আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের নাম : বাংলাদেশ , বয়স : ৪০ বছর , প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি ...

আজ থেকে ৪০ বছর এর ও কয়েক মাস আগে যখন পাকিস্থানি হানাদারেরা আমাদের উপরে ঝাপিয়ে পড়ল , তখন দেশের মানুষ জীবন বাচাতে পার্শবর্তী দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল l দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধের পরে তারা দেশে ফিরে আসল কারণ তখন একটা স্বাধীন দেশের জন্ম হয়ছে , একটা বাসযোগ্য ভুখন্ড যেখানে প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারবে, যেখানে মানুষের জন্য স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা থাকবে, যেখানে শোষনহীন একটা শাসন ব্যবস্থা থাকবে , যেখানে নিশ্চিতভাবেই মেধার মুল্লায়ান হবে, যেখানে একটি সুস্থ , স্বাভাবিক আর শান্তিময় পরিবেশ থাকবে l আজ ৪০ বছর পরে যখন দেখি দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠী হতাশাচ্ছন্ন , নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ , যখন মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলা - চিন্তা করার অধিকার হারিয়ে ফেলছে , তখন দেশের সামর্থবান মেধাবী জনগোষ্ঠী বিশ্বের উন্নত দেশগুলাতে আশ্রয় নেয়ার প্রানন্ত চেষ্ঠা করছে l আমি এমন অনেককেই বাক্তিগতভাবে চিনি যারা প্রচন্ড আশাহত হয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে , হইতোবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিন্তু সেই মানুষটি হয়ত কখনোই দেশ ছেড়ে চলে যেতে চাই নাই l পড়ালেখা বা উন্নত জীবনধারণের জন্য দেশের বাইরে যাওয়া ভিন্ন বাপার কিন্তু আমরা কি দেশে এই পরিবেশ তৈরী করতে পেরেছি যে সেই বাক্তি দেশে ফিরে আসবে ? আমার মনে হয়না বিগত ৪০ বছর এ দেশে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বরং ক্রমান্নয়ে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে l সামাজিক এবং রাজনেতিক ভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরী হচ্ছে যেটা স্বাভাবিক আর সুস্থ জীবন যাপন কে পুরোপুরি অসম্ভব করে তুলছে l আর যারা দেশে আছে তাদের খুব কমই দেশকে ভালোবেসে কিছু করছে , তারা করছে নিজেদের বাক্তিগত সার্থশিধ্ধির জন্য যেটা খুব সহজেই বুঝতে পারা যায় যখন দেখবে তাদের পুত্র-কন্যাদের কে দেশের বাইরে পাঠিয়ে নিরাপদে গড়ে তুলছে l দেশকে প্রকৃত ভালোবাসলে বিন্দুমাত্র দুর্নীতি করা কারো পক্ষেই সম্ভব হত না l স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও কেন দেশের মানুষ এতটা হতাশাচ্চন্ন , কেন নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ ....এমনটা কি হবার কথা ছিল ?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.