আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জামাতী নেতাদের চরিত্র-১

বৃষ্টি তোমাকেতো ফিরে পেতে চাই।

বলাৎকারের ঘটনায় জামায়াত নেতাকে জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরানো: পুলিশে সোপর্দ তারিখঃ ৯ জুন' ২০০৯ স্থানঃ কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা মিয়া পাড়া গ্রাম কুড়িগ্রামের এক জেলা জামায়াত নেতা বলাৎকারের ঘটনায় হাতে নাতে ধৃত হয়েছে। পরে গ্রামবাসী জুতার মালা গলায় পরিয়ে ঐ নেতাকে পুরো গ্রাম ঘুরিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে ৯ জুন' ২০০৯ মঙ্গলবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের নাজিরা মিয়া পাড়া গ্রামে। ঘৃণিত হোসেন আলীর বিচার চেয়ে এলাকাবাসী মিছিল করেছে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও নির্যাতিতর কাছ থেকে জানা গেছে, বাড়িতে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রী না থাকায় বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামী জেলা কমিটির সদস্য হোসেন আলী মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির পাশের এক ১২ বছরের কিশোরকে ডাক দেয়। কিশোর ছেলেটি ফাঁকা বাসায় প্রবেশ করলে তাকে ঘরে যেতে বলে হোসেন আলী। ছেলেটিকে বিছানায় বসিয়ে মিষ্টি খেতে দেয়। এই সময় আচমকা পেছন থেকে ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে জোর পূর্বক বলাৎকার করে। ছেলেটির চিৎকার ও গোঙানির শব্দ শুনে পাশের মোড়ের দোকানদার ও মেসবাড়ির ছাত্ররা চলে আসে।

ছেলেটিকে উদ্ধার করে। হোসেন আলীর এরকম কাজের জন্য এলাকার লোকজন ধিক্কার দিতে থাকলে সে লোকজনদের কাছে বলাৎকারের ঘটনা স্বীকার করে। পরে গ্রামবাসী তাকে ধরে উত্তম-মাধ্যম দিয়ে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে এলাকাবাসী হোসেন আলীকে পুলিশের হাতে সোপার্দ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, উক্ত হোসেন আলীর নারী কেলেংকারীসহ বেশ কিছু অপকর্মের কারণে একাধিকবার গ্রাম্য শালিশ বৈঠক হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কুড়িগ্রাম সদর থানায় একাধিক জামায়াত নেতা বলাৎকারকারী হোসেন আলীকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ততবির করছে। ঐ এলাকার পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে বলাৎকারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, শিশুটিকে মেডিকেল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।