আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাগুরায় প্রশাসনের সহায়তায় বাড়ছেই ব্যারেল চিমনির ভাটা

জীবনও যখনও শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো.. মাগুরায় এ বছর মোট ৬৭টি ভাটায় ইট পোড়ানোর কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই অবৈধ। কৃষিজমিতে গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন এসব ভাটা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও ভাটা মালিকরা তা মানছেন না। বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে তাদের কার্যক্রম। মাগুরা ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মাগুরায় ৩৫টি বৈধ ভাটার পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন ১১টি ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ চলে।

কিন্তু অবৈধ ওই ভাটাগুলো বন্ধের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে না পারায় এ বছর তা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। মাগুরা একতা ভাটার মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম কনক জানান, প্রতিবছর একজন ব্যবসায়ীকে বৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করতে গেলে লাইসেন্স নবায়ন থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন ট্যাক্স ও অন্যান্য খাত বাবদ ন্যূনতম ২ লাখ ৫২ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু অবৈধভাবে ভাটা চালাতে গেলে সরকারি কোনো কর পরিশোধ করতে হয় না। তিনি বলেন, বিগত সময়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ব্যারেল চিমনির অবৈধ ভাটাগুলো বন্ধ না করায় এ বছর তারা আরও উত্সাহী হয়ে উঠেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, গত বছর কেবল সদর উপজেলায় সাতটি অবৈধ ইটভাটা ছিল।

অথচ এ বছর সেখানে তৈরি হয়েছে ১৯টি ভাটা। যার মধ্যে কেবল কসুন্দি ইউনিয়নেই গড়ে উঠেছে নয়টি। গত মাসের শেষদিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় স্থানীয় প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ওই ভাটাগুলো বন্ধ করে দিলেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় তারা আবার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রেজোয়ান সাইদিন লিজু বলেন, প্রশাসন লোক দেখানো কিছু অভিযান চালিয়েছে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এইসব অবৈধ ভাটার তত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার চক্রবর্তী বলেন, মাগুরা সদরেই এ বছর ১৮টি নতুন ভাটার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ তারা কেউই কৃষি বিভাগের অনুমোদনের নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। তারপরও চলছে সেসব ভাটা। এতে করে দিনে দিনে কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসছে।

এ বিষয়ে পাতুড়িয়া গ্রামের ভাটা মালিক করিম বিশ্বাস বলেন, প্রশাসন আমাদের ভাটা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা আবার তা চালু করেছি। প্রশাসন যেহেতু পুনরায় বন্ধ করে দিচ্ছে না। এজন্য আমরা এটিকে বড় কোনো অপরাধ বলে ভাবছি না। এদিকে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভাটা মালিকদের অবৈধ তত্পরতার কথা স্বীকার করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তবিবর রহমান বলেন, বিভিন্ন অবৈধ ভাটায় অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলেও কেউ কেউ আবার শুরু করেছে।

অবিলম্বে সেগুলো বন্ধ করা না হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদের জেল-জরিমানা করা হবে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।