আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া স্থলবন্দর চালু হওয়ার দুই বছর পরও প্রয়োজনীয় অবকাঠানো গড়ে ওঠেনি

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বিলোনিয়া স্থলবন্দর চালু হওয়ার দুই বছর পরও প্রয়োজনীয় অবকাঠানো গড়ে ওঠেনি। ফলে পূর্ণতা পাচ্ছে না বন্দরের কার্যক্রম। একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মজুমদারহাটে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) ক্যাম্পসংলগ্ন বিলোনিয়া রেলস্টেশনের পাশে এ স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে সেখানে পুরনো একটি জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরে একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এলসিও) দিয়ে বন্দরের দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিচালিত হচ্ছে।

বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণসহ উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে দুই বছরেও তা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট, পাথর, ইট রফতানি হলেও ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের হয়রানির কারণে ভারত থেকে গরু, বাঁশ, কাঠসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি সম্ভব হচ্ছে না। বিলোনিয়া স্থলবন্দরসংশ্লিষ্ট একাধিক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এই স্থলবন্দর ঘোষণার দুই বছর পরও বন্দরের কোনো অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব, গুদামঘর ও মালপত্র মাপার যন্ত্রপাতি না থাকা, ওয়্যার হাউস নির্মাণ না হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। বন্দরে ট্রাক থেকে মাল ওঠানামার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, বন্দরে কাজের পর বিশ্রাম নেয়ার কোনো স্থান নেই।

এমনকি সেখানে কোনো শৌচাগার পর্যন্ত নেই। ফলে শ্রমিকদের বিপাকে পড়তে হয়। এতে কাজে ব্যাঘাত ঘটে। বিলোনিয়া স্থলবন্দর আমদানি ও রফতানি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী জানান, প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক মালপত্র লোড-আনলোড হয়। কিন্তু বন্দরে কোনো কর্মকর্তা থাকেন না।

ফলে ব্যবসায়ীদের বাধ্য হয়ে ফেনী গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করিয়ে আনতে হয়। আবদুল খালেক নামে রফতানি কাজে নিয়োজিত এক ট্রাকচালক অভিযোগ করেন, ফেনী-বিলোনিয়া সড়কে অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর। তাছাড়া পরশুরাম বাজার থেকে বিলোনিয়া বন্দর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক এতই সংকীর্ণ যে, দুটি ট্রাক পাশাপাশি অতিক্রম করা দূরের কথা, একটি ট্রাকও ঠিকমতো চলতে পারে না। সড়কের এ অংশটুকু দ্রুত প্রশস্ত করা জরুরি। বিলোনিয়া স্থলবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এলসিও) মো. হুমায়ুন কবির খান জানান, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে এ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ বৈদিশিক মুদ্রা আয় করেছে ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৯ টাকা।

বন্দর উদ্বোধনের পর থেকে এ বন্দর দিয়ে সিমেন্ট, পাথর ও ইট রফতানি হতো। পরে সরকার ইট রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফেনী জেলা প্রশাসক মো. আবদুল কুদ্দুস খান জানান, বিলোনিয়া স্থলবন্দরের কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন অবকাঠামোসহ ওপেন ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। খুব শিগগির জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হবে। সড়ক বিভাগের ফেনী জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক জানান, বন্দরের কার্যক্রমে গতি আনার জন্য সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রয়োজন।

তবে এ ধরনের প্রকল্প এখনো অনুমোদন হয়নি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.