আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিখলাম আরকি

প্রত্যেকে মোরা পরের তরে বন্ধু কাফি, গনি, রজব, আভা, হিল্লোল, জিকির আর ভৌমিককের সাথে সাপ্তাহিক আড্ডায় বসলাম লুইয়ের নকশা করা বিশাল এক ভবনের সামনের পায়ে চলা পথের ধারের উপর। পাশ দিয়ে জান্তব নগরীর জন্তুদের ছুটে চলার আওয়াজ বারেবারে ছন্দ পতন ঘটাচ্ছে, কিন্তু কি আর করা এর চেয়ে ভাল আড্ডার জায়াগা যে আজ অব্ধি খুজে পেলাম না। হাতের কাছে চায়ের দোকান- যা কিনা আড্ডার ফুয়েল আর বিস্তৃত রাস্তার বিশালতার মাঝে হয়তো কেও বিরক্ত করবেনা এই কারনেই মনে হয় আর নতুন জায়গার খোঁজে যাওয়া হয়নি। তাছাড়া প্রত্যেকের বাসা থেকে জায়গাটা খুব কাছে। যাই হোক আসল গল্পে যাওয়া যাক।

বন্ধু রজব আমাদের মাঝে সবচেয় বেশি মাসিক বেতনের অধিকারী, একটা আন্তর্জাতিক সংস্থায় বেশ আরামদায়ক একটা আরামকেদারা তার জন্য বরাদ্দ্য। আমরা হরহামেশাই রজবের কাছে চাকরীর আবেদন করে থাকি। ইতোমধ্যে সে আমাদের বন্ধু কাফির প্রেয়সীকে সেখানে চাকরী পেতে সাহায্যও করেছে। রজবের এখন ভরা মৌসুম, উগান্ডা প্রবাসী এবং নিবাসী এক শ্বেত কন্যার সাথে তার মন দেয়া নেয়া চলছে, আর রজব সেই কারনেই উগান্ডার সোনার ভিসা নিয়ে সেখানে যেয়ে তার হবু বাবা-মার সাথে দেখা করে এবং কন্যার আঙ্গুলে কিছু একটা গুজে দেবার আনন্দে আটখানা। আমরা রজবের এই সুদিনে তার পাশে আছি, কারন সুদিনেই নাকি আসল বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায় !! রজব অনেক বেতন পেতে পারে কিন্তু চান্দু টাকা পয়সা খরচের বেলায় নাই।

সে কতবার আমাদের উদরে নিজের পকেটের টাকা ঢেলেছে তা হয়তো গুনলে একটা আঙ্গুলের সব গুলো কড়াও শেষ হবেনা। তার এহেন সুদিনে আমরা তার কাছে খাওয়ার আবদার করলাম ইত্ত্যবসরে গনি তার হেঁড়ে গলা থেকে হরহরিয়ে কথা বলেই যাচ্ছিলো। তার অনেক দিনের জমে থাকা অভিযোগ গুলোকে এক নিশ্বাসে উগড়ে দিচ্ছিল, কে জানে আড্ডার পরে বেচে থাকে কিনা এই ভয়েই হয়তো। আমার পূর্বে গনিই আমাদের গ্রুপের একমাত্র ব্যক্তি ছিল যে কিনা ছাদন তলায় গিয়েছে। তার ঘরের ঘরণী আমাদের সবার খুব প্রিয় মানুষ।

ইতোপূর্বে গনি রজবের কাছে নিজের বৌয়ের জন্য একটা চাকরীর ব্যবস্থা করার আকুল আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু রজবের পক্ষে সেই আবেদনের সাড়া এখন পর্যন্ত দেয়া সম্ভব হয়নি। গনি রজবকে উদ্দেশ্য করে বলছেঃ "তুই বেটা কেমন বন্ধু অন্য সবার বউরে করস, আমার বউরে করস না" । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।