আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সৌদি নারীদের লড়াই

We Are For All !

ভোট প্রদান এমনকি গাড়ি চালানোর অধিকার নেই, নেই পারিবারিক সম্মতির বাইরে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন। পিতা থেকে ভাই কিংবা চাচা অত:পর বিয়ের পর অভিভাবকত্বের সমস্ত দায়িত্ব এসে পড়ে স্বামীর উপর। যুগ যুগ ধরে এভাবেই পরিচালিত হচ্ছে সৌদি আরবের নারীদের জীবন। তবে এবার হয়ত পরিবর্তনের সময় এসেছে। অন্যান্য অনেক দেশের মত কিছু সৌদি নারীরাও তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হচ্ছেন।

বিশ্বের রক্ষণশীল দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম। সৌদি ঐতিহ্য এবং ইসলামি শরিয়াহ মতে নারীর চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা এমনকি গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নারীরা তাদের শিশুদের জন্য বাবার লিখিত অনুমতি ছাড়া ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারে না, শিশুকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারে না, এমনকী শিশুর সঙ্গে ভ্রমণও করতে পারে না। পুরষ প্রতিনিধি ছাড়া মেয়েরা কোনো সরকারি সংস্থা যেখানে মহিলাদের জন্য আলাদা কোনো জায়গা নেই সেখানে ঢুকতে পারে না। তবে এর ব্যতিক্রমও শুরু হয়েছে।

সৌদি সরকার গত দুই বছরে দেশে মানবাধিকার সংগঠন 'হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচআরডব্লিউ) এর অবাধ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। এতে অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশে করতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর নতুন একটি আইন বলে সৌদি নারীরা অভিভাবক ছাড়া একা হোটেলে অবস্থান করার অনুমতিও পেয়েছে। সেখানকার কিছু নারী আন্দোলনেও নেমেছে পুরুষদের সঙ্গে অসমতা বজায় রাখার জন্য৷ এদিকে পুরুষদের অভিভাবকত্বের অধিকারকে ধরে রাখতে আন্দোলনে নেমেছেন কিছু সৌদি নারী৷ আন্দোলনের নাম ‘মাই গার্ডিয়ান নোজ বেস্ট ফর মি'৷ জেদ্দার রওদা আল-ইউসুফ এই আন্দোলনের সূচনা করেন৷ এখন এই আন্দোলনের সদস্য সংখ্যা কয়েক হাজার এবং এর নিজস্ব ওয়েবসাইটও আছে৷ আল-ইউসুফ বলেন, ‘‘আমার খুব দুঃখ লাগে, যখন দেখি অল্পসংখ্যক নারী আছেন, যারা তথাকথিত নারী মুক্তির কথা বলেন, যা ইসলামী শরীয়াহ কিংবা আরবের ঐতিহ্যগত মূল্যবোধকে সমর্থন করেনা৷'' আল-ইউসুফ পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান করতে চান৷ অদূর ভবিষ্যতে বিষয়টি নিয়ে একটা প্রামাণ্য চিত্রও নির্মাণ করতে চান তিনি৷ তাঁর এই আন্দোলনের একজন অন্যতম সমর্থক হচ্ছেন সৌদি রাজ পরিবারের নারী সদস্য প্রিন্সেস আবদুল্লাহ বিন্ত জালাউয়ি আল-সৌদ৷ তবে আল-ইউসুফের এই প্রচারণার বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরবের নারীবাদীদের ছোট্ট দলটি, যারা পুরুষ অভিভাবকত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে চায়৷ এই দলের মধ্যে আছেন লেখিকা ও সাংবাদিক ওয়াজেহা আল-হায়দার৷ গত জুন মাসে আল-হায়দার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা'র কাছে একটি খোলা চিঠি লেখেন৷ সেই চিঠিতে তিনি ওবামাকে বাদশা আবদুল্লাহ'র সঙ্গে পরবর্তী সাক্ষাতকালে সৌদি আরবের মেয়েদের পুরুষ দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করার জন্য আবেদন জানান৷

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.