আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফ্রিল্যান্সার – কিছু দিক নির্দেশনা

Engineer Ashikujjaman Ashik ফ্রিল্যান্সার কথাটার উৎপত্তি একটু খটমটে। মধ্যযুগীয় ধাঁচের চলচ্চিত্রগুলোর কল্যাণে অনেকেই জেনে থাকবেন, সে সময়ে যুদ্ধও একটা পেশার আওতায় পড়তো। আর তখন সৈনিকদেরও দু’টো গ্রুপ ছিল। একদল ছিল সাধারণ সৈনিক। যারা নিয়মিত বেতন নিত এবং রাজার হয়ে যুদ্ধ করতো।

দ্বিতীয় দলটিকেই বলা হয় Free Lancer এবং পরে Freelancer যা দ্বারা মুক্ত বর্শা নিক্ষেপকারী বা লাঠিয়াল বুঝানো হতো। এরা মূলতঃ কোথাও কোন চাকরী করতো না। যাযাবরের মত ঘুরে ফিরে খাবে এবং যে টাকা দেবে তার হয়েই যুদ্ধ করবে। এখন সেই ফ্রিল্যান্সারদের দিন ফুরিয়েছে, চর নিয়েও আর মারামারী হয় না, দেশীয় লাঠিয়াল বাহিনীও নেই। কিন্তু নামটি রয়ে গেয়ে কাজের গতিবিধির কারণেই।

বর্তমান ফ্রিল্যান্সাররাও একইভাবে কাজ করে থাকেন। চুক্তিভিত্তিক কাজ করে থাকেন সেটা হোক- ওয়েব ডেভলপমেন্ট, সফটওয়ার ডেভলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন বা ডাটা এন্ট্রি। -কাজের জন্য এপ্লাই করার আগে নিজের প্রোফাইলটা সুন্দর করে তৈরী করুন। পোর্টফোলিওতে আপনার সেরা কাজগুলো রাখুন। যে ধরণের কাজ করতে চাইছেন, সে সংক্রান্ত স্কিল টেস্ট দিন।

-নতুনদের মধ্যে প্রথম দুমাস একটা প্রবণতা দেখা যায়, জব পোস্ট দেখলেই তাতে বিড করার। এ কাজটি করবেন না। একটু ধৈর্য ধরেন, কাজের অভাব নেই। শুধুমাত্র সে কাজটিতেই বিড করুন যে কাজটিতে আপনি পুরোপুরি দক্ষ। -কভার লেটার কপিপেস্ট বাদ দিন।

আপনি কাজের বর্ণণা পড়ুন এবং মনে করুন, কাজটা আপনি পোস্ট করেছেন, এবারে কী লিখলে আপনি তাকে অন্তত যাচাই করে দেখতে আগ্রহী হবেন। অনেকেই দেখা যায়, একটি কভার লেটার কোথাও থেকে কপি করে রেখেছেন, এবং সব কাজেই একই কভার লেটার পেস্ট করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, একটা কাজে অনেক সময় শতাধিকও এপ্লিকেশন জমা পড়ে। এরমধ্যে এরকম চালাক আরো থাকতে পারে। এবার আপনি যতই কাজ জানুন না কেন, অন্য কারো সাথে আপনারটা মিলে গেলে দু’জনই চান্স হারাবেন।

আর হ্যাঁ, কভার লেটারে যাই লিখুন না কেন, বানান এবং ব্যকরণটা সঠিক হওয়া চাই। -বিড করেছেন, কাজ পেয়েছেন, কাজ করেছেন, কাজ শেষ। এরপর কী করবেন? আবার কাজ খুজতে বেরোবেন? হ্যাঁ, অবশ্যই বেরোবেন, কিন্তু যার কাজটা সবেমাত্র শেষ করলেন, তাকে জিজ্ঞাসা করুন তার আরো কোন কাজ আছে কিনা; তাকে অনুরোধ করুন, আপনার কাজ যদি তার পছন্দ হয় তবে ভবিষ্যতেও আপনাকে কাজ দিতে। -ওভার স্মার্ট হতে যাবার দরকার নেই। অনেকেই দেখা যায় মেসেঞ্জারে তার এমপ্লয়ারকে :ডি লিখে ৩২টা দাঁত দেখিয়ে দিয়েছে, :পি লিখে ভেঙচি কাটছে বা মেসেজে লিখে দিল Hey Dude, Whatz up? এগুলো কোন প্রোফেশনালের ভাষা নয়।

আপনি লক্ষ্য করুন, আপনার এমপ্লয়ার আপনাকে কিভাবে সম্বোধন করছে, আপনিও তার সাথে সেভাবে কথা বলুন। -কাজ পাবার পর আপনার এমপ্লয়ারের রুচি বুঝার চেষ্টা করুন। ধরা যাক, আপনাকে একটি বিজনেস কার্ডের ডিজাইন করতে বলেছে। আপনি আগে তাদের সাইট, ফন্ট, স্টাইল দেখে নিন এবং আপনার কাজে সেগুলো প্রয়োগ করুন, পছন্দ না করার কোন কারণ নেই। -ফ্রিতে কোন কাজ করবেন না বা করার অফার করবেন না ।

- আপনার এমপ্লয়ার আপনাকে হায়ার করার আগে আপনাকে হয়তো একটা খসড়া তৈরী করতে বলতে পারে। সেক্ষেত্রেও ডিজাইনাররা ওয়াটারমার্ক করে এবং অন্যরা যেভাবে নিরাপদ মনে করেন, যাতে আপনার স্যাম্পল দিয়েই কাজ চালিয়ে দিতে না পারে সেভাবে দিন। -বিড করার সময় এম্প্লয়ারের বাজেট, এভারের বিড এবং ওই কাজের দাম আসলেই কত হতে পারে তা বিবেচনা করে বিড করুন। অনেকে মনে করেন, অনেক সস্তায় বিড করলে হয়তো কাজ পাওয়া যাবে। এটা ভুল ধারণা, হাতে গোনা দু’একজন ছাড়া সবাই দামের চাইতে মানের ব্যাপারটাকেই বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।

Link ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.