আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ কোন আশরাফুল!

i`m what i`m. ফোনগুলো প্রায়ই আসতো। করা হতো তার চেয়ে বেশি। ওই প্রা্ন্তে জড়িয়ে থাকতো দীর্ঘশ্বাস। কথার বেশির ভাগই তার ব্যাটিংয়ের মতই ছন্নছাড়া( কারণ ওই সময় রান খরা)। তারপরও ঘুরেফিরে বেশি এসেছে একটা প্রসঙ্গ।

আশরাফুল তুমি কি মনে করো না এখন তোমার বিশ্রামে যাওয়া উচিৎ? উত্তর আসলো: এতো তাড়াতাড়ি! আরো অনেকদিন খেলবো বস। চিন্তা করেন না। শুধু একটা সুযোগের অপেক্ষায়। তারপর শাহরিয়ার নাফীসের হাত কাটলো। বাংলাদেশ দলে অনেক নাটকের পর আশরাফুলের ডাক পড়লো।

সবচেয়ে বড় কথা সব বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে তিনি রানে ফিরলেন। সে কি শুধু ফেরা? রেকর্ড বইয়ের প্রতি পাতায় তুমুল ঝড় তুলে ফেরা। একটুর জন্য প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়নের বরমাল্য মিস হয়েছে। না হলে বীর বেশে আশরাফুলের এমনভাবে ফেরা ২০০৮ এও হয়নি! আজ যখন বিমান বন্দরে দেখা হলো তখন আশরাফুল বিসিবির সাদা টি শার্টে অনেক উজ্জ্বল। এতোটাই যে, হিসেব মিলাতে গিয়ে বোকা মনে হলো।

হাই অ্যাশ বললে যে আশরাফুল দৌড় মেরে এসে জড়িয়ে ধরেতা, তিনি এদিন শুকনো হাসি দিলেন। ভয়ঙ্কর প্রতিজ্ঞা পূরণের পর লোকে মনে হয় এমনই হয়! দীর্ঘ এক সফরের প্রভাবও হতে পারে। কিন্তু এমন চেহারার আশরাফুলকে এর আগে আমি দেখিনি। এর চেয়েও বড় সফরে গিয়ে বাংলাদেশ এসেছে। ২০০৫ এ ইংল্যান্ড সফর শেষে যখন তিনি ফিরলেন তখন তার গলায় অদৃশ্য হয়ে ঝুলছে বীরমাল্য।

কার্ডিফ,নটিংহ্যামশায়ারের কীর্তিগুলো তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের লিজেন্ড থেকে রাতারাতি মিথে পরিনত হয়েছে। তখনো আশরাফুলকে এমন শুকনো হাসতে দেখিনি। এবার কি হলো? ১৯০ কি বদলে দিলো? নাকি আরো দুয়েকজনের মত তাকেও সংক্রমিত করলো কথায় কথায় মুখ ব্যাদান করে বসে থাকার রোগ? মৌচাকের ঢিল পড়া মৌমাছির মত সবগুলো টিভি ক্যামেরা ও পত্রিকার লোকেরা আশরাফুল বেরিয়ে আসতে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যোত। কিন্তু কোথায় যেনো বাধো বাধো। অনেক পুরনো চেহারায় নতুন নিরাসক্তি।

দেখতে দেখতে মনে পড়ে গেলো এই শ্রীলঙ্কা সফরে হঠাৎ সুযোগ পেয়ে উড়ে যাবার সময় একজনকে বুকে জড়িয়ে বলে গিয়েছিলেন, এবার কথা রাখবো। সেই কথা খানিকটা তিনি রেখেছেনও বটে। তার আগ পর্যন্ত আশরাফুলের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা অবিচারের চূড়ান্ত পর্যায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান পেলেও তিনি দলে উপেক্ষিত। তারপর ধনুক ভাঙ্গা পণ।

কিন্তু বাসায় ফিরতে চাওয়া চোখা চোয়ালের আশরাফুলকে আজ মেলানো যাচ্ছিল না। তারপরও তিনি আশরাফুল বলেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস দেখালো। আমি নিশ্চিত সাকিব বা তামিম হলে গণমাধ্যম এতো সাহস দেখিয়ে মাইক্রোফোন পাততো না। ‍এটা আমার জন্য পুর্নজন্ম বলতে পারেন। শ্রীলঙ্কাতে আমি বরাবরই ভালো খেলি।

আপানারা জানেন প্রচুর চাপ ছিল। ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে পারলে ভালো হতো। সব মিলিয়ে সফরটা খারাপ হয়নি। তবে আরো ভালো হতে পারতো। টি টোয়েন্টিটা জেতা উচিত ছিল।

আমার ব্যক্তিগত অর্জন ভালোই হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে কৃত্জ্ঞ। যদিও আরো ভালো করা আসলে দরকার ছিল। প্রশ্ন: বারবার দলে আসা-যাওয়া করতে করতে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। জিম্বাবুয়ে সফরের গ্যারান্টি দিলো শ্রীলঙ্কা সিরিজ তাই নয় কি আশরাফুল: সত্যি বলতে কি আমি জানতাম আমি পারবো।

কিন্তু আমি এখন নির্ভার। সময়টুকু দরকার ছিল। দেখি সামনের দিনগুলোতে আর কি কি দিতে পারি। এখনো অনেক দূর যেতে হবে। দশকের অভিজ্ঞতায় এমন আশরাফুলকে আর যেই দেখুক আমি দেখিনি।

আসলেই এ কোন আশরাফুল? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।