আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরুষের রূপচর্চা

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ধুলাবালির প্রলেপে ত্বকের রং তামাটে, রুক্ষ ও ম্লান হয়ে যায়। ছেলেদের ত্বকের এ খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। পুরুষের ত্বক মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি পুরু। তাই মেয়েদের ত্বকচর্চার সঙ্গে পুরুষদের রূপচর্চার কোনো মিল নেই।
ছেলেদের সবচেয়ে বেশি সমস্যার জায়গা হল ভ্রুরেখার ভাঁজ, চোখের কোলে কুঁচকে যাওয়া দাগ, ঝুলে পড়া গাল আর এবড়ো-খেবড়ো ছিদ্রযুক্ত অমসৃণ ত্বক।

অবশ্য ত্বকের যত্নে ছেলেরা এখন অনেক সচেতন। সেলুনে তারা শুধু চুল কাটানোর পাশাপাশি চুল সাজানো, শ্যাম্পু, মেনিকিউর, ব্লিচ, ফেইশল, ম্যাসাজও করছেন।
ত্বকের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। বাইরে গরম, আবার অফিস বা ঘরের ভেতর এসি। একবার ঠান্ডা আবার গরম এ রকম মিশ্র আবহাওয়ায় বারবার যাওয়া-আসা আর বিভিন্ন দূষণ ত্বককে করে তোলে শুষ্ক ও খসখসে।

তাই প্রতিদিনই ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শেভকরা ছেলেদের প্রতিদিনকার কাজ। এ ছাড়াও তাদের ত্বক অনুযায়ী প্রয়োজন প্রতিদিনের যত্ন।
ছেলেরা দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটান। তাই ঘর থেকে বের হওয়ার আগে হাত-মুখ ধুয়ে সানক্রিম বা লোশন লাগিয়ে নেওয়া উচিত।

ব্যাগের মধ্যে একটা ফেইশল বা ফেইসওয়াশ রাখা ভালো। শহরের যানজট আর ধুলাবালির মধ্যে অফিসে পৌঁছে প্রথমেই ব্যাগে রাখা ফেইসওয়াশ দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিন। এতে ভালোভাবে কাজে মনোযোগ দেওয়া যায়।
যারা সারাদিন হাত-মুখ পরিষ্কার করার সময় পান না বললেই চলে, তারা মাসে অন্তত একদিন কোনো বিউটি সেলুনে গিয়ে ফেইশল করাতে পারেন। এখন তো ছেলেদের জন্য বেশ কয়েকটি আলাদা বিউটি পার্লার আছে।


এসব জায়গায় গিয়ে যাদের শুষ্ক ত্বক তারা সানবার্ন ফেইশল করাতে পারেন। এটা রোদেপোড়া ত্বকের জন্যও উপকারী। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তারা করাতে পারেন অ্যালোভেরা ও গোল্ড ফেইশল।
ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে আয়ুর্বেদিক ফেইশল করালে উপকার পাবেন। ঘরে বসে ত্বকের যত্ন নিতে চাইলে রোদেপোড়া ভাব কমাতে চন্দনের প্যাক লাগাতে পারেন।


ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকলে গরম পানিতে কিছু সময় ভাপ নিয়ে আস্তে আস্তে দুই আঙুলের ডগা দিয়ে চেপে ব্ল্যাকহেডস বের করতে পারেন।
এই সময়ে ত্বকের প্রধান সমস্যা হল, স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ত্বক ঝুলে পড়ে। এর জন্য বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। অক্সিজেন, আল্ট্রাসনিক, হাইফ্রিকোয়েন্সি-ফেইশল এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয়।
এই বয়সে চোখের নিচে ফোলা ভাবও দেখা দেয়।

অল্প গরম পানিতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। চোখের নিচের ত্বক অনেক পাতলা। তাই ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লোশন ব্যবহার করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে আন্ডার আইক্রিম লাগাতে পারেন।
ত্বকের পুষ্টি থেকেই চুল পুষ্টি পায়।

কারণ চুলের নিজস্ব কোনো রক্তনালি নেই। তাই সুন্দর চুলের অধিকারী হওয়ার জন্য পুরুষদেরও খানিকটা কষ্ট করতে হয়। চুলে নিয়মিত তেল দেওয়া, শ্যাম্পু করা, কন্ডিশনিং করা খুবই জরুরি কাজ। সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে মেহেদি ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
যদিও সাধারণ সমস্যা।

তবে যদি কারও অনেকদিনের পুরনো খুশকি থাকে সেখান থেকে মুখে ব্রণ হওয়া, চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। চুলে হালকা তেল ম্যাসাজ অনেক ক্ষেত্রেই এ সমস্যার সমাধান করে। মেহেদি খুশকির সমস্যা সমাধানে সহায়ক। এর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, দই বা কফি অল্প গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে মাথায় লাগান। আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।


একজন সুদর্শন পুরুষ মানেই সুন্দর ত্বক, সুন্দর চুল, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। আর এসব কিছুর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, ব্যালেন্স ডায়েট ও ভালো একটা ঘুম।
ছবি সৌজন্যে : হেরোবিক্স

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।