আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি আরবে ধরপাকড় প্রসঙ্গে ।

আমার দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি কিন্তু, পইড়া রইলাম পরের দেশে। আপসোস !! সৌদি আরবে সম্প্রতি ব্যাপক ধর-পাকরের খবর সবাই শুনে থাকবেন , সাথে কিছু গুজব । আসলে সৌদিতে ধর-পাকর শুরু হলেও তা মূলত যারা এখানে অবৈধ তাদের জন্য । সাধারন, বৈধ তাদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না । যেমন ধরেন , নিতাকাত বা সৌদি করণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়।

আর শ্রম মন্ত্রণালয়ের এই ঘোষণায় বেকায়দায় পড়েছে ফ্রি ভিসায়(স্পন্সরকে মাসোহারা দিয়ে বাইরে কাজ করা) কাজ করা বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০লাখ শ্রমিক। সে লক্ষে গত চার মাসে বিভিন্ন দেশের প্রায় ২লাখ অবৈধ শ্রমিককে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে আরো ২০লাখ শ্রমিককে ফেরত পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়। শ্রম মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত করা ছোট এবং মাঝারী ধরনের প্রায় ২লাখ ৫০হাজার লাল ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় (শতকরা ৩০শতাংশ) সৌদি নাগরিক নিয়োগ দিয়ে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের জন্য প্রশাসন সময়সীমা বেঁধে দেন যা শেষ হয়েছে বুধবার। সময়সীমা শেষ হওয়ার পর লাল ক্যাটাগরির থাকা কোম্পানির শ্রমিকদের ইকামা কোনো অবস্থাতেই নবায়ন হবেনা উল্লেখ করে যে সব শ্রমিক লাল ক্যাটাগরি, নিজ স্পন্সর ব্যতিত অন্য স্পন্সরের অধীনে কাজ করেন,যাদের ইকামার মেয়াদ এরইমধ্যে শেষ হয়ে গেছে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়। ২০১২সালের ২৯ আগস্ট প্রকাশিত সৌদি সরকারের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশী শ্রমিক ভারতের।

সরকারি হিসাব মতে ভারতের শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ২০লাখ, দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ এই পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের শ্রমিক সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৫লাখ। শ্রমিক সংখ্যায় বাংলাদেশের কাছাকাছি অবস্থান করছে পাকিস্থান, এর পর ফিলিপাইন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে , যারা লাল ক্যাটাগরির তাদের আকামা কোনভাবেই নবায়ন করা যাবে না , আর তাই তারা এখানে থাকতে হলে অবৈধ ভাবে থাকতে হবে । তাই , সরকারের তরফ থেকে একাধিক বার তাদের লাল ক্যাটগরি পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়া হলেও যারা করতে ব্যার্থ হয়েছে তাদের বাধ্যতা মুলক এই দেশ ত্যাগ করতে হবে । আর দেশত্যাগের শেষ সময় গত বুধবার পর্যন্ত ছিল ।

তাই , এখন সরকার সাড়াষি অভিযানের মাধ্যমে লাল ক্যাটাগরির লোকদের ধর-পাকর শুরু করেছে । আর এই জন্য প্রত্যেক আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ীতে বসানো হয়েছে আলাদা কম্পিউটার , যার মাধ্যমে সনাক্ত করা হবে লাল/হলুদ/সবুজ ক্যাটাগরির আকামা ধারনকারী ব্যাক্তিদের । তাই এখানে যারা লাল ক্যাটাগরি বিহীন আছেন তাদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না । এছাড়া যদি আপনি আপনার আকামা ক্যাটাগরি অনলাইনে ছেক করতে চান তাহলে এই লিংকে গিয়ে মাজখানের বক্সটিতে আকামার নাম্বার লিখে ছেক করতে পারেন । ফেসবুকে এই নিয়ে দেখলাম অনেক পোষ্ট দেওয়া হয়েছে যার কোন ভিত্তি নাই , যেমন ঃ ৭০লাখ প্রবাসিদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে , আকামা ছিঁড়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে , শুধুমাত্র বাঙ্গালিদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি ।

এই সব কিছু স্বার্থানেশী মানুষ তাদের নিজ ফয়দার জন্য অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে । যদিও সাধারন বৈধ শ্রমিকদের মাজে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে তারপরও যারা বৈধ আছেন তাদের কোন আতংকের কিছু নাই । ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.