আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মিডিয়া ট্রায়াল আর সত্যের নীরব কান্না !!! (কপি পেষ্ট)

দেইল্যা ওরপে দেলু! যারা নিয়মিত খবর দেখেন তারা এই শব্দ দুটির সাথে পরিচিত থাকার কথা। কারণ, বর্তমান তথাকথিত একদলীয় বিচারক নিয়োগকৃত ট্রাইব্যুনালের সরকার দলীয় আইনজীবীদের প্রত্যেকদিনের প্রেস কনফারেন্সের কমন কয়েকটি শব্দ। প্রথম থেকেই আওয়ামলীগ গণমানুষের নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ঠুনকো অভিযোগ দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে, তাতে হালে পানি না পেয়ে তার চরিত্রে কালিমা লিপ্ত করার জন্য তার বিরুদ্ধে ৭১ এ হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষণের অভিযোগ পর্যন্ত উপস্থাপন করেছে! আর প্রত্যেকদিন জায়েদ আল মালুম গংরা মিডিয়ার সামনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেইল্যা ওরপে দেলু বলে কটুক্তি করেই যাচ্ছে। আর আমাদের সুশীলদের আজ্ঞাবহ মিডিয়া তা বগল বাজিয়ে প্রচার করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে একজন সর্বজন বিদিত আলেমকে এভাবে বিচারের আগে হেস্তন্যাস্ত করা কি ঠিক? আপনারা নিশ্চয়ই বলবেন ঠিক না।

এবং অনেকে তা বিশ্বাস ও করেন না। যদি প্রথম আলো রিপোর্ট করে দেইল্যা রাজাকার বলে, তাহলে ইসলামিস্টরা তা একবাক্যে সেই রিপোর্টকে ভুয়া হিসেবে আখ্যায়িত করবেন। অথচ সেই প্রথম আলো যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আরেকটি রিপোর্ট করে তাহলে কেন আপনি গ্রোগ্রাসে গিলছেন? যে সাঈদীকে নিয়ে প্রথম আলো এমন রিপোর্টকে আপনি মিথ্যা বলে বিশ্বাস করেন, সেই প্রথম আলোর অণ্য একটি রিপোর্ট আপনার কাছে কিভাবে বিশ্বাসযোগ্য হয়? প্রথম আলো এবং তার তথাকথিত সুশীল গংরা এদেশে বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এটা তাদের অনেক আচরণে ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন পূর্বে ইডেন কন্যা ফারজানাকে নিয়ে প্রথম আলোর এক রিপোর্টে কত বড় ঘটনাটা ঘটে গেল! আমাদের মিডিয়ার কল্যাণে জানলাম বীরকণ্যা ফারজানার কথা।

কেউ কেউ ব্লগে এ নিয়ে ঝড়ও তুলেছেন। সরকারী দলের সংসদীয় দলের উপনেতা ফারজানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাহ্। অথচ আমরা একটিবারও জানার আগ্রহ প্রকাশ করলাম না বর একজন স্কুল শিক্ষক হয়েও কেন যৌতুক চাইতে যাবে? আমাদের এতটুকু ধৈর্য্য কুলোয় না একটু অপেক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা জানতে। বিয়ের আসরে বর-কনে..... সেই স্কুল শিক্ষক তার বিয়ের পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের যা বলেছিল তা কেউ কি শোনার চেষ্টা করেছেন? তার একটি কথাই আমার এখনো কানে বাজছে।

প্রথমে সাংবাদিকদের সালাম দিয়ে সে বলেছিল, "অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমার বিয়ের দিনটি ধার্য্য করেছিলাম ১১.১১.১১। কিন্তু সামান্য নেল পলিস রিমুভার নিয়ে সামান্য কথাকাটিকাটির প্রসঙ্গে সে এমন সিদ্ধান্ত নেবে ভাবতেই পারিনি। " সে এও বলেছিল, তাদের বিয়ের সকল কেনাকাটা তারা ঢাকা থেকেই করেছিল। এবং তখন অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের পাশাপাশি ফারজানাও ছিল। আজ প্রথম আলোর সাংবাদিক হওয়ার কারণে একটা জেদী মেয়ের একঘুঁয়েমীকে আড়াল করতে গিয়ে ফারজানার দুলা ভাইয়ের কলমের খোঁচায় একটি ছেলের স্বপ্নই ভেঙ্গে যায়নি, তাকে আজীবন চরম গ্লানি নিয়ে বসবাস করতে হবে।

তাতেও ক্ষান্ত্য হয়নি আমাদের সুশীল মিডিয়া, তার অন্ন যোগানোর সম্ভল চাকরিটা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। দেশ কাঁপানো ঘটনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোমানা মঞ্জুরের স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের কথা আবাল-বুদ্ধ-বণিতা সবার আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল। আমি এটা নির্ধিদ্বায় স্বীকার করছি এবং মন থেকেই বলছি, রোমানা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তা কথনোই সাপোর্টেবল না। এটা মধ্যযুগীয়, বর্বর এবং কাপুরুষোচিত নির্যাতন, যা ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু মিডিয়া কেন পক্ষপাতিত্ব করবে? মিডিয়া কি উভয়ের অভিযোগ সমানভাবে ফলো আপ করেছে? করেনি।

মিডিয়া শুধু নির্যাতন কথাই প্রচার করে গিয়েছে। কিন্তু একবারও সাঈদের বক্তব্য কি শোনার চেষ্টা করেছে। হয়তো সে মিথ্যে বলতো। কিন্তু আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ তো নাগরিক অধিকার। হাসান সাঈদের কোন বক্তব্যই হাতে গোনা দু’ একটা অখ্যাত মিডিয়া ছাড়া কেউই প্রচান করেনি।

কেন হাসান সাঈদ এমন কাজ করলো? দীর্ঘ পাঁচ বছর রিলেশন। এরপর বিয়ে। সাত বছরের দাম্পত্য জীবন। তবু কেন এত বড় নিসংসতা ঘটে গেল। .....................শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুর হাসান সাঈদেও তখন একটা সাক্ষাতকার ছাপিয়েছিল দৈনিক মানব জমিন।

সাক্ষাতকারের কয়েকটি কথা আজো আমার কানে বাজে। সে বলেছিল, আমি তাকে অনেক ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আমার ব্যবহৃত গাড়ীটি বিক্রি করে তাকে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার্থে পাঠিয়েছি। আর দীর্ঘ দেড় বছর আমি আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তার জন্য প্রতিক্ষার প্রহর গুনেছি। প্রতিটি রাত ছিল আমার নির্ঘুম।

প্রতিটি দিন আমি ক্যালন্ডারের পাতা গুনে কাটিয়েছি। একজন হাসান সাঈদ নিষ্ঠুর, কিন্তু তার ভেতর কিছুটা হলেও মনষ্যত্ব ছিল, ছিল ভালবাসার তীব্র হাহাকার। ....আটককৃত হাসান সাঈদ আজ যারা ব্লগে ঝড় তুলছেন, আপনিই বলেন যদি আপনার স্ত্রী কারো সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়, আপনি কি সহ্য করবেন? কিংবা আপনার স্বামী যদি অন্য কোন মেয়ে নিয়ে লিভ টুগেদার করে আপনি কি তা সহ্য করবেন? হাসান সাঈদ বুয়েটে ভর্তি হয়েছিল কিন্তু পড়াশোনা শেষ করতে পারে নি। সেটা ভিন্ন ইস্যু। কিন্তু ভর্তি হওয়াটা তো সহজ ছিল না।

নিশ্চয়ই মেধার জোরেই সে ভর্তি হয়েছিল। যখন তাদের বিয়ে হয় রোমানা মঞ্জুর তখন অনার্স শেষ করে। সাঈদ ইচ্ছে করলে তাকে গৃহিনী বানিয়ে রাখতে পারতো। কত মেয়েই তো ফাস্ট ক্লাস পাওয়ার পরও কোন চাকরি বাকরি না করে নিজের ঘর গোছানোর কাজে নিয়োজিত আছে। কিন্তু সাঈদ তা করেনি।

বরং ভালবাসার মানুষের সফলতাকে সে নিজের সফলতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। একজন হাসান কখনো তাদের মাঝে প্রেস্টিজ ইস্যু নিয়ে ভাবেনি। আর রোমানা? মাস্টার্স শেষ করে স্বামীর টাকায় যখন স্কলারশিপ নিয়ে কানাডা পড়তে গেল তখন আরেকজন হাসান সাঈদ যুগিয়ে নিয়েছে। আর অন্যদিকে আন্ধা (!)সাঈদ প্রেয়সীর ঘরে ফেরার দিন গুনে বিনিদ্র রজনী কাটিয়ে নিয়েছে। .....স্বপ্ন এঁকেছে,,,হাজারো হাসান সাঈদ বেকার, ইন্টার পাস আর রোমানা আজ বিশ্ববিধ্যালয়ের শিক্ষিকা!!! প্রেস্টিজ আছে না? কিভাবে রোমানা তার স্বামীর পরিচয় দিবে লোকজনের কাছে? এবার শুরু হলো তাকে এড়িয়ে চলা।

দেশে ফেরার পরও যখন হাসান স্ত্রীর সান্নিধ্য চাইতো তখনও , সে কৌশলে এড়িয়ে যেত। এ পর্যায়ে আমি ইসলামের দাম্পত্য জীবন নিয়ে যে বিধি-নিষেধ রয়েছে তা আরেকবার স্মরণ করার জন্য সম্মানিত ব্লগার/পাঠকদের অনুরোধ করবো। কোন অবস্থায় স্বামীকে এড়িয়ে চলার জন্য বলা হয়েছে, তা নিশ্চয়ই অনেকের জানা আছে। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। এ সম্পর্ক যখন ভায়োলেট হতে শুরু করে করে তখনই শুরু হয় মনোমালিন্য।

এ মনোমালিন্য দূর করার জণ্য রোমানার বাপের বাড়ীতে বেশ কয়েকবার দেন-দরবার হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয় নি। তার পরের ঘটনা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু আমাদের মিডিয়া কি করলো? বিচারের আগেই বিচার করে দিল। একজন নারী এভাবে নির্যাতিত হওয়ায় তথাকথিত সুশীলরা ঝাঁপিয়ে পড়লেও ভিকারুন্নিসার একজন ছাত্রী শিক্ষাকের লালসার শিকার হলেও তারা ছিল নিশ্চুপ।

সেখানে উল্টো প্রথম আলো গংরা পিরমলের পক্ষ অবলম্বন করেছিল। ছিল না সরকারের কোন কর্তা ব্যক্তির মন্তব্য। বরং ভিকারুন্নিসার ততকালীন অধ্যক্ষ ’মিচুয়াল সেক্সের’ প্রবক্তা হোসনে আরার পক্ষাবলম্বন করেছিল। ...... বামদের কথা না হয় বাদই দিলাম। অনেক ইসলামিস্ট, পজেটিভ মাইন্ডেড ব্লগারের মন্তব্য দেখে খুবই অবাক লেগেছে।

আমরা এতটাই অস্থির! কোন ঘটনা পুরোটা না জেনে একটা বিরুপ মন্তব্য জুড়ে দিই। আপনাদের নিকট আমার প্রশ্ন যে প্রথম আলোতে সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলে আপনি বিশ্বাস করনে না, সেই প্রথম আলোর অন্য একটি রিপোর্ট করলে আপনার বিশ্বাস হয় কি করে? অবশেষে জানতে চাই সত্য । নারী বা পুরুষ নয় মানুষের জীবনের সত্য ঘটনা । সাংবাদিক ভাইরা আশা করি সততার সাথে খবর পরিবেশন করবেন । মূল লিঙ্ক Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.