আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাগুরায় নতুন করে জন্ম নিয়েছেন কাজলা দিদি'র কবি যোতিন্দ্রমোহন বাগচি!!!!!!!!

জীবনও যখনও শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো.. মাগুরা জেলা প্রশাসকের তথ্য বাতায়ন ওয়েব সাইটে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম পুরুষ কাজলা দিদি’র কবি যতীন্দ্র মোহন বাগচিকে নিয়ে একটি ভুল তথ্য সংযোজিত হওয়ায় দেশ বিদেশের সাহিত্যিক ও সুধি সমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করেছেন কবি পরিবারের সদস্যসহ অনেকে। তারা অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট থেকে এটি অপসারণেরও দাবি জানিয়েছেন। মাগুরা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সাপোর্ট টু ডিজিটাল বাংলাদেশ-একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম এর সহায়তায় পরিচালিত ডাব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ.ডিসিমাগুরা.গভ. বিডি.কম ওয়েব সাইটটিতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। হোমপেজে মুখবন্ধে মাগুরার প্রখ্যাত কবি হিসেবে যতীন্দ্রমোহন বাগচির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ভেতরের দিকে জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিদের তালিকাতেও তার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচির জন্ম মাগুরার শ্রীপুরে এবং যার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো-কেয়া, বন্ধুর দান ইত্যাদি। একই তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে জেলার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ডাব্লিউডাব্লিউডাব্লিউ.ইউএনওশ্রীপুরমাগুরা.গভ.বিডি.কম ওয়েব সাইটেও। ভারতে বসবাসকারী কবি পরিবারের সদস্য ইশিতা ভাদুড়ি, বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক কথা সাহিত্যিক তপন বাগচি, কবি সাগর জামানসহ আরো অনেকে জানান, কাজলা দিদির এই কবি ১৮৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর ১২৮৫ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে নদীয়া জেলার জমশেরপুরের বিখ্যাত জমিদার বাগচি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ পরিবারে তখন রামপ্রাণ বাগচি, জ্ঞানেন্দনারায়ণ বাগচি ও কবি দ্বিজেন্দ্রনারায়ণ বাগিচ সাহিত্য জগতে প্রতিষ্ঠিত নাম। যতীন্দ্র মোহন বাগচির ঠাকুরদা রামগংগা ছিলেন নাসিরপুর রাজার দেওয়ান।

তার বাবা হরিমোহন বাগচি ছিলেন নদীয়া জেলার সম্মানী ব্যক্তি। যতীন্দ্রমোহন বাগচি প্রতাপশালী জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও সাধারণের সাথে মিশেই তিনি সেখানে শৈশব পার করেছেন। তিনি রবীন্দ্রানুসারী কবিদের মধ্যে অন্যতম। ১৯০৯ সাল থেকে ১৯১৩ সাল পর্যন্ত তার সম্পাদনা ‘মানসী’ পত্রিকা বের হতো। এছাড়া ১৯২১ সাল থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত ‘যমুনা’ পত্রিকার যুগ্ম-স¤পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এক সময় তিনি তার সম্পাদন পূর্বাচল পত্রিকা প্রকাশিত হতো। ইশিতা ভাদুড়ি বলেন, যোতিন্দ্রমোহন বাগচির প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বন্ধুর দান, রেখা, লেখা, অপরাজিতা, নাগকেশর, জাগরণী, নীহারিকা, মহাভারতী ইত্যাদি। তার ‘কাজলা দিদি’ সব শ্রেণীর পাঠকের কাছেই একটি প্রিয় কবিতা। পাঠকের হৃদয়ে কাজলা দিদি ¯পর্শ করে। কাজলাদিদির জন্য সবারই মন খারাপ হয়।

অনেকের চোখ থেকে নীরবে জল ঝরে। এই কবিকে নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি দুঃখজনক। এটির সংশোধন হওয়া জরুরি। তরুণ কবি সাগর জামান বলেন, তাকে আমরা চিনি। কাজলা দিদি তার অনবদ্য সৃষ্টি।

গ্রাম-বাংলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ, পল্লী-জীবনের সুখ-দুঃখ, ভাগ্যাহত ও নিপীড়িত নারীর প্রতি সমবেদনা তার বিভিন্ন কবিতায় আন্তরিকতার সঙ্গে সহজ সরল ভাষায় তাৎপর্যম-িতভাবে ফুটে উঠেছে। তাকে নিয়ে বিভ্রান্তি সমীচিন নয়। ’ বাংলা একাডেমি’র উপ-পরিচালক তপন বাগচি বলেন, ‘যাদের এটির দেখভাল করার কথা তারা আদৌ সেটি করেন না। বিভিন্ন জেলার ওয়েবসাইট অসংখ্য ভুলে ভরা। যাদের নাম থাকবার কথা তাদের নাম নেই।

অথচ অন্যদের নাম সংযোজিত হয়েছে। কবি যোতিন্দ্রমোহন বাগচি সম্পর্কে এখানে ভুল তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। এটির সংশোধন এখনই করতে হবে। ’ এ ব্যাপারে মাগুরা জেলা প্রশাসক সুশান্ত কুমার সাহা যা বলেছেন তা আর লিখলাম না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।