আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

......জামাতী চালচক্র......

দুই জামায়াত নেতার সাথে দীর্ঘ সময় আলাপ হইলো। কথাবার্তা ভাবগতিতে যা বুঝলাম এবং আগেও যা একটু আধটু ধারণা করছিলাম তা হইলো, জামায়াতের ভেতরে আপাতত দুইটা অংশ ক্রিয়াশীল। একটা অংশ প্রবলভাবে চাইতেছে গোলাম আজম সহ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে, অন্য পক্ষটা চাইতেছে ৪০ বছরের কলংকের দাগ,হাতে লাইগা থাকা রক্ত এই দফায় ধুইয়া মুইছা ফেইলা এক্কেরে হজ্জ টজ্জ কইরা আইসা সাদাখাতা নিয়া রাজনীতিতে নামতে। আমার বক্তব্য দ্বিতীয় অংশেরে নিয়া। ৭১ এ জামায়াত যা করছিল, তা যেমন ছিল গোলাম আজম, নিজামী, সাইদীদের অপরাধ, আবার এইটাও সত্য যে, ৭১ এ তাদের যুদ্ধাপরাধ একটা দলবদ্ধ গোষ্টীবদ্ধ অপরাধও ছিল, যা করছিল কিছু বিশেষ রাজনৈতিক দল।

লক্ষ্যনীয় বিষয় হইলো, জামাতের যুদ্ধাপরাধ কিন্তু কোন ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত ছিল না, দলগতভাবেই তারা গনহত্যা গনধর্ষন লুন্ঠন করছে। তাইলে কথা হইলো, ব্যাক্তিবিশেষের বিচার হইতে হবে, গোষ্ঠীটার/দলটার বিচার কেন হবে না? গত ৪০ বছরে লাত্থি গুতা খাইতে খাইতে জামায়াত বাঙলাদেশে রাজনীতি করছে। এইবার ঐ দ্বিতীয় অংশটা মোটামটি স্বপ্ন দেখা শুরু করছে, তাড়াতাড়ি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হইয়া গেলে ফাঁসি হওয়া কুলাঙ্গারগুলারে শহীদ বানাইয়া কপাল থাপরাইয়া ধর্মপ্রান মানুষগুলার সহানুভুতি সৃষ্টি কইরা তাদের বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ কইরা একধরণের রাজনৈতিক ফায়দা নেবার। তাই শুধু গোলাম আজম নিজামী সাইদী মুজাহিদীর বিচারে এত আমোদের কিছু নাই, যারা এইটারে বিজয় বইলা ভাবতেছেন তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে কয়েক বছরেই। তাদের তৈরি কইরা যাওয়া প্রজন্ম এখন নেতৃত্ত্ব দিতে সক্ষম, এবং একই সাথে তাদের হাতে যুদ্ধাপরাধের রক্তের দাগ না থাকায় তারা আগের লিডারদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

এত লাত্থি গুতা খাওয়ার পরেও, জনগনের তীব্র ধিক্কার সহ্য কইরাও জামাতের ঐ সকল লিডার গাড়িতে পতাকা লাগায়া ঘুরতে পারছে, দেশের ব্যাবসা বানিজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রনে নিতে পারছে, তাইলে এইবার চিন্তা করেন, নতুন প্রজন্মের জামাত কতখানি কি করতে পারবে? তাদের হাতে কিন্তু রক্তের দাগ নাই। তখন আর তাদের রাজাকার বইলা গাইল দেয়া যাবে না, তারা কইবো, যারা রাজাকার আছিল সবার বিচার হইয়া গেছে। এখন আমরা সকলে ফেরেশতা হয়া গেছি। এবং ইসলামের নামে তারা আরো ব্যাবসা করতে পারবে নিশ্চিতভাবেই। আওয়ামী ধর্মনিরপেক্ষতা আমরা দেখছি, তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা রাখার কোন উপায় তারা রাখে নাই।

কিন্তু তারা কি জামাতের বিচার করতে পারবে? জামাতের বিচার করতে না পারলে কাল নতুন নতুন গোলাম আজমদের সৃষ্টি হইলে তাদের কিভাবে সামাল দেয়া হবে? তাই আমি আমার পক্ষে থেইকা দাবী জানাই, গোলাম আজম, নিজামী, সাইদী, মুজাহিদীদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ট প্রমাণ সমুহ একত্র কইরা তা ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে আগে জামাত তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক, এরপরে হেগোরে ফাঁসিতে ঝুলাইলেই হবে। বিঃদ্রঃ জামাত লিডারের সাথে আলাপ সালাপ করি দেইখা যারা আমারে ছাগবান্ধব বলার ধান্ধায় আছে, তারা মানে মানে রাস্তা মাপেন। আজাইরা বুদ্ধিহীন তর্কের সময় নাই সূত্র:::::ফেবু গুতাইয়া পাওয়া. ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।