আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

!!বিভিন্ন রকমের স্ট্যাটাস সমগ্র ২০১১!!

২০১১ সালের নানা সময়ে ফেসবুকে আমার প্রোফাইলে আমি নানাধরনের স্ট্যাটাস দিয়েছি। যেগুলোর কিছু কিছু আমার বন্ধুমহলে হিট করে গেছে আবার কিছু কিছু ফ্লপ হয়েছে (কেউ পড়েও দেখে নাই)। আবার অনেক সময়ে দেখা গেছে আমার স্ট্যাটাস কপি পেস্ট করেছে আরেকজন, যেটার “লাইক” সংখ্যা আমার স্ট্যাটাসের লাইক সংখ্যার ১০ গুণ! নিজেকে কক্ষণোই জনপ্রিয় করতে পারলাম না! আফসুস! বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে দেয়া স্ট্যাটাস নিয়েই আমার আজকের সংকলন! রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, খেলাধুলা, প্রকৃতি এবং বিশেষ করে প্রেম-ভালবাসা ইত্যাদি বিষয়ে আমি বড়ই পারঙ্গম! প্রথমেই ব্লগ নিয়ে বলি, যখন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ব্লগকে পর্ণগ্রাফি বললেন, আমি লিখলাম, "সরাসরি মূলধারার গণমাধ্যমের (টেলিভিশন, সংবাদপত্র) সমালোচনা করার মতো কোন চিন্তাও কোন রাজনীতিবিদরা করেন না! কারণ সেইরকম সমালোচনা করতে গেলে মিডিয়া একেবারে খেয়ে ফেলবে! "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়বার স্বপ্নের একজন অন্যতম মূল কারিগর সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ভুলে গিয়েছিলেন "ডিজিটাল গণমাধ্যম" ব্লগ কতটা ভয়াবহ ব্যাপার! ভিম্রুলের কেক উনি হাত দিয়েছেন! তবে ব্লগ যেহেতু ভিডিওর কোন ব্যাপার নয়, লেখালেখির ব্যাপার সেহেতু উনি এটাকে "পর্ণগ্রাফি"-র সাথে তুলনা না করে "চটি"-র সাথে তুলনা করতে পারতেন! তবে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এটি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, আপনাকে/আপনাদেরকে পর্ণস্টার/রসময় গুপ্ত হিসেবে ব্লগাররা উপস্থাপন করবে!...... (December 4, 2011 near New York)" যাই হোক, দেশ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দেয়া স্ট্যাটাসে আসি। # গত বছরের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে লিখেছিলাম, কবিগুরু বলেছিলেন, "সাত কোটি জনতার হে মুগ্ধ বঙ্গ জননী, রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করো নি। " ১০ জানুয়ারী দেশে ফিরে তুমি বলেছিলে, "কবিগুরুর কথা আজ মিথ্যে প্রমাণিত হয়ে গেছে।

আমার বাঙালি আজ মানুষ হয়ে গেছে। " সাড়ে তিন বছর পর আমরা বাঙালিরা তোমাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছিলাম। পিতা, আমাদের ক্ষমা করো আর আশীর্বাদ করো, যেন স্বর্গে বসে ওয়াশিংটন, গান্ধী, আতার্তুকদের তুমি গর্ব করে বলতে পারো, "আমার সন্তানেরা আজ সত্যিই মানুষ হয়ে গিয়েছে"। # বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেই ১৫ আগস্ট লিখেছিলাম, ভারত গান্ধী কে "বাপু" ছাড়া কিছু ডাকে না, পাকিস্তানে জিন্নাহ শুধুই "কায়দে আজম"। আমেরিকা তার রাজধানীর নাম রাখে "ওয়াশিংটন"।

একসময় আমি জানতাম কামাল পাশার নাম "কামাল আতার্তুক"। আসলে "আতার্তুক" মানে তুর্কির বাবা। পৃথিবীর সকল দেশ তাদের জাতির পিতাকে সম্মান করতে পারে। শুধু আমরাই জাতির পিতাকে অস্বীকার করি। কোন সন্তান তার পিতাকে অস্বীকার করলে পিতার কিছু হয় না, বরং সন্তানই "জারজ" পরিচয়ে পরিচিতি পায়।

"পিতা" আমাদের ক্ষমা করো। আশীর্বাদ করো যেন, তোমার সন্তানরা সবাই যেন একসাথে আমাদের দেশটাকে ঠিক করতে পারি। (এই স্ট্যাটাসটি বিশাল ক্যাচাল-ফ্যাসাদের সৃষ্টি করেছিল!) # যদি কেউ ভেবে থাকেন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অন্ধ সমর্থন দিয়ে গেছি, আমি বছর শেষে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে লিখেছিলাম, আপনার জন্ম মুহূর্তের পূর্বের সময়টুকু কল্পনা করুন! ধরুন, আপনার জন্মের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে কোন এক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আপনার কর্মক্ষমতা হ্রাস করা হলো, আপনার বুদ্ধিবৃত্তি কমিয়ে দেয়া হলো! জন্মের পর আপনি মানসিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মাবেন! অন্য সবার সাথে ঠিকমত প্রতিযোগিতা করে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠতে আপনাকে অন্য সবার চেয়ে অস্বাভাবিক পরিশ্রম করতে হবে! বাংলাদেশের জন্ম মুহূর্তের পূর্বে তাকে মানসিকভাবে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী করে দেয়া হয়েছিল। সেজন্যেই হয়তোবা আজ চল্লিশ বছর পরেও বিশ্বের বুকে এখনো সংগ্রামরত! আর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে আমাদের পরিশ্রমের সুযোগটাও খুব কম! অফ টপিক ১: আমার ধারণা জাতীয় শোক দিবস দুইটি করা উচিত! শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসকে অবশ্যই শোক দিবস ঘোষণা করে জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করা উচিত! অনেক ফালতু ছুটি বন্ধ করে জাতীয় চেতনার ছুটি ১৪-১৬ ডিসেম্বর দেয়া উচিত! অফ টপিক ২: অস্বাভাবিক পরিশ্রমের জন্য আপনার কর্মক্ষম মেধাকে সম্পূর্ণ কাজে লাগাতে হবে! আফসোস, আমাদের দেশের "মেধা পাচার" এর পরিমাণটা অস্বাভাবিক বেশি! শ্রেষ্ঠ মেধা কাজে লাগানোরও উপায় খুব কম। .. # আর ১৬ ডিসেম্বর আমার লেখাটা এরকম ছিলঃ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছিলেন, "একজন মানুষের তিনটি 'মা' আছে।

এক ব্যক্তি মা, দুই মাতৃভাষা, তিন মাতৃভূমি। " যেকোন একজন মানুষের জন্য "মা" এর কাছ থেকে দূরে থাকবার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি! সুযোগ পেয়েও যারা মা-র কাছ থেকে দূরে থাকে তারা অনেক দূর্ভাগা! আমি সেই দূর্ভাগাদের দলে। তোমাকে জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা! সকল প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক দূর্যোগের ঝাপটা সহ্য করে চল্লিশ বছর ধরে এগিয়ে যাওয়ার শুভেচ্ছা! হাঁটি হাঁটি পা করে তো অনেক হলো! এখন দৌড়ানোর পালা! এরপর প্রেম এবং দর্শন!! এটাই পোস্টের অর্ধেকের বেশি খেয়ে দিবে! আমি আবার বিশাল প্রেমিক পুরুষ তবে প্রেমিকা ছাড়া! # প্রথমেই ভালবাসা দিবসে বলা এক ধরনের দার্শনিক কথাবার্তা! সকল প্রণয়ের পরিণতি যে পরিণয় পর্যন্ত পৌছাঁবে, এমন প্রতিজ্ঞার প্রথা নেই। কিছু কিছু প্রণয় প্রাণোচ্ছ্বাসের প্রাচূর্যকে পূর্ণতা দেয়। আবার প্রাণবেদনায় প্রাচীর পরিচয়ে পরিচিতি পায়।

প্রণয় প্রধানত প্রাণের প্রেরণার তরে হলে সেই প্রণয়ের প্রাসঙ্গিকতা প্রকাশ পায়। --সবাইকে ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা!! #আরেকবার ভালবাসা এবং বন্ধুত্বের দ্বন্দ্ব নিয়ে লিখলাম, শুধুমাত্র একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে "শুধুমাত্র বন্ধুত্ব" হওয়া কখনো সম্ভব নয়। সহজ কথায় one to one অবস্থায় একটা ছেলে আর একটা মেয়ের মধ্যে "Only Friendship" অসম্ভব! একটা গ্রুপে কয়েকটা ছেলে-মেয়ে থাকতে পারে। সেখানে পুরো গ্যাং এর মধ্যে একটা সুন্দর understanding, friendship সম্ভব। কিন্তু সেখানেও কারো না কারো মধ্যে অভ্যন্তরীণ "Crush" ঘটে থাকে! # স্ট্যাটাস খুঁজে দেখলাম আমার কোন এক অদ্ভুত কারণে ২৬শে মার্চ আমি ভালবাসা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম।

কারণটা বুঝলাম না! তুমি আমার কাছে আকাশের মতো, যখন ইচ্ছে হয় আমার মনের জানালাটা খুলে দেই, আমার দিগন্তজুড়ে তোমায় দেখি, কিন্তু তোমায় ছোঁয়ার স্পর্ধা দেখাই না। আমি স্বপ্নবাজ মানুষের মতো তোমায় ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখি। আবার দর্শন! এবার ইংরেজিতে! Life is the greatest Drama to be played with you. If you can not play your role according to the script, you are gone. Gone gona gone gone. Although it always gets the Best Story Award to give the pain to the main actors. The movie couldn't be any better than this.. # কোন এক কল্পিত নারীকে কল্পনা করে বলেছিলাম, জানিনা কখনো তোমায় ভালোবাসতে পারব কিনা, কখনো তোমার হাত ধরে বলতে পারব কিনা ভালোবাসি!! তোমায় ভালবাসার ইচ্ছে যে আমার বহুদিনের!! (April 7, 2011) # আবার লিখলাম, তোমায় পেলে আমি জোছনা দেখা ছেড়ে দিব, কারণ প্রতি রাতে আমার ঘর আলোকিত করে রাখা চাঁদ দেখার পর আমার আর নতুন করে জোছনা দেখার সাধ জাগবে না! আমি বৃষ্টিস্নান ছেড়ে দিব, সারাদিন ঘরের ভেতর বৃষ্টিবন্দী আমি, বর্ষণে সিক্ত থাকার পর আমার কি ভিজতে ইচ্ছে করবে বলো? আমি তুষারপাত দেখব না, প্রচণ্ড ঠান্ডায় আগুনের পাশে বসে থাকবো না বরং তোমায় জড়িয়ে ধরে নিজেকে উষ্ণ করে, হৃদয় শীতল করব। (July 22, 2011) # থাকি নিউ ইয়র্কে। মনে হলো, প্রেমিক-প্রেমিকাদের ঢাকা-নিউ ইয়র্ক এর ৭৮৭৩ মেইল দূরে থাকার যন্ত্রণা নিয়ে লিখি।

এই স্ট্যাটাসটি আমি দেয়ার পরে লাইক পড়ে ১৩-১৪টির মতো। আমার থেকে কপি করে আমার এক বন্ধু দেয়ার পরে তার স্ট্যাটাসে লাইক সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যায়! আফসুস! “দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্ক একটি সমকোণী ত্রিভুজের মতো। যেখানে AB হলো ভূমি। এর A বিন্দুতে ছেলেটি দাঁড়িয়ে থাকলে B বিন্দুতে মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকে। A ও B এর দূরত্ব ছেলেটি এবং মেয়েটির দূরত্বের সমতূল্য! উদাহরণস্বরূপ, ছেলেটি আমেরিকায় থাকলে এবং মেয়েটি বাংলাদেশে থাকলে A ও B এর দূরত্ব বাংলাদেশ এবং আমেরিকার দূরত্বের সমান।

এখন ধরুন, ছেলেটি A বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থেকে AC লম্ব উৎপন্ন করলো। তখন B কে অতিভুজ হয়ে C পর্যন্ত আসার দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে হয়। উল্টোটিও হতে পারে। যে-ই দূরত্ব অতিক্রম করুক না কেন, আর যে-ই প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকুক না কেন, দুইজনের অপেক্ষার যন্ত্রণাটা ভয়াবহ! এটাই দীর্ঘ দূরত্বের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা! "দীর্ঘ দূরত্ব একা পাড়ি দেয়া একজনের কষ্টের বর্গমান অবশ্যই তার সাথীর একা এতো দূরে অবস্থানের সহ্য-ক্ষমতার বর্গ এবং প্রতীক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার যন্ত্রণার বর্গের সমষ্টির সমান! (পীথাগোরাস প্রমাণিত!)। .... (November 26, 2011)” # একবার নিউ ইয়র্কে খুব বৃষ্টি হলো।

কিছু বাংলাদেশি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলাম গল্প করলাম। তার মাঝে যে আমি আমার কল্পনার তাকে খুব অনুভব করছিলাম। ব্যাস বাসায় এসে স্ট্যাটাস, এবারে কবিতা সহ!! অঝোর বারিধারায়, জনারণ্যের ব্যস্ত কোলাহলে নিজেকে আবিষ্কার করি, হঠাৎ প্রচণ্ড নিঃসঙ্গ আমি, হৃদয়ের মাঝে অনুভবে তুমি, কল্পনার সঙ্গী তুমি, তোমায় একটু না দেখতে পাবার যন্ত্রণায় তোমায় পাশে না পাবার বেদনায়, প্রচণ্ড অনুতাপে প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস-উচ্ছলতার মাঝেও নিরব আমি কি ক্ষতি হতো যদি বাস্তবতায় ধরা দিতে তুমি কি ক্ষতি হতো যদি বাস্তবে আমার পাশে আসতে, আমারই কাছে! কল্পনাটাকে বাস্তব করে, স্বপ্নময় মুহূর্তগুলোকে সাজাতে! --- আজ খুব অসাধারণ একটা বৃষ্টি হয়েছে নিউ ইয়র্কে! রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুরো বাংলাদেশ স্টাইলে বৃষ্টির মধ্যে চা খেয়েছি! সত্যি বলছি, সেখানে তোমার অভাব প্রচণ্ড অনুভব করেছি! তোমায় পাশে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে খুব ইচ্ছে করছিলো! (November 29, 2011 near New York) # এই দূরত্বে থেকেই প্রেমিকার কথা মনে করে একবার এই স্ট্যাটাস দিলাম, সেথায় আছি আমি তোমারও সাথে, যেথায় থাকো তুমি আমারও পাশে, আছি আমি দূরে, সাত সাগর পরে, ডুবে আছি তোমার হৃদয় সাগর তরে। অনুভবে তুমি, সমুদ্রের চেয়েও গভীর, অন্তর্দৃষ্টিতে তুমি আকাশের চেয়েও বিশাল। কল্পনার নাও বাই আমি তোমারও নদীর তীরে, বাস্তবে পাবো কবে তোমায়, সাত সাগর পাড়ে! (October 7, 2011 near New York) বৃষ্টি আমার জন্য সবসময়েই এক অতি প্রশান্তির ব্যাপার! যখনই বৃষ্টি পরে তখনই আমার মধ্যে এক অজানা রোমান্টিসিজম খেলা করে।

#বর্ষার প্রথমদিনে লিখেছিলাম, "মা হলেন বর্ষাঋতু। জলদান করেন, ফলদান করেন, নিবারণ করেন তাপ, ঊর্ধ্বলোক থেকে আপনাকে দেন বিগলিত করে, দূর করেন শুষ্কতা, ভরিয়ে দেন অভাব। "- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বর্ষার শুরু! কোন ধরনের দুর্যোগ আমাদের ক্ষতি করবে না, বরং বর্ষা এসে ভরিয়ে দিবে আমাদের মন-প্রাণ। নবধারা জলে সিক্ত করব শরীর, শুদ্ধ করব হৃদয়, এইই প্রত্যাশা।

প্রকৃতির স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ুক সর্বত্র, সমাজ হোক পরিশুদ্ধ। সবাইকে বাদল দিনের প্রথম কদম ফুলের শুভেচ্ছা! শুভ বর্ষা! #আবার বর্ষার শেষদিনে লিখলাম, জীবন থেকে আরো একটি বর্ষা হারিয়ে গেল। এখনও কোন নীল নবঘনে আষাঢ় গগনে কোন পূণ্যবতী তার মঙ্গলময় হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো না, "এসো, বৃষ্টিতে ভিজি। " অথবা কোন অঝোর শ্রাবণ ধারায় কোন কল্যাণীয়ার পবিত্র হাত টেনে ধরে বললাম না, "চলো, বৃষ্টি বিলাস করি। " ইদানিং অবশ্য একজন একসাথে বৃষ্টিতে ভেজার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

কিন্তু সবই মায়া! বাস্তবে তো এখন ঘটবার না। .. Eagerly waiting for পরবর্তী বর্ষা, আরো ১০ মাস!!.. #বৃষ্টি নিয়ে লেখা এই স্ট্যাটাসটি খুব হিট করেছিল। ২ বছরেরও বেশি সময় পর, আজ আবার অনেক সময় নিয়ে বৃষ্টিস্নান করলাম। একেবারে বাংলাদেশের ঝমঝমে আপন বৃষ্টি। কিন্তু শেষ বৃষ্টিস্নানের কল্পনার রমণীকে আজ যখন আমার বাস্তবের অস্তিত্ব ভাবতে চাই, তখনই আবিষ্কার করি, কিছু সত্ত্বার বাস কল্পনাতেই থাকে।

কেন কল্পনার আনন্দের রংগুলো বাস্তবে বেদনার ছবি হয়ে আসে? কেন সুখের মুহূর্তগুলো জীবনের আকাশে ফানুস হয়ে উড়ে না? # কিছুদিন পর লিখলাম, নিজেকে শুদ্ধ করবার জন্য প্রকৃতির জলের কোন তুলনা হয় না। নিজেকে অপবিত্র করে ফেলছিলাম বলে মনে হচ্ছিল!! কিন্তু আজ কিছুক্ষণ প্রচণ্ড উচ্ছলতার সাথে বর্ষার বারিধারায় নিজেকে সিক্ত করলাম। শরীরের সাথে মনের ময়লা দূর করার জন্য এর কোন তুলনা নেই!! সংস্কৃতি নিয়ে লিখলাম, বিভিন্ন সময়ে! # যেদিন তারেক মাসুদ আর মুনীর মারূফ মারা গেলেন! আমাদের ছোট্ট দেশটাতে মেধাবী মানুষের সংখ্যা খুব কম। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রসঙ্গ টানলে তো ব্যাপারটা একেবারেই হাতেগোণা! সেখান থেকে মেধাবীতম একজন মানুষের চলে যাওয়া! মাটির ময়না, অন্তর্যাত্রা, মুক্তির গান! শ্রেষ্ঠতমের ক্ষুদ্র তালিকার ৩টি ছবি!! এইরকম ছবিগুলোর নির্মাতার এভাবে চলে যাওয়া!! তারেক মাসুদ!! আপনি কাজটা ঠিক করেননি। আমাদের স্বপ্নগুলো এভাবে ভেঙে দেওয়ার কাজটা ঠিক করেননি।

(August 13, 2011) # আবার রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণ দিবসে লিখলাম, মহাকবির মহা প্রয়াণের এই দিবসে তাকে শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা। আমাকে গর্বভরে বাঙালি পরিচয় দেয়ার সুযোগ করে দেবার জন্যে! বাঙালিত্ব অনুধাবন করাতে পারবার জন্য!! তার মহা প্রয়াণ দিবসে বাংলা ভাষার আরেক দিকপাল নজরুলের "রবিহারা" কবিতার দুইটা লাইন, "বাঙালী ছাড়া কী হারাল বাঙালী কেহ বুঝিবেনা আর বাংলা ছাড়া এই পৃথিবীতে এত উঠিবেনা হাহাকার "। http://www.youtube.com/watch?v=jk04gc5IsZY মা দিবস আর রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী একই দিনে ছিল। লিখলাম দুইজনকে নিয়েই, "আর আমি-যে কিছু চাহি নে, চরণতলে বসে থাকিব। আর আমি-যে কিছু চাহি নে, জননী ব’লে শুধু ডাকিব।

" --মা না থাকলে আজকের আমি আর আমি হই না। আমি জন্মই নেই না। আর রবীন্দ্রনাথ না থাকলে এই Status টা লিখতে পারি না। আমি বাঙালি হিসেবে গর্ব করতে পারি না। ঠিক এই মুহূর্তে বাংলা ভাষার ঈশ্বরের অভাব খুব বোধ করছি।

তিনি বেঁচে থাকলে স্ট্যাটাস শব্দটার খুব সুন্দর একটা বাংলা বের করতেন!! (May 8, 2011) সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনেক কথা লিখেছি! তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু! # যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে লিখলাম, গোলাম আজমের বিরূদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়েছে! আলহামদুলিল্লাহ! অবশ্যই যেন এর মধ্যে কোন ফাঁক না থাকে! এবং পুরনো মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া যেন দ্রুততর হয়। এই সরকারের মেয়াদ শেষ হবার আগে পুরো বিচার প্রক্রিয়া শেষ করবার দরকার নেই। অন্তত নিজামী/মুজাহিদ/সাকা/আজম যেকোন এক-দুইজনের শাস্তি নিশ্চিত হোক! তাহলেই হবে! # ড. ইউনুস ইস্যুতে লিখলাম, কাকতালীয় কিনা জানিনা!? আজ ট্রেনে এক ভদ্রলোকের সাথে কথা হলো। আমি যখন তাকে পরিচয় দিলাম, আমি বাংলাদেশি! তিনি প্রথম যে বাক্যটি বললেন সেটি হলো, "ও তুমি ড. ইউনুসের দেশের লোক!" ভদ্রলোকের কথায় বুঝলাম, তিনি সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ জানেন না। বাসায় এসে প্রথম আলো খুলে "সাদাসিধে কথায়" একই পরিচয় পেলাম!! ড. ইউনুসকে ব্যক্তিগতভাবে ঠিক পছন্দ করি না।

কিন্তু কেমন যেন মনে হচ্ছে! (March 5, 2011) # আবার যোগাযোগ মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং নৌমন্ত্রীর কথাবার্তা বিষয়ে লিখলাম, সবকিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে, যোগাযোগমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই, বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থা এক নিমিষেই ঠিক হয়ে যাবে! আর ব্যাপারটা দেখে মনে হচ্ছে যে, আবুল হোসেন আসার আগে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অতি উন্নত ছিল! পদত্যাগ পদত্যাগ না করে, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হোক, সেটাই কি মূল দাবী হওয়া উচিত না? তবে আমাদের নৌমন্ত্রী একটা চিজ। গরু ছাগল আমরা সবাই চিনি, শুধু শেখ হাসিনাই চিনলেন না। এই আফসোসটা হচ্ছে! # গাদ্দাফির মৃত্যুর পরে লিখলাম, রক্ষা মাহাথির মোহাম্মদ আগে আগে অবসর নিয়েছিলেন! রক্ষা মালয়েশিয়ার মাটির নিচে সেরকম তেল নাই! নাহলে পশ্চিমা বিশ্বের আগ্রাসনে মাহাথির কবেই "বিশাল সন্ত্রাসী, স্বৈরাচারী নেতা" হয়ে মৃত্যবরণ করতেন! # ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের সময়ে সেখানে গিয়েছিলাম সেখান থেকে ফিরে এসে লিখলাম, একটা আন্দোলন কতটা Diversed, Unique, Cultural এবং একই সাথে কতটা Innovative, Creative, Exceptional এবং কতটা শান্তিপূর্ণ হতে পারে তা Wall Street এর আন্দোলন না দেখলে বুঝা যায় না! এক জায়গায় কিছু মানুষ নেচে গেয়ে আন্দোলন করছে, আবার কেউ মৌন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, আবার কেউ অভিনয় করে আন্দোলন করছে!! এক জায়গায় দেখলাম এক লোক একটা কবর বানিয়েছে। সেই কবরে সকল "পুঁজিবাদি ব্যবস্থা, অনিয়ম ইত্যাদি" সমাহিত করেছে। কবরের সামনে বসে উনি নিরবতা পালন করছেন।

এই কবর দেয়াটাই তার প্রতিবাদের ভাষা! I Must admit, It was a Great experience.. # চারদিকে সকল ফটোগ্রাফারদের ছড়াছড়ি দেখে লিখলাম কিছুটা ব্যঙ্গ করে, আগে শুনতাম দেশে কাক ও কবির অভাব নাই। এখন দেখি দেশে কাক, কবি আর চিত্রগ্রাহকের অভাব নাই। সকল কবিই কবিতা লেখে আর সকল চিত্রগ্রাহকই গলায় SLR/DSLR ঝুলায়। .... [সকল কাক, কবি আর চিত্রগ্রাহকদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করে। ] বি.দ্রঃ চিত্রগ্রাহক = Photographer. # আবার আমাদের সমাজের আশেপাশের কিছু ব্যাপার দেখে কিছুটা কিছুটা হতাশ হয়ে লিখলাম, নিজেকে কখনোই খুব আদর্শবান ভাবি না।

বরং নিজের মধ্যকার পঙ্কিল অংশগুলো দেখে ভীত হই। কিন্তু ইদানিং বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগের সাথে তুলনা করে নিজেকে বড় আদর্শবান, সরল, নীতিবান বলে মনে হয় (Narcism)! যদি এসব আদর্শের কথা বলার চেষ্টা করি তাহলে তারা বলে, "U talk like a 60 yrs old MAN. Njoy ur young age". নীতিকথা যদি Old Man এর Talk হয় তাহলে আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের 'আদর্শ'টা কী? আদৌ তারা কি কোন চিরায়ত আদর্শ ধারণ করে। হুমায়ূন আহমেদ আমার জীবনের মানসিকতা গঠনে এক বড় নাম! তিনি অসুস্থ হবার পরে কিছু স্ট্যাটাস দিয়েছি, তার জন্মবার্ষিকীতে লিখলাম, আমাদের মধ্যে কখনো বই পড়বার অভ্যাসটা ছিল না। ছোটবেলা থেকে আমাদের মধ্যবিত্তদের বই পড়া শিখিয়েছেন তিনি! আমাদের দৈনন্দিন জীবনে হাসি-কান্না-সুখ-দুঃখ, স্বপ্ন নির্মাণের সারথী তিনি! জীবনের ছোট্ট ব্যাপারগুলোকে সুন্দর করে তোলা, ভালবাসাকে আরেকটু সুন্দর করে বোঝানো, রসিকতা ব্যপারটাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে তিনি অতুলনীয়! তিনি অন্তত আমাকে এতটুকু বুঝাতে সমর্থ হয়েছেন যে, "ছোট্ট কিছু আনন্দময় মুহূর্তের সমষ্টির নাম জীবন!" স্যার আপনাকে বেঁচে থাকতেই হবে! আমাদের জন্য, বাঙালির স্বপ্ন নির্মাণের জন্য! শুভ জন্মবার্ষিকী Humayun Ahmed (November 13, 2011 near New York) তার কিছুদিন পর আবার লিখলাম, বিশেষজ্ঞরা অস্বীকার করতে পারে, অনেক উলটাপালটা কথা বলতে পারে, তাকে দামও না দিতে পারে কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের অসুস্থতার পর সাধারণ মানুষের ক্রমাগত লেখা, তার সুস্থতার জন্য মানুষের প্রার্থনা, মানুষের ক্রমাগত অবিচলতা হুমায়ূন আহমেদের "কিংবদন্তীতূল্য" জনপ্রিয়তারই পরিচায়ক! শামসুর রাহমানও অসুস্থ হয়েছিলেন, আল-মাহমুদ সহ অন্যান্য সাহিত্যিকেরাও অসুস্থ হোন। কিন্তু কাউকে নিয়ে এমন উন্মাদনা, এমন ব্যাকুলতা দেখা যায় না।

কথাটা অনেক বড় হয়ে যাবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে রবীন্দ্র-নজরুলের পরে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে বড় নাম হুমায়ূন আহমেদ! হ্যাঁ, যদি তার লেখায় কোন সাহিত্য না থাকে তারপরও তিনিই সবচেয়ে বড় নাম! স্যার আপনি আমাদের বই পড়া শিখিয়েছেন। আপনাকে যে বেঁচে থাকতেই হবে! (November 20, 2011 near New York) নিজের জন্মবার্ষিকীতে নানা মানুষের নানা উইশ আর ভালবাসা পেয়ে লিখলাম, পৃথিবী নামক গ্রহে জন্মের কারণে কিছু জানা-পরিচয় যে এই ধরিত্রীরই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে, তা মার্ক জুকারবার্গের কল্যাণে আমার ভার্চুয়াল দেয়াল দেখে বুঝলাম! ধন্যবাদ সবাইকে। এতো ভালবাসা পাবার যোগ্যতা নিয়ে পৃথিবীতে আসিনি, তাই ভালবাসা ফেরত না দিতে পারবার আশঙ্কায় ঋণী হয়ে থাকবার ভয় হয়। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি অকৃতি অধম ব’লেও তো কিছু কম করে মোরে দাওনি; যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া কেড়েও তা কিছু নাওনি।

। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.