আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিজের দেশকে যারা ঘৃনা করে।

যা ভাবি যতটুকু বুঝি অথবা আমার ভাবনাগুলি মা কাকে বলে? যে গর্ভে ধারণ করে লালন পালন করে, সেই তো মা। বুক ভড়া ন্সেহ, মমতা আদর সবই পাই মা তোমার কাছ থেকে। তোমার স্তনেই আছে আমার বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি আর ভবিষ্যত স্বপ্ন । রাগ নয় শুধুই যত অনুরাগের মজাটা মায়ের কাছ থেকেই পাই। কত আবদার তোমার কাছ থেকে! মা-তোমার কোলেই পাই সবচাইতে নিরাপত্তা।

তুমি আমায় বাঁচিয়ে রাখ। অচেনাদের ভিড়ে ধিক্কার, লাঞ্চনা, স্বার্থপরতা আর তুমি যে আমার নিজের, রাখ স্বযতনে নারীর বাঁধণে। মাকে আমি দুইভাগে ভাগ করেছি। (১) দশমাস দশদিন গর্ভধারীনি মা। (২) আজীবন গর্ভধারীনি দেশ মা।

(এমন কি মৃত্যুর পরেও যার বুকের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকি) গর্ভধারীনি মা তোমাকে কৃতজ্ঞতা জানাই দশমাস দশদিন ধারণ করার জন্য আর দেশ মা তোমাকেও কৃতজ্ঞতা জানাই আজীবন ও মৃত্যুর পরেও তোমর গর্ভে রাখার জন্য। আমার দেশ-মা, তুমি আমায় গর্ভে ধারণ কর। যত সোহাগ, আদর আর নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছ। ফুলে ফলে ভরে দিয়েছ আবার রেখেছ অনেক অপূর্ণতায়। মাঝে মাঝে অনেক রাগ করি তোমার সাথে, অস্থির হয়ে যাই- যখন ছুঁয়ে যায় আমায়, তোমার দারিদ্রতায়।

তোমর সন্তানদের মুর্খতা আর নিরলিপ্ততায়, যখন অন্যেরা ঘৃনার চোখে দেখে আর করে উপহাস তখন রেগে ফুলে যাই, আবার সান্ত হই এই ভেবে যে তুমি তো আমারই মা আর এরা তো তোমারই সন্তান, আমার সহদর। তবে দেশ’মা আমি আশাবাদী তোমাকে আর তোমার সন্তাদের কে নিয়ে, এদের নিয়েই একদিন ঠিকই মাথা উচু করে দাঁড়াব বিশ্বের বুকে। আমাদেরকে দেখে অবাক বিশ্ময়ে তাকিয়ে থাকবে বিশ্ব। তাই নিজের মা-কে কি ঘৃণা করা যায়! তবে তোমার সন্তানেদের কেউ কেউ অন্যের উন্নতি দেখে কেন বলে যে ‘‘আই হেট বাংলাদেশ”? ওরা কেন বোঝেনা ঘৃণা করে কি লাভ! ওরাওতো পরিচিত বাংলাদেশী বলে। ভিনদেশীরা ওদেরকেউ তো বাংলাদেশী বলে গালি দেয়, আর নিজের জন্মকে কি অস্বীকার করা যায়? আর করলেও কি অন্যেরা মন থেকে এদের কে স্বীকৃতি দেয়? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.