাপন করছেন। কি পারবেন এগুলো ঠেকাতে? যদি তাই না পারেন তবে কেন এসব আইন? শুধু কি লোক দেখানো? দু'এক জন শিক্ষক অন্যায় করবে আর তাদের শাস্তি দিতে গিয়ে এরকম আইন করে কি করতে চাচ্ছে সরকার? শিক্ষক মানে আর্থিক টানা পোড়নে সংসার চালানো একজন মানুষ মাত্র হিসেবে একই জায়গায় আবদ্ধ করে রাখতে? আগে তাদের মান সম্মত বেতন প্রদান করুন তারপর আসুন এগুলো সংশোধন করতে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শিক্ষকদের বেতনের অবস্থা দেখুন তারপর করণীয় গ্রহণ করুন।

একজন শ্রমিকের বেতন যদি আপনি ২০০০ টাকা দেন আর তাকে যতই আপনি ধর্মের কথা আইনের কথা বলুন না কেন সে চুরি করবেই তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, জীবন বাঁচাতে। আর এই করে করে আমাদের জাতিকে করা হচ্ছে মেধা শূণ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে, ভাল রেজাল্ট করে কেউ আর শিক্ষকতায় আসছে না চলে যাচ্ছে ব্যাংকে বা প্রাইভেট কোন কোম্পানীতে। যারা ভাল কোন চাকরী পায়না তারাই আসছে শিক্ষকতায় তাহলে আমাদের সন্তানেরা কি পাবে তাদের কাছ থেকে? ভাল বীজ ছাড়া কি ভাল ফল পাওয়া যাবে? আসুন এখনো সময় আছে জাতিকে বাঁচাই। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেই।

মেধাবীদের শিক্ষকতার দিকে নিয়ে আসি, আমার আপনার সন্তানের জন্য। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.