আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুগের ডায়রিয়া লাগানো খবর: নতুন পার্টিক্যাল খুইজা পাওয়া গেছে ঘন্টা খানেক আগে এলএইচসির ডাটা থিকা, যদিও টাটকা খবর হইলেও কোনো বড় ইস্যু না!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই! জ্বী, একজন প্রফেসর বিলিয়ন বিলিয়ন কলিশনের ডাটা হিসাব কইরা বয়ান দিলো ঘন্টা খানেক আগে সে একখান পার্টিক্যাল পাওন গেছে। সে তার নামও দিছে, উচ্চারন করবার পারতাছি না, দাতে ব্যাথা, কপি পেস্ট মারলাম তার নাম : cb(3P) নামের মাজেজা নিয়া কেউ জিগায়েন না, তয় এই পার্টিক্যাল খানের কাম কি সেইটা কই: ফার্মিল্যাবের ডি জিরো নামের একটা এক্সপেরিম্যান্ট আছিলো টেভাট্রন কোলাইডরে যেইটা এখন পুরাই বন্ধ। ঐখানে একটা কোলাইডার সিন্কট্রোনে প্রোটন আর এন্টি প্রোটনরে গরম কইরা মাথা নষ্ট কইরা ছাইড়া দিতো গোলাকার সিলিন্ডারে। ঐখানে তারা ঘুরতে ঘুরতে মাথায় মাথায় ঠোয়া খাইতো।

তো এই প্রোটন আবার তৈরী তিনখান কোয়ার্ক নামের কনিকা দিয়া। দুইখান টপ আরেকখান বটম কোয়ার্ক। আসলে কোয়ার্কের মান আমরা তাগো ঘুরানী দেইখা পাই। যেইটা টপ সেইটা হইলো উপ্রে আর নীচে হইলো তার ঘুরনি। তো এগুলান আটকায় আছে গ্লুওন নামের বস্তার ভিতর।

তো কথা হইলো এই কনিকা খান একখান উপরে আরেকখান নীচে ঘুরন্তি এইগুলান একটা সাথে একটা লাইগা আছে কেমনে? টেভাট্রনের ডি জিরো এক্সপেরিমেন্টে যখন এই নীচার দিকে ঘুরা বিউটি বোটম কোয়ার্ক নিয়া গবেষনা চলতাছিলো তখন এক প্রফ কইছিলো এগো আটকানোর জন্য একখান কনা আছে, তয় এইটা সে দেখাইবার পারে নাই। বেচারা তখন এই মুখ ফইসকা থিওরী দেওনের লিগাই পিএইচডি বোগল দাবা করে আর আজকা কিছুক্ষন আগে হিসাব কইরা দেখায় যে এলএইচসির গত কলিশন এক্সপেরিম্যান্টে মিউন ডিটেক্টরে কিছু ধাক্কা ধাক্কির খুজ পাইছে। প্রথমে তো ভাবছিলো আমাগো বাংলাদেশের কুলি ছবির নায়িক পপি, পরে দেখলো না এইটা একটা পার্টিক্যাল। আর এইটাই তার হারাইয়া যাওয়া থিওরীর কাহিনী। ভরের রেন্জ্ঞ পাইছে ১০GeV তে! বোলগার রিফাত হোসেন মন্তব্যে একখান বুদ্ধি দিছে, যেইটা আমি ফেলবার পারতাছি না।

তাই ভাবলাম উনার রিকোয়েস্ট না ফেইলা পোস্টে সাটাই দেই! তার আগে একখান ফটুক দেখেন: তো এইটা হইলো একখান প্রোটন যারে ভাংলে এগুলান দেখা যাইবো। স হজ ভাবে কইতে গেলে ৯-১০ এ পড়ছিলেন কি অনু ভাংলে পরমানু আর পরমানু ভাংলে ইলেক্ট্রন আর নিউক্লিয়াস পাবেন? তো আপনে নিউক্লিয়াস ভাংলেন, ভাংলে পড়ে কনিকা হিসাবে পাবেন নিউট্রন আর প্রোটন। তো আপনে প্রোটন ভাংলেন। প্রোটন ভাংলে পাবেন দু ধরনের তিনটি কোয়ার্ক কনিকা। টপ, টপ আর বটম কোয়ার্ক।

দুটো টপ কোয়ার্ক গ্লুওন দিয়ে আর টপ বটম একে অপরের সাথে কোয়ার্ক এন্টি কোয়ার্ক জোড়া দিয়ে লাগানো। এই কনাটার কাজ হলো এই কোয়ার্ক আর তার এন্টি কোয়ার্ক জোড়া লাগানোর কাজ টা করে! এই একখান আচায্য তথ্য দেই এই যে টপ কোয়ার্ক এইটার ভর কার সমান জানেন? পুরা একখান সিলভার অনুর সমান! তার মানের প্রোটনের থিকা অনেকগুন বেশী! কন তো কেমনে? জানবার চাইলে আমার এই ফটকাবাজী পোস্ট পড়াবার পারেন! যাই হোউক বলা হয় এই বটম কোয়ার্ক আর তার এন্টি বটম কোয়ার্করে এক ছাদের নীচে সংসার করানোর পিছনে এর হাত আছে! আর কনিকাগুলান নিউক্লিয়াসের ভিতরের জেলে যেই শক্তিশালী মিথস্ক্রিয় শক্তির কারনে জেল খাটতাছে এই কনিকাও একই কাম করতাছে! মিউন মিউন ডিটেক্টরে খোজ পাওয়া এই কনিকারে কেমনে পাইলো জানতে চাইলে এই পেপারে কিলকান! পেপার খান লিখতে চাইছিলাম মাগার ঘুমে ধরছে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।