আমার বাসা এলিফেন্ট রোড। অফিস করি গুলশান ২ নং এর শেষ মাথায়। প্রতিদিন অফিস যাওয়াটা একটা বিশাল বড় পেইন। প্রথমে নিজের গাড়িতে যাইতাম। দিনের ভিতরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময় রাস্তায় কাটাইতাম।
গ্যাসের দাম বাড়ার পর আর গাড়ি পোষাইল না। যা বেতন পাই তা দিয়া মাসে এক্সট্রা ৬০০০-৭০০০ টাকা খরচ করা পোষায় না। (আমারে নিতে এলিফেন্ট রোড টু গুলশান গাড়ি ৪ বার আসা যাওয়া করতো। ) তারপর শুরু করলাম বাসে যাওয়া। ওরেবাবা এটা তো আরও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।
কোন রকমে ১ ঘন্টা দেড় ঘন্টায় অফিসে পোউছাইতে পারলেও কেয়ামত লাগে বাসায় ফেরার সময়। রাস্তার জ্যাম এর কথা তো বাদই দিলাম। বাসে উঠতেই সময় লাগে ১ ঘন্টার বেশি। বাসে উঠার পর আরও ২ ঘন্টা বাসায় পোউছাতে। দেখা যায় সাড়ে ৫ টায় অফিস ছুটি কিন্তু আমি বাসায় পোউছাইসি ৯ টারও পরে।
এরপর ফ্যামিলিরে কি সময় দিমু আর আড্ডা কখন মারুম। এর পর দীঘ্যদিন যাওয়া আসা করলাম বসের লগে উনার গাড়িতে। (বসের বাসাও এলিফেন্ট রোড)। কিন্তু তারপরও রাস্তার জ্যাম এর থেকে তো মুক্তি নাই। সাড়ে ৭ টা ৮ টার আগে কখনই বাসায় যাইতে পারি না।
আর অফিসে আসতেও রওনা দিতে হয় সেই কাক ভোরে।
একদিন কথায় কথায় এক দোস্তরে কইলাম আমারে একটা সাইকেল গিফট কর। দোস্তের দিলও অনেক দরাজ। কয়েক দিনের ভিতরে আমারে একটা সাইকেল কিনা দিল। এখন আমি এলিফেন্ট রোড টু গুলশান সাইকেল দিয়া অফিস করি।
সকালে শুরু করি ৮:৪৫ এ, অফিসে ঢুকি ৯:১৫ থেকে ৯:২০ এর ভিতরে। ফেরার সময় ৫:৩০ এ ছুটি হইলে ৬:১৫ টার ভিতরে বাসায়।
আমি একটা ভোজন রসিক মানুষ। মাশাল্লা ভালই খাইতে পারি। ওজন নিয়া অনেক টেনশনে ছিলাম।
গত একমাসে ওজন কমসে ২ কেজি। ভুরির জন্য যেই প্যান্ট গুলা পড়তে পারতাম না, সেইগুলা এখন পারফেক্ট ফিটিং হয়। শরীরের ফিটনেসও অনেক ভাল হইসে। আর ৩ - ৪ মাসের ভিতরে ইনসাল্লাহ আমার বহু দিনের লালিত স্বপ্ন 'স্লিম হউয়া' পুরন হইব।
সবচাইতে বড় কথা হইল ফ্যামিলিতে ২ ঘন্টা সময় বেশী দিতে পারি।
আড্ডা টাইম আর ফ্যামিলি টাইমের সাথে এখন আর কেচাল লাগে না। রাস্তায় বাসে উঠার জন্য ঝাপাঝাপি করা লাগে না। কনভেন্স বাবদ এক টাকাও খরচ হয় না (এর জন্য বিড়ি খাওয়াটা এ্কটু বাইরা গেসে যদিও)। রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকায়া থাকতে হয় না। সব মিলায়া অনেক সুখে শান্তিতে আসি।
* ইন্টারের পর প্রথম এত বড় বাংলা লিখলাম। অনেক বানান ভুল হইসে। দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।