আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তদন্ত চান পাকিস্তানি সাবেকেরাও

তাঁকে নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ সব সময়ই ম্যাচ পাতানোর বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগে পৃথিবীতে যে কয়জন ক্রিকেটার ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এই রশিদ লতিফও। তিনিও সম্প্রতি বিনোদ কাম্বলির অভিযোগের সঠিক ও দ্রুত তদন্ত দাবি করেছেন। এই দাবিতে সঙ্গী হিসেবে তিনি পাচ্ছেন পাকিস্তান দলে তাঁর সমসাময়িক আরেক সাবেক অধিনায়ক মঈন খানকেও। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি পাতানো হতে পারে বলে সম্প্রতি বিনোদ কাম্বলি যে অভিযোগ করেছেন, তা অবশ্য বেশির ভাগ সাবেক ক্রিকেটারই তাচ্ছিল্যভরে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এমনকি আইসিসির সভাপতি শারদ পাওয়ারও ইডেনের সেই ম্যাচটিকে ‘সহি ম্যাচ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে কাম্বলির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। আর এই জায়গাটিতেই আপত্তি রশিদ লতিফ ও মঈন খানের। ‘আমি বুঝতে পারছি না, কাম্বলির এই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন? একজন খেলোয়াড় যখন এত বড় অভিযোগ এনেছেন, তখন সেটা অবশ্যই তদন্ত করে দেখা উচিত। ’ ‘কাম্বলি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার। সবারই তাঁর অভিযোগের গুরুত্ব বোঝা উচিত।

এটা তাচ্ছিল্যভরে কেন দেখা হচ্ছে—সেটাই আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকছে। ’ রশিদ লতিফের অভিমত। তিনি আরও বলেন, ‘পুরো ব্যাপারটিরই তদন্ত হওয়া উচিত। যদিও কাম্বলি ১৫ বছর পর এই অভিযোগ তুলেছেন। যদি সেই ম্যাচে সন্দেহজনক কিছু না হয়েই থাকে, তাহলে বিসিসিআই ও শারদ পাওয়ারের তদন্তে এত অনীহা কেন? লতিফের এই কথাতেই কিন্তু বিতর্কের রসদ রয়ে গেছে।

ইডেনের সেই সেমিফাইনালের ১৫ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর হঠাত্ কেন কাম্বলি বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন, তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অনেকে বলেছেন, তিনি (কাম্বলি) এত দিন মুখ বন্ধ করে ছিলেন কেন! বিতর্কটি ১৫ বছর পর হলেও এতে কোনো সমস্যা দেখছেন না লতিফ। তাঁর মতে, ‘সম্প্রতি লন্ডনের আদালত স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কাম্বলি হয়তো এত দিন এত বড় অভিযোগ তুলতে ভরসা পাচ্ছিলেন না। এই মুহূর্তে ক্রিকেট দুর্নীতিতে জড়িত খেলোয়াড়েরা শাস্তি পাচ্ছে, ব্যাপারটি হয়তো কাম্বলির মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছে যে ক্রিকেটে দুর্নীতি করে এখন আর কেউ পার পাবে না।

শাস্তি সবাইকে পেতেই হবে। ’ মঈন খান বলেছেন, ‘কাম্বলির অভিযোগ হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ, কিন্তু বিসিসিআই ও শারদ পাওয়ারের কোনো অধিকার নেই পুরো ব্যাপারটি এড়িয়ে যাওয়ার। কারণ অভিযোগটা গুরুতর। এদিকে ইকবাল কাশিম ও সরফরাজ নেওয়াজের মতো নামকরা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও বিনোদ কাম্বলির অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন। তাঁদের মতে, এই তদন্ত না করা মানে বিসিসিআই ও আইসিসির দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া।

ইএসপিএন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.