আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন জেনে নেই প্রিয় কিছু মুভির পেছনের মজার কিছু তথ্য- ২য় পর্ব

শিন্ডলার্স লিস্ট: ***১৯৮০ সালের অক্টোবর মাসের কোন এক দিন "শিন্ডলার্স লিস্ট " উপন্যাসটির লেখক "টমাস কেনেলি" একটি বইয়ের সাইনিং সিরেমনি শেষে প্লেনে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাচ্ছিলেন। বিমান বন্দরে নামার পর তিনি সেখানেই একটি দোকানে যান নতুন একটি ব্রিফকেস কিনতে। দোকানটির মালিক ছিল "লিও পোল্ড প্রিফারবার্গ " - যিনি সেই ১২০০ জনের মাঝে একজন ছিলেন যাদের অস্কার শিন্ডলার্স জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে বাচিয়েছিলেন। ***টমাস কেনেলিকে তার ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট পরিশোধ করার জন্য ৫০ মিনিট সময় লাগে। এদিকে প্রিফারবার্গ এর স্বভাবই ছিল, যারাই তার দোকানে আসত আর কোন কারনে ওয়েট করতে হত তাদের কাছেই অস্কার শিন্ডলার্স এর কাহিনী বলত।

তো টমাসকেও সে ৫০ মিনিট সময় ধরে এসব গল্প শোনায়। সেই গল্পটা লেখকের মনে ধরে এবং ঠিক করে যে এটা নিয়ে তার পরের উপন্যাস লিখবে। সেটাই মূলত উপন্যাসটির অরিজিন। ***দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নামকরা মুভি "দি লংগেস্ট ডে" এর পর সবচেয়ে ব্যয়বহুল সাদাকালো মুভি হল "শিন্ডলার্স লিস্ট"। লংগেস্ট ডে মুভিটি এই রেকর্ড প্রায় ৩০ বছর ধরে রেখেছিল ।

***-প্রায় ২০,০০০ কস্টিউম বা পোশাক(কয়েদির পোশাক) জোগার করার জন্য মুভিটির কস্টিউম ডিজাইনার খবরের কাগজে এড দিয়েছিলেন। সেসময় পোলেন্ডের অর্থনীতিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই অনেক লোকই সেইসব যুদ্ধের স্মৃতি গুলো বিক্রি করে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে। যেগুলো তারা ১৯৪০ সাল থেকে জমিয়ে রেখেছিল সযত্নে। ***শিন্ডলার্স লিস্ট পুরো মুভিতে কোন সবুজ কালার বা সবুজ কাপড ব্যবহার করা হয়নি।

সবুজ কালার ব্লাক এন্ড হোয়াইট ফিল্মে কাল দেখাবে এ কারনে কোন প্রকার সবুজ কালার ব্যবহার করা হয়নি। ***হ্যারিসন ফোর্ডকে অস্কার শিন্ডলার্স চরিএটি করার অফার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি যুক্তি দেখান যে তার স্টার তাকমাটি ঠিক ছবির গল্পের সাথে যায় না। তাই তিনি সবিনয়ে অফারটি ফিরিয়ে দেন। ***মিসিং ইহুদিদের তালিকা একটি স্যুটকেস পাওয়া গিয়েছিল।

তার গোপন সব কার্যাবলির বিবরনের সাথে এটি ছিল। এটি পাওয়া যায় ১৯৯৯ সালে যেখানে অস্কার শিন্ডলার্স তার জীবনের শেষ কিছু দিন ছিলেন। তার এই থাকার সময়কাল হল ১৯৭৪ সাল। ***মুভিটির ৪০% নরমাল হ্যান্ডিক্যাম ব্যাবহার করে ধারন করা হয়েছিল। ***এটিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবসা সফল সাদা কালো মুভি ।

নিজের দেশে ৯৬ মিলিয়ন ডলার এবং বিদেশে ৩২১ মিলিয়ন ডলার আয় করে। ***জিউস দের একটি ট্রাডিশন আছে যে, যখন কেও কোন গ্রেভ বা কবরস্হান পরিদর্শন করবে তখন সম্মান স্বরুপ সে একটি পাথর রেখে আসবে। এ জন্য মুভিটির শেষে আমরা ইহুদিদের একটি করে পাথর শিন্ডলার্স এর গ্রেভে রেখে আসতে দেখি। কাস্ট এ্যাওয়ে: ***মুভিটির বেশির ভাগ রাতের দৃশ্য দ্বীপে (শুধু মাএ আগুন তৈরির দৃশ্য ছাডা) শুটিং করা হয়েছিল দিনের বেলায় । অন্ধকার এবং রাতের আকাশ যুক্ত হয়েছিল পোস্ট প্রোডাকসনের সময়।

***ফেড এক্স এর মালিক এবং প্রতিষ্ঠাতা ফ্রেড স্মিথ এর ছোট্ট একটি দৃশ্য আছে মুভিটিতে। ***আপনি যদি Chuck Noland (টম হ্যাংস) এর প্রথম ওয়ার্ড C নেন আর যদি এভাবে পডেন তবে হবে 'C. Noland' অথবা "see no land". ***আমরা অনেকেই মনে করি যে ফেডএক্স কোম্পানি মুভিটির স্পনসর করেছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল ফেডএক্স মুভিটিতে তাদের উপস্হিতির জন্য এক টাকাও দেয়নি। এ কথা মুভিটির ডিরেক্টর অনেক সাক্ষাৎকারেই বলেছেন। ***পুরো মুভিটি শুটিং করতে ৩ টি ভলিবল ব্যবহার করা হয়েছি।

বলগুলো পরে নিলামে উঠেছিল । এদের দাম উঠেছি। ১৮,৪০০ $ মার্কিন ডলার। ***মুভিটিতে আমরা দেখি টম হ্যাংস ভলিবলের সাথে কথা বলছে। তবে ভলি বল কথা না বললেও ঠিকই একজন টম হ্যাংসের কথার উত্তর দিয়েছিল।

যদিও আমরা এসব শুনি না। মূলত দৃশ্যটির সাথে টম কে ভাল ভাবে ইন্টারেক্ট করারনোর জন্য এমন টি করা হয়েছিল। ***মুভিটিতে টম হ্যাংস কেলির ((Helen Hunt) একটি চিএ আকে গুহার দেয়ালে। 'As Good as It Gets' মুভিটিতে যেখানে Helen Hunt ও অভিনয় করেছেন, একটি ডায়লগছিল যেখানে Helen Hunt এর কোস্টার বলছেন "you're the reason cavemen chiseled on walls" ***যে দ্বিপ টিতে মুভিটির শুটিং হয়েছিল তা আপনি গুল আর্থে দেখতে পারেন। তা দেখার জন্য -17.609277,177.0397 গুগল ম্যাপে পেস্ট করুন এবং স্যাটেলাইট ভিওতে যান।

টার্মিনেটর ২ : জাজমেন্ট ডে: ***এই মুভির ট্যাগ লাইন ছিল "'It's nothing personal'" নব্বই এর দশকে বেশির ভাগ ফিল্মে একটি ডায়লগ ছিল "'This time, it's personal'" ***মুভিটির নির্মান কাল অনেক বেশি ছিল। প্রায় কয়েক বছর লেগেছিল এটা নির্মান করতে। এর কারনে কিশোর জন কনরের গলার স্বর চেন্জ হয়ে গিয়েছিল। পরে পোস্ট প্রোডাকশনে তার স্বর এডিট করে দেয়া হয়েছে। ***মুভিটিতে অরনাল্ডর একটা বিখ্যাত উক্তি ছিল।

"I need a vacation" । ঠিক সেই উক্তিটিই ছিল তার আগের মুভিটিতে। সেই মুভিটির নাম "Kindergarten Cop" *** T1000 (জন কনরের পেছনে ধাওয়া করে যে রোবট- Robert Patrick ) রোবট টার নেম ব্যাচ এ লিখা ছিল "Austin" । মজার ব্যাপার হল পরিচালকের নামও ছিল "Stephanie Austin" তার চেয়েও মজার ব্যাপার হল Robert Patrick এর মেয়ের নামও ছিল Austin ***এটিএম বুথ এর যে দৃশ্য দেখানো হয় সেখানে দেখা যায় কনর তার ল্যাপটপএ একটা কোড দিচ্ছে। সেই কোড টি আমরা দেখতে পাই না।

কোডটি ছিল ৯০০৩ *** Cyberdyne HQ এ যে বিস্ফোরন টি দেখানো হয় সেটি ধারন করতে সেই সময়ে ১১ টি ক্যামেরা রাখা হয়েছিল। *** মুভিটর ইনিশিয়াল পর্যায়ে প্রায় ১১ মিলিয়ন ফুট শুট করা হয়েছিল। তাই সময় স্বল্পতার কারনে তিন জন এডিটর একসাথে কাজ করেছেন । কিন্তু তারা আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করেছেন। তিনটি ভাগে তাদের ভাগ করে দেয়া হয়েছিল।

*** সাউন্ড ডিজাইনার একস্ট্রা ভাবে সিংহের গর্জন ব্যাবহার বা এ্যাড করেছিলেন যখন তেলবাহি বড ট্যাংকারটি মাটিতে ঘষে ঘষে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল। ***মুভিটর শেষে যে স্টিল মিল দেখানো হয় তা প্রায় ১০ বছর আগেই (মুভি নির্মানের) বন্ধ হয়েগিয়েছিল। মুভিটির শুটিংএর সময় এমন রিয়েল শব্দ হচ্ছিল যে সাবেক ওয়ার্কাররা ভাবছিল এটি বুঝি আবার চালু হয়েছে। ***টার্মিনেটর ফিল্ম গুলোর মাঝে এটিই একমাএ যা অস্কার পেয়েছিল বা নমিনেশন পেয়েছিল। এটি ৪ টি ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পেয়েছিল এবং ২ টি অস্কার পেয়েছিল।

***মুভিটিতে জাজমেন্ট ডে হিসেবে বর্ননা করা হয় "২৯ আগস্ট ১৯৯৭" । ২৯ আগস্ট প্রকৃত পক্ষে রাশিয়ার একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তারা পারমানবিক বোমার সফল পরিক্ষা চালায়। ***অরনাল্ড কে রাজি করানোর জন্য প্রডিউসার তাকে একটি Gulfstream III airplane উপহার দেয়। যার বাজার মূল্য সেই সময় ছিল প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার।

___________________________________________________ প্রথম পর্ব- আসুন জেনে নেই প্রিয় কিছু মুভির পেছনের মজার কিছু তথ্য [তৃতীয় পর্বের জন্য আমন্ত্রন থাকল ]  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.