আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেশের প্রথম চলন্ত ওভার ব্রিজ নির্মিত হচ্ছে বনানীতে উ-মাই-গড

বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... সংলগ্ন বনানী ১১ নম্বর সড়কে তৈরি হচ্ছে দেশে প্রথম চলন্ত সিঁড়ির (এস্কেলেটর) ফুট ওভারব্রিজ। পথচারীদের সুবিধায় এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে এ চলন্ত সিঁড়ি পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ভালো সাড়া ও ফলাফল পাওয়া গেলে নগরীর অধিকাংশ সিঁড়িকে এ সেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। পথচারীকে আর পায়ে হেটে ফুট ওভারব্রিজে উঠানামা করতে হবে না।

যে সব পথচারীরা ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে অনিহা দেখায় তারাও স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করবে এ ফুট ওভার ব্রিজ। কোনোমতে সিঁড়িতে কাছে পৌঁছাতে পারলেই স্বাচ্ছন্দে পার হওয়া যাবে রাস্তার এপার-ওপার। চলন্ত সিঁড়ির ফলে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধিরাও অনায়াসে এ ফুট ওভার ব্রিজ দিয়ে উঠানামা করতে পারবে। দৈর্ঘ ও প্রস্থে সাধারণ সিঁড়ির মতোই ওঠা নামার সিঁড়ি থাকবে। এ চলন্ত সিঁড়ি ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা অবধি একটানা চালু থাকবে।

যদি বিদ্যুৎ চলে যায় তাহলে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে জানা গেছে, পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হচ্ছে। জনগণের সাড়া পাওয়া গেলে পরে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে বনানীতে একটি চলন্ত সিঁড়ি তৈরি হচ্ছে। আগামি মাসে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মোট ২৩টি ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১০টি এবং উত্তরে ১৩টি। উত্তরের ১৩টি ফুট ওভার ব্রিজের মধ্যে একটি হচ্ছে চলন্ত সিঁড়ির ফুট ওভারব্রিজ। বনানী সৈনিক ক্লাব সংলগ্ন এ চলন্ত সিঁড়ির ফুট ওভার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। মে মাসে এ ফুট ওভার ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে।

সিঁড়ির কাজ শেষ হতে আরো একমাস সময় লাগবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ঢাকার অব্যবহত ফুট ওভার ব্রিজগুলোকে এ প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে জানা গেছে। চলন্ত সিঁড়ির ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির কাজে নিয়োজিত আছে ছয়জন। এদের মধ্যে প্রধান সোহেল রানা। তার সহযোগী আকরাম খান, সেলিম রানা, ইউসুফ, আলামিন এবং মিঠুন মোল্লা।

দু থেকে আড়াই কোটি টাকা খরচ করে এটা তৈরি করা হচ্ছে। এ ধরণের ফুট ওভার ব্রিজ মালয়েশিয়া, চীন ও সিঙ্গপুরে দেখা যায়। সরকার যেন এসব রক্ষাবেক্ষণ করে। এ সিঁড়ির ফলে বৃদ্ধ ও বয়স্করা সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে তার আগে দেখতে হবে এটা পথচারীদের মধ্যে কেমন সাঁড়া ফেলে।

ভালো সাঁড়া পেলে সব ফুট ওভার ব্রিজের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে বলেও তিনি জানান। চলন্ত ফুট ওভার ব্রিজসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ২৩টি ফুট ওভার ব্রিজ বিশ্বব্যাংকের তত্ত্ববাধানে তৈরি করা হচ্ছে। সাধারণ সিঁড়ি তৈরি করতে লাগে ২ কোটি টাকা। আর চলন্ত সিঁড়ি তৈরিতে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ হয় Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.