আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নির্বাচনের আগে নানা ধরনের অভিযোগের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল বিএনপির একটি নির্বাচনী কৌশল মাত্র !

আমার আগের নিক হ্যাক হয়েছে কিনতু দ্বাবি একটাই যুদ্ধাপরাধীদের ফাসি চাই। ___________________ @সুলতান মির্জা একটা বিষয় খেয়াল করলাম, গত চারটি সিটি নির্বাচন এর প্রাক্কালে বিএনপি তথা ১৮ দল কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায় পর্যন্ত এক ধরনের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেছিল। যার ফলাফল আমরা দেখেছি আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। যাই হোক আমি বলতে চাই না, আওয়ামীলীগের ভুল ত্রুটি ছিল না, ভুল ছিল কিন্তু কথা হচ্ছে এই ভাবে পরাজয় করার মত ভুল ত্রুটি মনে হয় ছিল না। বাদ দিলাম সে সব কথা।

লক্ষ করলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি আবারো একটি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল গেম শুরু করে দিয়েছে। যা আমি মনে করি গাজীপুরের ক্ষেত্রে হয়তো তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না। কিন্তু কথা হচ্ছে বিএনপি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল তো করতেসে। দেখুন খেয়াল করে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল গুলো কি...... বিএনপি বলছে যদি সুস্থ নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপির প্রার্থীর জয় হবে। আমরা ধরে নিচ্ছি বিএনপির প্রার্থীর জয় হলো না।

নির্বাচনেও কোন গোলযোগ বা সমস্যা হলো না। তাহলে গাজীপুরে যদি আওয়ামীলীগের প্রার্থীর জয় হয় সেখানে বিএনপির এই দ্বাবী কতটুকু ধোপে টিকবে ? এটা হতে পারে একটা প্রশ্ন। আর বিএনপির এই ধরনের নির্বাচন পুর্ববর্তি বক্তব্য কতখানী ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল হতে পারে তা বুঝে নিতে তেমন সমস্যা হওয়ার কথা আছে বলে আমার মনে হয় না। দ্বীতিয়তো দেখেন, বিএনপির কেন্দ্র থেকে এক ধরনের অভিযোগ কিন্তু করেই যাওয়া হচ্ছে নানান অযুহাত দেখিয়ে। যেমন বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন দলীয় ভুমিকা পালন করছে, বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, নির্বাচনের আচরন বিধি রক্ষা হচ্ছে না, ইত্যাদি ধরনের কথা।

একে বলা হয়ে থাকে ভোটের আগে সাধারন ও ভাসমান ভোটারদের মনে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক ধরনের ইমোশন সৃস্টি করে ভোটের দিন ফায়দা লূটে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ত্বপুর্ন ভুমিকা পালনে সহয়ক হয়। এই প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে, যে গাজীপুরের দিকে এখন সারাদেশের বড় বড় কয়েক কোটি জোড়া চোখ তাকিয়ে আছে বস্তনিষ্ঠ মিডিয়ার কল্যানে সেখানে আমার যতটুকু মনে হচ্ছে এখনো গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মাঠে তেমন বড় ধরনের কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে নাই, যা নির্বাচন কে প্রভাবিত করতে পারে। যা আমাদের কানে আসে নাই, বা মিডিয়াতে আসে নাই। তাহলে বিএনপির এই অভিযোগ কেন ? আমি মনে করি বিএনপির এই ধরনের অভিযোগ শুধু মাত্র ভোটের মাঠে ফায়দা লুটে তাদের সমর্থিত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা। একটা গঠনা বলছি, আমার দেখা গত ইউপি নির্বাচনের সময়।

এক চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনের দড়িয়েছিল। সে চেয়ারম্যান হতো না কিনা জানা নেই। কিন্তু উনি হঠ্যাত নির্বাচনের দুইদিন আগে নিজের লোকবল দিয়ে নিজের প্রচার কার্যে ব্যবহিত মাইক ও সিএনজি ভেঙ্গে ফেলে। গঠনাটি সে এমন এক জায়গাতে করেছিল যা ছিল ঐ ইউনিয়নের প্রান বা সদর। এবং মুহুর্তে এই খবর ছড়িয়ে পরে সারা ইউনিয়ন ব্যাপি যে প্রতিপক্ষ অমুক প্রার্থীর লোকেরা এই গঠনা ঘটিয়েছিল।

যার প্রভাব আমি দেখেছিলাম নির্বাচনের ফলাফলে তার জয়ের মধ্য দিয়ে দিয়ে। যাই হোক নির্বাচনের জয় পরাজয় এর মাঠে কৌশল একটি গুরুত্ত্বপুর্ন বিষয়। কিন্তু ভুল তথ্য দিয়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল এর ফাদে ফেলে ফায়দা লুটে নেওয়া অবশ্যই আইনত অপরাধ। তৃতীয়তো অলরেডী বিএনপির কেন্দ্র থেকে এক ধরনের প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে যা নির্বাচনের ফলাফলের দিন পর্যন্ত সেম টু সেম থাকবে। তারপরে যদি ফলাফলে তাদের প্রার্থীর পরাজয় হয় তাহলে তো হইছেই নির্বাচন সুস্থ হয় নাই।

আর যদি তাদের প্রার্থীর জয় হয় তাহলে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগন গনরায় দিয়েছে টাইপের বক্তব্য। বাই দ্যা ওয়ে, বিএনপির মান্নান মেয়র হবে কিনা আমি জানি না। তবে আমি বিশ্বাস করি গাজীপুরের সচেতন মানুষ ভুল করবে না। যদিও আমি তেমন বুঝি না, তবে এইটুকু ধারনা করে নিতে পারি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজমত উল্লাহ খানই যোগ্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.