আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুক্তিযুদ্ধের এ টু জেড

মনের মহাজন খুঁজে ফিরি.... এম. মিজানুর রহমান সোহেল ১৯৭১। পৃথিবীর মানচিত্রে আর একটি নতুন নাম যুক্ত হয়। ৭১ এর ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুদীর্ঘ ৯ মাসের বীর বাঙালী জনতার সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। জন্ম হয় লাল-সবুজে আকা বহুল কাঙ্খিত একটি পতাকার। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের অসংখ্য অর্থপূর্ণ মানে রয়েছে।

তবে আজ সেসব কথা না বলে শুধু আমাদের এই মহান 'মুক্তিযুদ্ধের এ টু জেড' উপস্থাপন করবো। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর কথা ১৯৭০ সালের সাধারন নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে ১৬৭টি এবং প্রাদেশিক পরিষদে ২৮৮ আসন লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ট দল হিসাবে আত্বপ্রকাশ করে। নিয়মানুযায়ী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে পাক শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের ভাবী প্রধান মন্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেন এবং ৩ মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে বলে ঘোষনা দেন। কিন্তু তিনি শেখ মুজিবের সাথে কোনরূপ পরামর্শ না করেই তিনি ১ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন।

এতে বাঙালী ছাত্র জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ঘোষিত হল আর ছয় দফা নয় এবারে এক দফা আন্দোলন। শেখ মুজিবের নেতৃত্বে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ৭১ এর অগ্নিঝরা মার্চ ১ মার্চ, ১৯৭১ : ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন পরবর্তী তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত রাখা হলো। এ ঘোষণার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ দেশব্যাপী ২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।

পাশাপাশি ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় চূড়ান্ত কর্মসুচী ঘোষণা করা হবে বলে জানায়। ২ মার্চ ১৯৭১ : ঢাকায় শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন। আওয়ামীলীগ পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করে। ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। কারফিউ জারী হয় সন্ধা ৭ টা থেকে ভোর ৭টা।

৬ মার্চ ১৯৭১ : সর্বাত্বক অসহযোগ আন্দোলন। আন্দোলরত নজগণকে সমর্থন জানাতে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা আন্দোরনে যোগ দেয়। এছাড়াও এদিন জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে ইয়াহিয়া ২৫ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। লে. জে. টিক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর নিয়োগ দেন। ৭ মার্চ ১৯৭১ : রেসকোর্স ময়দানে এক ঐতিহাসিক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক নীতি নির্ধারনী ভাষণ দেন।

যা স্বাধীনতার ইতিহাসে ৭ মার্চের ভাষন হিসাবে অনুপ্রানিত। রাতে আওয়ামী লীগ ১০ দফার ভিত্তিতে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। টিক্কা খান ঢাকায় আসেন। বিভিন্ন স্থানে বাঙালি অবাঙালি সংঘর্ষ ও সামরিক বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ৯ মার্চ ১৯৭১ : মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পল্টন ময়দানে ভাষন দেন।

‘ইয়াহিয়া কে তাই বলি, অনেক হইয়াছে আর নয়। তিক্ততা বাড়াইয়া আর লাভ নেই। ‘লাকুম দিনুকুম আলিয়াদ্বীন’ এর তোমার ধর্ম তোমার আমার ধর্ম আমার) নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার স্বীকার করে নাও। শেখ মুজিবের নিদের্শমত আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোন কিছু করা না হলে আমি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মিলিত হইয়া ১৯৫২ সালের ন্যায় তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। ভাষানী এদিন ১৪ দফা ঘোষণা করেন।

১৫ মার্চ ১৯৭১ : শেখ মুজিবের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশ্যে ইয়াহিয়া ঢাকায় আসেন। ২৩ মার্চ ১৯৭১ : পাকিস্তানের জাতীয় দিবস আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করেন। ফলাফলবিহীন আলোচনা চলতে থাকে। সর্বত্র বাংলাদেশের নতুন জাতীয পাতাক উত্তোলিত হয়। ২৫ মার্চ ১৯৭১ : আলোচনা ভেঙে যায়।

ইয়াহিয়া ও ভূট্টো গোপনে পাকিস্তান চলে যায়। যাবার আগে তারা গণ হত্যার নির্দেশ দিয়ে যান। ইতোমধ্যে ব্যাপক পাকিস্তানি সৈন্যের সমাগম ঘটে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু হয়। শেখ মুজিবকে বন্দি করে করাচি নিয়ে যায়।

২৬ মার্চ ১৯৭১ : চট্টগ্রামের কালুঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন মেজর জিয়াউর রহমান। এ ঘোষণা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং জনগন স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রবাসী সরকার গঠন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মুজিব নগরে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র জারি করা হয়। এবং বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১০ এপ্রিলের ঘোষণা অনুযায়ী বাংাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়, যা ১৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করে।

মুক্তিযুদ্ধের গঠন কাঠামো প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম জি ওসমানী। যার তত্ত্বাবধানে ছিল দুটি বাহিনী। অনিয়মিত বহিনী এফ এফ এবং নিয়মিত বাহিনী সৈনিক বৃন্দ এম এফ। নিয়মিত বাহিনীর অধীনে ছিল বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, সেক্টর বাহিনী ১১টি এবং বিগ্রেট বাহিনী ৩টি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পরিচয় : জন্ম : ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ রাত ৮ টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম পিতার নাম : শেখ লুৎফর রহমান মাতার নাম : শায়েরা খাতুন শিক্ষা : ১৯৪৭ সালে কোলকাতা থেকে বি. এ পাশ করে। স্ত্রীর নাম : ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ : ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাসে।

রাজনৈতিক জীবন : - ১৯৩৯ সালে ৮ম শ্রেণীতে পড়াকালে প্রথম ৭ দিনের কারাবাস। - ১৯৪০ সালে গোপালগঞ্জ মহকুমা মুসলিম লীগের ডিফেন্স কমিটির সেক্রেটারী নির্বাচিত। - ১৯৪৪ সালে ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সেক্রেটারী নির্বাচিত। - ১৯৪৬ সালে কোলকাতা ইসলামিয়া কলেজের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। - ১৯৪৮ মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

- ১৯৪৮ মাওলানা ভাসানীর সাথে ভুখা মিছিলে নেৃতত্বদান ও কারাবরন। ৩ জুন আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম। জেলে থেকেই সহ-সম্পাদক নির্বাচিত। - ১৯৫২ সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত। - ১৯৫৫ সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।

- ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত। - ১৯৬৬ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত। - ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার। - ১৯৭০ জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ। - ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

- ১৯৭২ সালের ২৪ জানুযারি-১৯৭৫ ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। - ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি - ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নিহত। ২৬ মার্চ বেতারে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম প্রিয় দেশবাসী আমি মেজর জিয়া বলছি, মহান জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষনা করছি। আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন। দলে দলে এসে যোগ দিন স্বাধীনতা যুদ্ধে।

গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স, সোভিয়েট ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের সকল স্বাধীনতা প্রিয় দেশের উদ্দেশ্যে আমাদের আহ্বান আমাদের ন্যায় যুদ্ধে সমর্থন দিন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন। ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের অবধারিত। এছাড়াও ৩০ মার্চ ১৯৭১ মেজর জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন, সাহায্য ও স্বীকৃতি লাভের জন্য আরেকবার ইংরেজীতে ঘোষণা দেন। বাংলাদেশের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ ১. সিপাহী মোস্তফা কামাল জন্ম : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭ জন্মস্থান : ভোলা জেলার দৌলত থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে। পিতার নাম : হাবিবুর রহমান মন্ডল মৃত্যু : ৮ এপ্রিল, ১৯৭১ যেভাবে শহীদ হন : ১৯৭১ সারের ৮ এপ্রিল আখাউড়ার দক্ষিনে উত্তর দরুইন গ্রামে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনীর হামলায় নিহত হন।

তিনি সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ২. ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রব জন্ম : মে মাস ১৯৪৩ সাল। জন্ম স্থান : ফরিদপুর জেলার বোয়াল খালী থানার সালমেতপুর গ্রামে। পিতার নাম : মুন্সী মেহেদী হাসান। মাতার নাম : মোছা. মুকিদুন্নেসা মৃত্যু ২০ এপ্রিল যেভাবে শহীদ হন : রাঙামাটি ও মঙলাচড়ি সংযোগ গ্রাম বুড়িমাট এলাকায় চিংড়ি খানের দু পাশে নির্মিত প্রতিরক্ষা বুহ্য অক্ষুণœ রাখতে শহীদান।

তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্য ছিলেন। ৩. ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান জন্ম : ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ জন্ম স্থান : লক্ষীপুর জেলার রায়পুরা থানার রামনগর গ্রামে। পিতার নাম : আব্দুস সামাদ মৃত্যু : ২০ আগস্ট যেভাবে শহীদ হন : স্বাধীনতার যুদ্ধ চলাকারীন তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। যুদ্ধ শুরু হবার পর তিনি দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের বিমান সমর্থন দেবার চিন্তা করতে থাকেন। সুযোগ বুঝে পকিস্থান বিমান বাহিনীর মসরুর মাটি থেকে একটি টি-৩৩ জঙ্গী বিমান ছিনিয়ে নেন এবং বাংলাদেশের পথে রওনা হন।

কিন্তু সিন্ধু প্রদেশের মরু অঞ্চলে বিমানটি বিদ্ধস্ত হলে তিনি শহীদ হন। ৪. ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্দ জন্ম : ২৬ এপ্রিল ১৯৩৬ জন্মস্থান : নড়াইল জেলার মহেশপুর গ্রামে পিতার নাম : মোহাম্মদ আমানত শেখ মাতার নাম : মোছা জনানাত বেগম মৃত্যু ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ যেভাবে শহীদ হন : ৮ নম্বর সেক্টরে স্থায়ী টহলে নিয়োজিত থাকার সময় ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক ত্রিমুখী আক্রমনের মুখে পড়েন। সঙ্গীদের বাঁচাতে গিয়ে একাকী পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সঙ্গীর পালাতে সহায়তা করেন এবং শহীদ হন। তিনি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্য ছিলেন। ৫. সিপাহী হামিদুর রহমান জন্ম : ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ জন্মস্থান : ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার ঘোরদা খালিশপুর গ্রামে।

পিতার নাম : আব্বাস আলী মাতার নাম : কায়সুন নেসা মৃত্যু : ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ যেভাবে শহীদ হন : ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। যুদ্ধ শুরু হলে ১ দিনের জন্য তিনি নামের সাথে দেখা করতে আসেন। ফিরে গিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ধলাইতে যুদ্ধ করেন এবং পাক হানাদার বাহিনীর সাথে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে শহীদ হন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ৬. ইঞ্জিন রুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন জন্ম : ১৯৩৪ সাল জন্মস্থান : নোয়াখলী জেলার বাগপাঁচড়া গ্রামে।

পিতার নাম : মোহাম্মদ আজহার মিয়া মাতার নাম : জুলেখা খাতুন মৃত্যু : ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ যেভাবে শহীদ হন : বি এস প্রান্তরে মুক্তিবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধকালীন সময়ে ভুলক্রমে ভারতীয় বিমান বাহিনীর মুখে পড়েন। গুলির কারনে জাহাজে আগুন ধরে জাহাজের গোলবারুদ ফুটতে শুরু করলে তিনি নদীতে ঝাপ দেন। উপকুল এলাকায় পড়ে রাজাকারদের হাত বুলেটবিদ্ধ হন এবং ধরা পড়েন পরে শহীদ হন। তিনি নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন। ৭. ক্যাপ্টেন মহিউদ্দন জাহাঙ্গীর জন্ম : ১৯৪৭ সালে জন্মস্থান : বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানার রহিমগঞ্জ গ্রামে।

মৃত্যু : ১৪ ডিসেম্বর সদস্য: তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহীদ হন সিপাহী মোস্তফা কামাল এবং সর্বশেষ শহীদ হন ক্যাপ্নেট মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর সমূহ ও কমান্ডারগণ • সেক্টর নং ১ : ফেনী নদী হতে দক্ষিণাঞ্চলে চট্টগ্রাম কক্সবাজার পার্বত্য রাঙামাটি এবং ফেনী পর্যন্ত। • সেক্টর নম্বর ২ : নোয়াখালী কুমিল্লা, ঢাকা ও ফরিদপুর জেলার অংশ বিশেষ। • তিন নম্বর সেক্টর : হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশ বিশেষ • চার নম্বর সেক্টর : সিলেট জেলার অংশবিশেষ • পাঁচ নম্বর সেক্টর : সিলেট জেলার অংশ বিশেষ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

• ছয় নম্বর সেক্টর : রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাও মহাকুমা। • সাত নম্বর সেক্টর : কুষ্টিয়া(মুজিবনগর) যশোর এবং ফরিদপুর ও খুলনার অংশবিশেষ। • নয় নম্বর সেক্টর : খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশ বিশেষ এবং বৃহত্তর ররিশাল ও ও পটুয়াখালী জেলা। • দশ নম্বর সেক্টর : এ সেক্টরের অধীনে ছিল নৌ কমান্ডার, সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল ও আভ্যন্তরীন নৌপরিবহন। • এগার নম্বর সেক্টর : কিশোরগঞ্জ ব্যতীত ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল সেক্টর কমান্ডারগণ • এক নম্বর সেক্টর : মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন) • দুই নম্বর সেক্টর : মেজর খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল- সেপ্টেম্বর) • মেজর হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) • তিন নম্বর সেক্টর : মেজর শফিউল্লাহ (এপ্রিল- সেপ্টেম্বর) • মেজর নুরুজ্জামান (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) • চার নম্বর সেক্টর : মেজর সি আর দত্ত • পাঁচ নম্বর সেক্টর : মেজর মীর শওকত আলী • ছয় নম্বর সেক্টর : ইউং কমান্ডার বাশার • সাত নম্বর সেক্টর : মেজর কাজী নরুজ্জামান • আট নম্বর সেক্টর : মেজর ও সমান চৌধুরী (অক্টোবর পর্যন্ত মেজর এম এ মনছুর • নয় নম্বর সেক্টর : মেজর আব্দুল জলিল (এপ্রিল- ডিসেম্বর) এ এ মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) • দশ নম্বর সেক্টর : মুক্তি বাহিনীর ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ কমান্ডারগণ যখন যে সেক্টরে কাজ করেছে সেই সেক্টরের কমান্ডারগণের নির্দেশ মোতাবেক করেছে।

• এগার নম্বর সেক্টর : মেজর আবু তাহের (এপ্রিল-নভেম্বর) ফ্লাইট লে. এম হামিদুল্লাহ (নভেম্বর- ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধোত্তর পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র - পরিচালক ওরা ১১ জন (১৯৭২) - চাষী নজরুল ইসলাম রক্তাক্ত বাংলা (১৯৭২) - মমতাজ আলী বাঘাবাঙালী (১৯৭২) - আনন্দ অরুনদয়ের অগ্নিসাক্ষী (১৯৭২) - সুভাষ দত্ত আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩) - খান আতাউর রহমান ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৪) - নারায়ন ঘোষ মিতা কলমিলতা (১৯৭৪) - শহীদুল হক খান মেঘের অনেক রং (১৯৭৬) - হারুনুর রশিদ কার হাসি কে হাসে (১৯৭৪) - আনন্দ সংগ্রাম (১৯৭৪) - চাষী নজরুল ইসলাম আমার জন্মভূমি (১৯৭৩) - হারুনুর রশিদ বাংলার ২৪ বছর (১৯৭৪) - মোহাম্মদ আলী চিৎকার (১৯৮২) - মতিন রহমান আগুনের পরশমনি (১৯৯৫) - ঞুমায়ন আহমেদ রূপালী সৈকত (১৯৭৯) - আলমগীর কবীর ইতিহাস কন্যা (১৯৯৯) - শামীম আখতার এখনও অনেক রাত (১৯৯৭) - খান আতাউর রহমান বাধন হারা (১৯৮১) - এ জে মিন্টু হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭) - চাষী নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র - পরিচালক একাত্তরের যীশু - নাসির উদ্দিন ইউসুফ নদীর নাম মধুমতি - তানভীর মোকাম্মেল হুলিয়া - তানভীর মোকাম্মেল প্রত্যাবর্তন - মোস্তফা কামাল পতাকা - এনায়েত কামাল আগামী - মোরশেদুল ইসলাম দুরন্ত - খান আখতার হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধা - দিলদার হোসেন নীলদংশন - সুমন আহাম্মেদ বখাটে - হাসিবুল ইসলাম হাবিব ভুলবো না - হারুনুর রশীদ শরৎ একাত্তর - মোরশেদুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামান্য চলচ্চিত্র চলচ্চিত্র - পরিচালক Stop Genocide (১৯৭১) - জহির রায়হান A state is Born (১৯৭১) - জহির রায়হান Astate in Born (১৯৭১) - জহির রায়হান Liberation fighters (১৯৭১) - বাবুল চৌধুরী মুক্তির গান (বাংলা) (১৯৯৫) - তারেক মাসুদ ও ক্যথরিন মাসুদ মুক্তির কথা (১৯৯৫) - তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ স্মৃতি ৭১(১৯৯৫) - তানভীর মোকাম্মেল ডেটলাইন বাংলাদেশ (১৯৭১) - গীতা মেহতা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ গ্রন্থের নাম - রচয়িতা বাংলাদেশ কথা কয় - আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ - রামেন্দ্র মজুমদার বাংলাদেশ ও রক্তের ঋণ - অ্যান্থনী মাস কারেনহাস বাংলা ও বাঙালীর কথা - আবুল মোমেন বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু - মোনায়েম সরকার একাত্তরের রনাঙ্গন - শাসসুল হুদা চৌধুরী একাত্তরের ঢাকা - সেলিনা রহমান একাত্তরের বর্ণমালা - এম আর আক্তার মুকুল একাত্তরের কথামালা - বেগম নুরজাহান একাত্তরের দিনগুলি - জাহানারা ইমাম একাত্তরের ডায়েরী - সুফিয়া কামাল একাত্তর কথা বলে - মনজুর আহমেদ একাত্তরের বিজয় গাঁথা - মেজর রফিকুল ইসলাম একাত্তরের নিশান - রাবেয়া খাতনু আমি বিজয় দেখেছি - এম আর আখতার মুকুল আমি বিরঙ্গনা বলছি - নীলিমা ইব্রাহিম আমরা বাংলাদেশী না বাঙালী - আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী হৃদয়ে বাংলাদেম - পান্না কায়সার আমার কিছু কথা - শেখ মুজিবর রহমান ইতিহাস কথা বলে - সৈয়দ নুর আহমেদ কালো পঁচিশের আগে ও পরে - আবুল আসাদ বঙ্গবন্ধু হত্যার দলিলপত্র - অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বাতাসে বারুদ রক্ত উল্লাস - জুবাইদা গুলশান আরা মুক্তিযুদ্ধভিত্কি উপন্যাস উপন্যাস - রচয়িতা আগুনের পরশমনি - হুমায়ন আহমেদ জাহান্নাম হতে বিদায় - শওকত ওসমান জন্ম যদি হয় বঙ্গে - শওকত ওসমান দুই সৈনিক - শওকত ওসমান রাইফেল এটি আওয়াদ - আনোয়ার পাশা নিরন্তর ঘন্টাঘনি - সেলিনা হোসেন এক প্রজন্মের সংলাপ - নুর মোহাম্মদ মোল্লা উপমহাদেশ - আল মাহমুদ কাটাতারে প্রজাপতি - সেলিনা হোসেন হাঙর নদী গ্রেনেট - সেলিনা হোসেন মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র - আমজাদ হোসেন কাত সমুদ্র - জাফর ইকবাল বীর প্রতিকের খোঁজ - আনিসুল হক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্থাপত্য ও ভাস্কর্য : জাতীয স্মৃতিসৌধ- সাভার জাগ্রত চৌরঙ্গী- গাজীপুর পৌরসভা বিজসোল্লাস- আনোয়ার পানাভবন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ- মীরপুর, ঢাকা স্বাধীনতা- বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ- মেহেরপুর সোপাজিত স্বাধীনতা- টিএসসি সড়ক দ্বীপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২য় বাংলা জয় তারুন্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অপরাজেয় বাংলা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসপ্তক- জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় ম্ক্তু বাংলা- ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাবাস বাংলাদেশ- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্মারক ভাস্কর্য- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চেতনা ৭১- পুলিশ লাইন, কুষ্টিয়া ৭ই মার্চের ঐহিহাসিক ভাষনের বিষয়বস্তু : ১৯৭১ সারের ৭ মার্চ রেকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষনের বিষয়বস্তু ছিল নিন্মোক্ত ক. তুলমান সামরিক আইন পত্যাহার খ. সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া গ. গণহত্যার তদন্ত করা ঘ. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। মুজিবনগর সরকার : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আগরতলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। - মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৯৭১ সারের ১৭ এপ্রিল। বর্তমান মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথ গ্রমে। এসরকারেরর প্রধান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

তাই তারই নামানুষারে বৈদ্যনাথ তলার নামকরণ করা হয় মুজিবনগর এবং অস্থায়ী সরকারের নাম করা হয় ‘মুজিব নগর সরকার’ - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এ ঘোষনাপত্রে স্বাধীনতার ঘোষনা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর বলে উল্লেখ করা হয়। - অস্থায়ী সচিবালয় : মুজিবনগর - ক্যাম্প অফিস : ৮নং থিয়েটার রোড কোলকাতা, ভারত মুজিবনগর সরকার কাঠামো : রাষ্ট্রপতি : শেখ মুজিবর রহমান (বন্দি ছিলেন) উপরাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম (শেখ মুজিবর রহমানের অনপস্থিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং পদাধিকার বলে সসস্ত্র বাহিনী ও মুক্তি বাহিনরি সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ। প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহামেদ অর্থনমন্ত্রী : এম মনসুর আলী স্বরাষ্ট্র, ত্রান ও পূনর্বাসন মন্ত্রী : এ এইচ এম কামরুজ্জামান পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী : খন্দকার মোস্তাক আহমদ প্রধান সেনাপতি : কর্নেল আতউল গনি ওসমানি। সেনাপ্রধান : লেক. কর্নেল আব্দুর রব উপ সেনাপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান : গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার কনসার্ট ফর বাংলাদেশ : মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশী স্মরনার্থীদের জন্য জনমত ও তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে আয়োজিত হয় কনসার্ট ফর বাংলাদেশ।

১৯৭১ সারের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়। জজ হ্যারিসন ছিলেন এর প্রধান শিল্পী ও বিশ্বক্যাত ব্যান্ড দল ‘বিটলনস’ এর সদস্য। এর আয়োজক ছিলেন পন্ডিত রবি শঙ্কর ও জর্জ হ্রারিসন (যুক্তরাজ্য) - ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের পাকিস্তানী বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন – সায়মন ড্রিং - জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায় সদস্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষ করে রাশিযা, বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। অন্যান্য তথ্য : - প্রথম পাক হানাদার মুক্ত জেলা- যশোর - প্রথম শত্রু মুক্ত জেলা : পাবনা (২৯ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত) - মুক্তিযুদ্ধে ৭জন বীর শ্রেষ্ঠ ৬৮ জন বীরউত্ত, ১৭৫ জন বীর বিক্রম এবং ৪২৬ জন বীর প্রতীক উপাধি পায় - মহিলা বীর প্রতীক ২জন- সেতারা বেগম (১১ নং সেক্টর) ও তারামন বিবি (৪নং সেক্টর) - মুক্তিযুদ্ধে নিহত মাদার মারও ভেরেনজি ছিলেন ইতালির নাগরিক - বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত- মনোরঞ্জন ধর - বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় (২মার্চ ১৯৭১) - বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন ডাকসুর ভিপি- আ.স.ম আব্দুর রব। - একমাত্র উপজাতি বীর বিক্রম- ইউকে চিং - সর্বকনিষ্ট খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা- শহিদুল ইসলাম বীর প্রতিক, মুক্তিযোদ্ধা কালে তার বয়স ছিল ১২ বছর - বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত একমাত্র বিদেশী নাগরিক ডব্লিউ এস ওভারল্যান্ড (হল্যান্ড) অস্ট্রেলিয়া তার পিতৃভূমি ছিল।

বিভিন্ন দেশ কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি : দেশের নাম - স্বীকৃতি দানের তারিখ সোভিয়েত ইউনিয়ন - ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২ যুক্তরাজ্য - ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ ফ্রান্স - ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭২ যুক্তরাষ্ট্র - ৪ এপ্রিল, ১৯৭২ চীন - ৩১ আগস্ট, ১৯৭৫ পাকিস্তান - ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সৌদি আরব - ১৬ আগস্ট, ১৯৭৫ লেখক : এম. মিজানুর রহমান সোহেল সম্পাদক ফ্রাইডে ঢাকা টাইমস ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.