আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতী কৃতিত্ব

বাংলাদেশ নিয়ে ভাবনা, প্রত্যাশা ও সম্ভাবনার সংগ্রহমালা

(ছবি প্রথম আলোর সৌজন্যে) ছবি সত্যি কথা বলে। বিএনপি'র নেতৃত্বাধীন 4 দলীয় জোট যে জামাত-বিএনপির মিলনে দু'দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে লেখার কোন দরকার নেই। সামপ্রতিক রাজনৈতিক দাঙ্গা-কলহে যে হতভাগ্য দু'ডজন মানুষ প্রাণ হারালেন ও কয়েক হাজার আহত হলেন তাদের মধ্যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকদের অবস্থা সবচেয়ে বেশী করুণ। জামাতীরা জাকাত-ফিতরা-ইয়ানত আর মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের মাধ্যমে যে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক নেটওয়ার্ক প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্নভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে রেখেছে তার মাধ্যমে অন্তত: জামাতী লোকদের সাহায্য সহযোগিতা ও চিকিৎসার কোন ঘাটতি হবে না। বিএনপি আর আওয়ামী নেতারা হাসপাতালে গিয়ে ক'জন আহত-নিহতকে দেখেছেন সেই খবর হয়তো আমার চোখ এড়িয়ে গেছে।

তবে এ কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, জামাতী কর্মীদের মধ্যে যারা আহত হয়েছেন তাদের অনেকেই ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল আর ইবনে সিনার দ্বীনি ভাইদের সৌজন্যে যে চিকিৎসা সেবা পাবে তার বিপরীতে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের দায়সারা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে হয়তো মরবে। অভাগা আহতদের চিকিৎসার খবর দেশের জাতীয় পএিকাগুলোতে ফলাও করে না আসলেও দৈনিক সংগ্রাম জামাতী লোকদের চিকিৎসার খবর বেশ ফলাও করে প্রচার করছে। মৌলবাদী জামাতীরা সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠান, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রভাব প্রতিপওি বিস্তার করতে যতোটা সফল সেই তুলনায় বিএনপি আর আওয়ামী লীগ এধরণের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো স্থাপনে সঙ্গতকারণেই নিস্পৃহ। বেশ কিছুদিন আগে জামাতীদের এক সভায় জনৈক জামাতী নেতার গর্বিত বিবরণী শুনছিলাম কেবল ধানমন্ডির এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় কি পরিমাণ আবাসিক ও ব্যবসায়িক স্থাপনা তাদের দলীয় লোকদের দখলে এসেছে। বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনীতির সাফল্য হচ্ছে তাদের রং বদলিয়ে মানিয়ে নেওয়ার অপূর্ব সাংগঠনিক শক্তি।

সেটা পোশাকী রং থেকে চলল-চালন ও কথনের ঢং পর্যন্ত বিস্তৃত। জাকাত-ফিতারা-ইয়ানত আর মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের বদান্যতা বাংলাদেশের আর কোন রাজনৈতিক কপালে না জুটলেও জামাতীরা তার একচ্ছএ সুবিধা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করে আসছেন। সমাজ সেবা বিভাগ, কৃষি আর শিল্পখাতে ধর্মীয় আদর্শ না হলেও আর্থিক বদান্যতা আর প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা তৈরী করে মৌলবাদী রাজনীতির বিকাশ হচ্ছে তার সবচেয়ে প্রামান্য গবেষণামূলক তথ্য পড়েছিলাম ড: আবুল বারাকাতের এক গবেষণাপএে। বিএনপি'র মোটা মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার সাফল্যের জন্য জামাতীরা অবশ্যই কৃতিত্ব কুড়াবে। কিন্তু রাজনীতি অসচতেন ও আবেগতাড়িত বাংলাদেশীদের মৌলবাদী রাজনীতির বিষক্রিয়া বুঝতে অনেক সময় নিলেও বিদেশী পর্যবেক্ষকদের তা উপলদ্ধি করতে খুব কস্ট হচ্ছে না।

সমপ্রতি প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িপংসড়হরঃড়ৎ.পড়স/2006/1030/ঢ়06ং02-ড়িংপ.যঃসষ]এই দাঙ্গা ইসলামী দলগুলোর জন্য শাপে বর [/লিংক] হয়ে দেখা দেবে। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, Jamaat-e-Islami's power to project an Islamist agenda has grown considerably now that it controls several powerful ministries, as well as a host of welfare organizations, schools, and madrassahs. The party also owns a staggering array of businesses in banking, real estate, and other services. Jamaat's leaders insist their party is committed to democracy and that their aim is to introduce an Islamic state through the ballot box. But many observers say their rise has contributed to an environment of intolerance and, by extension, militancy. তাই, পএিকায় প্রকাশিত ছবিতে খালেদা জিয়া নিজামীর সাহচর্যে রাজনৈতিক উষ্ণতা ও অন্তরঙ্গতা খুঁজে পেলেও তার দীর্ঘমেয়াদী ফল যে শুভ হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ক্ষমতার কামড়াকামড়ি যে মৌলবাদী শক্তির উত্থানকে আরও দৃঢ় করবে তা উপলদ্ধিতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি কতোটা সফল তা ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।