আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দাদুর অন্তিম যাত্রা...

আজ বেলা ১ টায় সাভারের বাসায় দাদুর মৃত্যু হলো। তারপর, ঢাকার কাঁঠালবাগানে (যেখানে দাদু প্রায় ৪০ বছর আবাসিক ছিলেন) দাদুর মরদেহ আনা হয়। তারপর, রাত ৮ টার দিকে তাকে আনা হলো জীবনের সর্বোচ্চ সময় কাটানো (৫০ বছরের অধিককাল) চারূকলা প্রাঙ্গণে। বিকাল থেকেই চারূকলায় এসে মন-বিষণ্ণ করে জড় হয়ে গেছে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারি ও দাদুর অসংখ্য ভক্ত গুণগ্রাহী তরূণ দল। কবি-শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী আর ভিড় করল সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের রিপোর্টাররা।

মরদেহ রাখা হলো চারুকলার মূল বারান্দায়। আমরা সারিবদ্ধ সবাই মরদেহের ওপর গোলাপ রাখছি আর লাবু ভাই বাঁশিতে করূণ কান্না তুলে সবার চোখ অশ্রূসিক্ত করে চলেছেন_এটুকুই আমাদের একমাত্র আনুষ্ঠানিকতা। ফুলে ফুলে মরদেহ শোভিত তখন। অসাম্প্রদায়িক, সাত্বিক চেতনার শতবর্ষী মানুষ, আর্ট-মডেল, নন কনভেনশনাল অর্নামেন্টের কারিগর, শিল্পী ও সৌখিন ভাস্কর দাদুর প্রতি এটাই আমাদের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন...১ ঘণ্টা পর মরদেহ চারুকলার অপজিটে মোল্লার ক্যান্টিনের সামনে (বর্তমানে, ছবির হাট) নিয়ে আরো ১ ঘন্টা রাখা হলো। আবার লাবু ভাইয়ের বাঁশি, আবার বাঁশিতে সুরের কান্না...দাদুকে সবাই শেষবারের মতো দেখে নিচ্ছে তখন।

পুরো শাহবাগ অণ্চল ব্যথিত, শোকাহত। এ অণ্চলের পুরোধা বর্ষীয়ান (১০৩) মানুষটি আজ আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। শেষবারের মতো তার ছবি তুলে নিচ্ছে যে যার মতো...তারপর, বহুদিন আগের ফেলে আসা জন্মভূমি শরিয়তপুরের দিকে দাদুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হলো। দাদু, তোমাকে আমরা সহজেই ভুলে যাব_সে ক্ষমতা আমাদের নেই... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।