আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ময়না তদন্ত

নিরব যোদ্ধা।

দেশের কয়েকটি প্রধান দৈনিকে মূল কিছু অংশ ছাপা হল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়ে তাদের ময়না তদন্ত। এবার আপনার রিপোর্টটা মন্তব্যে প্রকাশ করুন। দৈনিক ইত্তেফাক আশরাফুল বোলারদের উপর দোষ চাপিয়ে না দিয়ে বললেন, বোলাররা ভালো বল করেছে। এত অল্প রানে বোলাররাই বা কতটুকু কি করবেন।

ব্যাটিংয়ে বেশি উইকেট না পড়লে হয়তো রানের চাকা সচল রাখতে পারতাম। আশরাফুল একবার লাইফ পেয়েও সেই জায়গায় আউট হয়েছেন। তার ফেরার পর দলের ভাঙ্গন শুরম্ন হয়। আশরাফুলও একমত হলেন। আমি ফিরে যাবার পর তামিম, সাকিবের টিকে থাকার দরকার ছিলো।

কিন' আমার মতোই ভুল করেছে তারা। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। খারাপ ক্রিকেট খেলার কারণে আমাদের এই দশা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খাপ খাওয়ানোর জন্য টুর্নামেন্ট শুরম্ন দুই সপ্তাহ আগে এসেছিলো বাংলাদেশ। সোমবারের ম্যাচ নিয়ে এই পর্যনত্ম ৭টি ম্যাচ খেলেছে তারা।

তারপরও এ ধরনের ম্যাচ খেললো এটাই ভাবতে পারছেন না অধিনায়ক। তিনি বলেন, ৭টি ম্যাচ খেলেছি, কিন' শেষ ম্যাচটি এরকম হবে ভাবতে পারিনি। ভারতের কাছে হেরে যাবার পর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে জিততেই হবে এমন মানসিকতাই তাদের হারানোর পিছনে মূল অবদান কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পস্নান ছিলো প্রথম ৬ ওভারে ৬০-৭০ রান তুলবো। কিন' আমরা তিনজন আউট হবার পর সেই পস্নান অনুযায়ী খেলতে পারিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপড়্গে ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠেও তাদের ভীত ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

আশরাফুল বলেন, উইকেট পড়ার পর একটু ভয় ঢুকে পড়ে। তবে ম্যাচ হেরেছে মানসিকতার জন্যই- বাংলাদেশের অধিনায়ক আশরাফুল ও কোচ একই কথা বললেন। এই হারার পর কোচ জেমি সিডন্সের মুখে যেন তালা লেগেছে। তিনি কোন ভঙ্গিমা না করে সরাসরি খেলোয়াড়দের দায়ী করলেন। বললেন, ম্যাচ হেরেছি এবং বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছি এখানে আমি কোন অযুহাত দাঁড় করাবো না।

আশরাফুল নিজেই এর জন্য দোষী, সঙ্গে আছে তামিম ও সাকিব। এরাও এই ম্যাচ হাতে ধরে নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় উইকেটের অবস'া দেখে মনে হয়েছে বেশ টাফ উইকেট। কোচ সিডন্স জানালেন, এই উইকেটে কিছুই ছিলো না। একেবারে ফ্ল্যাট উইকেট।

আমাদের রান করার দরকার ছিলো, কিন' সেটা পারিনি। অধিনায়ক বলেছেন, দলে কোন চাপ ছিলো না, কিন' কোচের অভিমত, আমার কাছে মনে হয়েছে দলে চাপ ছিলো এবং সে চাপ তারা নিতে পারেনি। বোলাররা কি একটুও ফাইট দিতে পারতো না? সিডন্স বলেন, এই উইকেটে ১৬০-১৭০ রান যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে ১৩৭ রান করে কিভাবে ম্যাচ জয়ের আশা করতে পারি। আর বোলাররা কিভাবে এই ম্যাচ জিতিয়ে দেবে। বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে গেল আশরাফুলদের।

পরবর্তী সফর ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের প্রসত্মুতি কিভাবে হবে এর উত্তরে সিডন্স বলেন, সামনে ক্যারিবিয়ান সফর, এখন থেকে প্রসত্মুতি শুরম্ন করবো। আশা করি সে সফরে ভালো পারফর্মেন্স করবে বাংলাদেশ। সূত্র :- Click This Link আয়ারল্যান্ডের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর পুরো দেশ এখন আশরাফুল বাহিনীকে ধিক্কার দিচ্ছে। ব্যাটসম্যান আশরাফুলের বাজে ব্যাটিং আর অধিনায়ক আশরাফুলের বাজে ক্যাপ্টেন্সি সবকিছু মিলিয়ে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করা হচ্ছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে।

তবে আশরাফুল কি নতুন কিছু ভাবছেন? পাকিসত্মানের প্রধান নির্বাচক আব্দুল কাদির পদত্যাগ করেছেন ইংল্যান্ডের কাছে দলের পরাজয়ের পর। কিন' বাংলাদেশে কি পদত্যাগ করবেন রফিকুল আলম? দায় শিকার করে বা ব্যর্থতা খুঁজে বের করে কেউ কি শাসিত্মর কাঠগড়ায় দাঁড়াবেন? জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের সবাই একটি বিষয়ে একমত। এই দলের মধ্যে যেমন নেই টিম স্পিরিট ঠিক তেমনি দলের জন্য, দেশের জন্য কিছু করার তাড়না। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সরাসরি দায়ী করেছেন আশরাফুলকে। দেড়শতাধিক ওয়ানডে খেলে এখন আর অনভিজ্ঞ এমনটা বলার কোন কারণ নেই আশরাফুলের।

সেই আশরাফুল সোমবার যেভাবে আউট হলেন তা কোন মতেই মেনে নিতে পারছেন না খালেদ মাহমুদ। আমার মনে হয় সে ব্যর্থ। প্রথমে একই শট খেলে ক্যাচ দেয়ার পর যখন জীবন পেল তখন আবারো একই শট খেলা অপরাধ ছাড়া আর কিছুই না। আশরাফুলের বাজে ব্যাটিং নিয়ে আরেক সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার মনে করেন সে ভুল করেছে। িপের্ ফিল্ডার থাকার পরও সে কেন এমন শট খেললো সেটা একটা বড় প্রশ্ন।

ব্যর্থতার পর সবসময় পোস্টমর্টেম হয় কেন এই ব্যর্থতা। কিন' জাতীয় দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু মনে করেন কেন ব্যর্থতার আগে আমরা সতর্ক হবো না। তার আড়্গেপ এ দলকে নিয়ে আয়ারল্যান্ড সফর করে আসার পরও তার কাছ থেকে জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচক, ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তারা কেউই আয়ারল্যান্ড দল সম্পর্কে জানতে চায়নি। অথচ ওই সিরিজে আইরিশদের কাছে ওয়ানডে ও টোয়েন্টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন' তারপরও বোধোদয় হয়নি বিসিবির।

এবারো হবে তারই বা নিশ্চয়তা কি? ১৩৭ রান করে ম্যাচ জেতা যায় না। এটা যেমন সত্যি। ঠিক তেমনি এত স্বল্প রান করে বোলাররা যখন লড়াই করে, লড়াইয়ে ফেরায় তখন সময়মত প্রয়োজনীয় বোলারদের আক্রমণে না আনাটা যে আরো বড় ধরনের অপরাধ তাতো আর আলাদা করে বলে বোঝানোর কোন কারণ নেই। হাবিবুল বাশার এখনো বুঝতে পারেন না কেন ষোলতম ওভারে স্পিনার না এনে রম্নবেল হোসেনকে দিয়ে বল করানো হলো। যেহেতু স্পিনে দুর্বল আইরিশরা এটা যেমন সবার জানা, পেসাররা ভালো খেলে।

তাছাড়া সাকিব, মাহমুদুলস্নাহ রিয়াদ বা নাঈম ইসলামের ওভার আরো বাকি ছিল। আর দেশসেরা স্পিনার হওয়ার পরও আব্দুর রাজ্জাককে এত পরে আক্রমণে আনলেন অধিনায়ক সে প্রশ্নও হাবিবুল বাশারের। কিন' কে দেবে এত প্রশ্নের উত্তর। কর্মকর্তারা তো দলের সাথে আছেন লন্ডনে। ক্রিকেটারদের কারো জানা নেই উত্তরগুলো।

অধিনায়ক নিজেও তো বলতে পারলেন না পরাজয়ের কারণ। আর আজ যখন ব্যর্থতার দায় নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল তখন জাতীয় দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আসছেন না। তিনি আসবেন আরো কয়েকদিন পর। তাহলে কি ব্যর্থতার দায় এড়াতেই এই ব্যবস'া। ক্রিকেট বোর্ড কি দোষীদের দোষ খুঁজে বের করে শাসিত্মর ব্যবস'া করবেন? কোচকে কি জিজ্ঞাসা করা হবে কেন এমন হচ্ছে? নির্বাচকদের কি জিজ্ঞাসা করা হবে রকিবুল হাসান ও মুশফিক রহিমের মত ক্রিকেটার কেন দলে ছিলেন আর থাকলেও কেন প্রতি ম্যাচের একাদশে জায়গা পেলেন।

হাবিবুল বাশারও তাই মনে করেন। রকিবুল হাসান আমাদের দেশের প্রেড়্গাপটে ভালো ক্রিকেটার হলেও এই ফরম্যাটে সে হয়তো উপযোগী নয়। ঠিক একই মত মিনহাজুল আবেদীনের। মুশফিক রহিমের চেয়ে ভালো উইকেটরড়্গক মো: মিঠুন। ব্যাটসম্যান হিসেবেও এই ফরম্যাটের ক্রিকেটে সে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছে।

তাই তাকে সুযোগ দেয়া যেতে পারতো। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। তার আগে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পোস্টমর্টেম করে সঠিক সিদ্ধানত্ম নেবে তো ক্রিকেট বোর্ড? সূত্র:- Click This Link এমন হার মেনে নেয়া যায় না। আয়ারল্যান্ডের মত নন-টেস্ট পেস্নইং দেশের কাছে বাংলাদেশের লজ্জাজনক হার মেনে নিতে পারেনি দেশের ক্রিকেট প্রিয়রা। ৬ উইকেটে আয়ারল্যান্ডের কাছে হার দেখে চুপ থাকতে পারেনি ড়্গুব্দ সমর্থকরা।

একজন সাধারণ সমর্থক থেকে শুরম্ন করে দেশের বুদ্ধিজীবী পর্যনত্ম ড়্গোভ প্রকাশ করেছেন। কি কারণে ক্রিকেটাররা দেশের মান-সম্মান এভাবে ধুলায় মিশিয়ে দিলেন তা খতিয়ে দেখা। ‘ভারতকে হারিয়ে বাংলাদেশ চালকের আসনে বসে যাবে’। ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি নেই’ কিসের উপর ভিত্তি করে খেলোয়াড়রা এমন কথা বলে গেছেন কেউ তা এখন ভেবে পাচ্ছে না। খেলার পাশাপাশি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী খেলোয়াড়দের কথা বলার কৌশল আয়ত্ব করতে হয়।

আবার কেউ কেউ মনে করছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতায় দলের অসম্মানজনক বিদায় হয়েছে টি-টোয়েন্টি থেকে। সঠিকভাবে হয়তো বিসিবি মাঠের পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেয়নি। খেলোয়াড়রা কিভাবে নিজেদের খেলাটাকে উন্নত করবে সেদিকে কড়া নজর রাখেনি। আয়ারল্যান্ডের ম্যাচে অধিনায়ক মোঃ আশরাফুল মাথা নিচু করে ড্রেসিং রম্নমে ফেরার পর থেকে পত্রিকা অফিসগুলোতে ফোন আসতে শুরম্ন করে। ফোন করে যে ধরনের ভাষা ব্যবহার করেছেন তা প্রকাশ করার মত না।

কলেজের ছাত্র হেরে যায় ক্লাস ওয়ানের ছাত্রের কাছে এটা কী করে মেনে নেয়া যায়, জানতে চাইলেন ফোন করে। অনেকে ক্রিকেট বোর্ডের ফোন নম্বর জানতে চাইলেন। বিসিবির কর্মকর্তা, নির্বাচকমন্ডকমন্ডলিসহ কোচ সিডন্সের কড়া সমালোচনা করেছেন। গতকাল দিনভর দেশের সর্বত্র আশরাফুল সাকিবদের নিয়ে যে সমালোচনা হয়েছে তা ছিল অশ্রবণযোগ্য। পত্রিকা অফিসগুলোতে ফোন করে ক্রিকেট কর্মকর্তাদের মুণ্ডপাত করেন।

ক্রিকেট কর্মকর্তারা খেলার চেয়ে অন্য কাজে ব্যসত্ম ছিল। বিসিবির উদাসীনতায় অশরাফুলদের এমন দুরাবস'া সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন তারা। ক্রীড়া সংশিস্নষ্টরা জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলার চেয়ে অন্য দিকে সময় ব্যয় করেছে। কর্মকর্তাদের কাজ খেলার উন্নতি করা। কিন' বিসিবি সেটা কতকুটু করতে পেরেছে আয়ারল্যান্ডের স্কোর কার্ডের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

সূত্র:- Click This Link যুগান্তর চোখের সমস্যায় ভুগছেন অধিনায়ক আশরাফুল। তার চোখের চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসা করাতে তিনি দলের সঙ্গে দেশে ফিরে যাননি। থেকে গেছেন ইংল্যান্ডে। সঙ্গে সাকিব আল হাসানও।

সাকিবও এখানে ডাক্তার দেখাবেন। এ দু’জনের সঙ্গে থেকে গেছেন ফিজিও মাইকেল হেনরিও। এদিকে কোচ জেমি সিডন্সও দলের সঙ্গে ঢাকায় ফিরছেন না। তিনি ছুটি কাটাতে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। তার স্ত্রী সন-ানসম্ভবা।

আয়ারল্যান্ডের কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ড ছাড়তে আর মোটেই দেরি করেনি। মঙ্গলবার স'ানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টায় তারা নটিংহ্যামের হোটেল পার্ক প্লাজা ছেড়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে তাদের ফ্লাইট বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে। বাংলাদেশে তারা পৌঁছবেন বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে। একে তো সকাল বেলা, তার ওপর অপ্রত্যাশিত হার, তাই বাংলাদেশ দলকে বিদায় জানানোর জন্য সেরকম কোন উৎসুক বাঙালির উপসি'তি ছিল না বললেই চলে।

বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম বলেন, ‘আশরাফুলের চোখের সমস্যা অনেক দিনের। আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন থেকে গেছেন। ’ সাকিব তার ব্যাক ইনজুরির সঙ্গে ইংল্যান্ডে আসার পর হঠাৎ করে পেটের নিচে ব্যথায় আক্রান- হন। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের একদিন আগে তাকে জরুরি ভিত্তিতে লন্ডন নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আনা হয়। এবার তিনি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা করাবেন।

সূত্র:- Click This Link হোটেল পার্ক প্লাজার লবিতে বিষণ্ন মনে বসেছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। সবাই হোটেল ছাড়ার প্রস'তি নিচ্ছেন। কিন' এভাবে, এত আগে তাদের হোটেল ছাড়ার কথা ছিল না। গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে উঠে প্রথম ম্যাচও বাংলাদেশ খেলবে নটিংহ্যামে- এরকমটিই সবাই ভেবেছিলেন। ১২ জুন হাসিখুশি মনে তারা লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন লর্ডস এবং ওভালে আরও দুটি ম্যাচ খেলতে।

কিন' সব পরিকল্পনা ভেসে- গেল আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে। আশারফুলদের দুঃখজনক বিদায় কোটি কোটি বাঙালির হূদয়ে আঘাত হেনেছে। তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না এ হারকে। এটি যে শুধু একটি হারই নয়, বাংলাদেশের লালিত স্বপ্নের সলিল সমাধিও। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোচ জেমি সিডন্স জাতির উদ্দেশে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন।

এবার সে পথে হেঁটেছেন অধিনায়ক আশরাফুলও। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ক্ষমা চাওয়া উচিত। প্রয়োজন হলে ক্ষমা চাইব। কিন' ক্ষমা চাইলেই কি সমস্যার সমাধান হবে?’ এবার ইংল্যান্ডে টুয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সুপার এইটে খেলা নিয়ে নৈরাশ্যবাদীদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন' বাস-বে সেই স্বল্প সংখ্যকদের ধারণাই সত্য হয়ে গেছে।

কিন' কেন এমন হল। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন সবাই ব্যস-। ইংল্যান্ডে আসার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন- বাংলাদেশ যে কয়টি ম্যাচ খেলেছে সেখান ছিল তাদের ক্রমোন্নতির ছাপ। কিন' আসল ম্যাচেই এসে তাদের ছন্দপতন ঘটে। কেন ঘটেছে? শুনুন আশরাফুলের জবানিতে, ‘আমরা ভালো খেলতে পারিনি।

কিন' আমাদের ভালো খেলার প্রয়োজন ছিল। একটা ভালো কিছু করার আশা নিয়ে এসেছিলাম। গতবার আমরা সুপার এইটে খেলেছিলাম। এবারও আশা ছিল। কিন' হয়নি।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে এ চাপ আমাদের মাঝে কাজ করেছে। সেই চাপে পুরো দল ভেঙে পড়েছে। ’ ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা আর পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি। ’ এসবই আশরাফুলের ব্যাখ্যা। মানুষ ভাবে এক হয় আরেক।

২০০৭ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ও টুয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনা ছিল খুবই কম। কিন' সে কম সম্ভাবনাই পরে বাস-বায়িত হয়েছে। এবার যখন সম্ভাবনার ছিল বেশি, সেখানে তা আর পূর্ণতা পায়নি। এর পুরো দায় বহন করতে হবে আশরাফুলকে। যেহেতু তিনি অধিনায়ক।

দলের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তিনি অধিনায়ক হিসেবে আসলেই কি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন। ভারতের বিপক্ষে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। রান করেছিলেন ১১। কিন' আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেখানেও আবার ব্যর্থ।

রান করেছেন ১৪। দলের বিপর্যয়ে তিনি কি ভূমিকা রাখতে পারলেন? এবারই যে তিনি প্রথম ব্যর্থ হয়েছেন, তা কিন' নয়। অতীতে বহুবার এরকমটি হয়েছে। তিনি যে শুধু অধিনায়ক, তা কিন' নয়। দলের সেরা ব্যাটসম্যানও।

সেরা ব্যাটসম্যানের যদি প্রতি ম্যাচে রানের রেখাচিত্র এরকম হয়, তাহলে সে দলের অবস'া কি হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এটাকে অধিনায়কত্বের চাপ বলে আশরাফুল মেনে নিতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমি নেতৃত্বের চাপ অনুভব করছি না। আমাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন- অধিনায়ক করা হয়েছে। আমি অধিনায়ক হিসেবে অনেক ভালো খেলছি।

’ ক্রিকেটবিশ্বে গত কয়েক বছর যে দেশটি সবচেয়ে বেশি ‘আপসেট’ ঘটিয়েছে, তার নাম বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশ নিজেই আপসেটের শিকার। আশরাফুল অবশ্য নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে আয়ারল্যান্ডের ভালো খেলাটা মেনে নিয়েছেন। বলেছেন, ‘আয়ারল্যান্ড ভালো খেলেছে। ’ আয়ারল্যান্ডকে হালকাভাবেও নেননি বলে জানিয়েছেন আশরাফুল।

তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডকে আমরা হালকাভাবে নেইনি। আমরা জানি, এই কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ড খুবই ভালো দল। ’ আর নিজেদের ভালো না খেলার অনেকগুলো কারণের মাঝে আশরাফুল একটি কারণ চিহ্নিত করেছেন মানসিক সমস্যাকে। তিনি বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের টেকনিক ভালো। সমস্যা আমাদের মানসিক।

’ আশরাফুল নিজে কি এ দায় থেকে মুক্তি পাবেন? তার কথায় মনে হচ্ছে দলের প্রধান সমস্যা এখন ‘মানসিক’। কোচ সিডন্সও তাই বলেছেন। তাহলে বিসিবি’র কি উচিত নয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে বিশ্বের সেরা একজন মনোবিদ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেয়ার। মনোবিদ নিয়োগপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন- ক্রিকেটারদের দেশের যে কোন কোয়াটাম ফাউন্ডেশনে পাঠাতে পারে বিসিবি। সূত্র:- Click This Link বিনোদন বাণিজ্যকে আবাহন জানাতে গিয়ে ছয় বছর আগে যে ক্রিকেটের জন্ম (১৩ জুন, ২০০৬), সেই ক্রিকেটের জন্মমাসে তার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরু হয়েছে গত ৫ জুন।

জন্মবারটাও ঠিক থাকল। ২০০৬ সালের ১৩ জুনও ছিল শুক্রবার, ২০০৯ সালের ৫ জুন টি-টুয়েন্টি ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরটিও বসেছে শুক্রবারে। এই প্রথমবার লড়ালড়িটা একেবারে প্রথম দিনটি থেকেই অবিশ্বাস্য কিছু ছবি আঁকতে শুরু করেছে। সেই আঁকা প্রতিদিন চলছে। প্রথম দিন নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গেল ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিবিঘ্নিত অতি খর্ব এক ম্যাচে স্কটল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের কাছে ৭ উইকেটে হারার মধ্যে বিস্ময় না থাকলেও বিস্ময় একেবারে জেঁকে বসল ১৪ ওভারের ম্যাচটিতে। না যদি দেখা হতো, আমরা কখনোই বিশ্বাস করতে পারতাম না যে স্কটল্যান্ডেরও শক্তি আছে ৭ ওভারে ৮৯ তোলার (৪ উইকেটে)। ওই বিন্দুতে কোন বিস্ময় যদি তৈরি হয়েও যায়, ৩০ বলের ব্যবধানে নতুন বিস্ময় তৈরি করে মুছে দিলেন নিউজিল্যান্ডাররা। ৬ ওভারে ৯০ রান (প্রতি ওভারে গড়ে ১৫ রান) ওরা তুলল ৩ উইকেটে। ১৩ ওভারে রান উঠল ১৭৯।

অবিশ্বাসের তৃতীয় দাপ পূরণ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, একই দিন, দিনের মধ্যের খাঁড়ির প্রতিযোগিতায় (০৬,০০৬,০৯) ‘কঠিন’ এক গ্রুপে পড়া দল এবার সাবেক ও বর্তমান তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন- ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়া। সোজা কথা, যত ভালোই খেলুক, তিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের একজনকে বাইরে যেতেই হবে, মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার পর। সেই গ্রুপের মৃত্যুকূপে প্রথম পা বাড়াতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। অথচ ওরা লড়াই যে একেবারে যা তা করেছে- তাও নয়। ৭ উইকেটে ১৬৯।

সেই ম্যাচ তাদের হেরে যেতে হবে ৩ ওভার বাকি থাকতে, ভাগ্য-দুর্ভাগ্যের নিয়ন্তাজনও কি জানতেন! মনে হয় না। দীর্ঘ এক মানব, হেলমেটের নিচে পট্টিবাঁধা ক্রিস গেইল দানব হয়ে ওঠায় তা সম্ভবপর হয়েছে [৫০ বলে ৮৮; চারের মার ছটি, ছয়ের মার হাফ ডজন]। তারপরও অবতার মহোদয়ের মুখনিঃসৃত বাণীর বাহার কী! ‘ও তেমন কিছু না, আমি ক্যারিবীয় দর্শকদের মুখে সামান্য হাসিই শুধু ফোটাতে চেয়েছি। ’ মাত্র একটি ম্যাচই তো খেললাম আমরা! তা দিয়ে কিছু বোঝা যাবে না। এখনও আমাদের অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ম্যাচেও ছিল অঘটনের স্পর্শ। ভারতের কাছে আমরা ২৫ রানে হারলাম (১৮০’র জবাবে ১৫৫)। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ২৫ রানের পরাজয় খুব ছোট পরাজয়ও নয়। তবু এ ম্যাচের ফলাফল যদি অন্য ভাষায় লিখতে হতো, বিজয়ীর জায়গায় যদি বিজিত দলের নাম বসে যেত, বিচিত্র কিছু ঠেকত না। ভারত যুবরাজ সিংয়ের তাণ্ডবে (১৮ বলে ৪১) ও গৌতম গম্ভীরের আক্রমণ-প্রতিরক্ষার কুশলতায় (চমৎকার ৫০) আমাদের সামনে ১৮০ রানের পাহাড় তৈরি করলেও জুনায়েদ সিদ্দিকী কয়েকবার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন- ও কিছু নয়।

সম্ভব, সবই সম্ভব, যদি পাই সহায়তা। মিলল না, সেটি তামিম, সাকিব, আশরাফুল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক কারও কাছেই মিলল না। তামিম ইউসুফ পাঠানকে বোলার হিসেবে গোনায় না ধরে ওড়াতে গেলেন এবং নিজে উড়ে গেলেন। অসময়ে। কোন দরকার ছিল না।

আশরাফুলের চোখেমুখে সেই পুরনো দৃশ্য- পারলাম না। আর কিছুক্ষণ থাকলে কিছু একটা করে দেখাতে পারতাম। তৃতীয় দিন (০৭.০৬.০৯) ইংল্যান্ড প্রমাণ করল, বাঁচা-মরার ম্যাচেও বেঁচে বেরিয়ে আসা যায়, যদি প্রতিপক্ষ হয় পাকিস্তান। যেমন খুশি তেমন ফিল্ডিং করে ইংল্যান্ডকেও ১৮৫ দিক ভালো কথা, কিন্তু তার জবাবে তাদের ৪৮ রানে হারার কথা নয়, যদি ইউনুস-আফ্রিদি-কামরান-বাট-মিসবাহদের কেউ দাঁড়াতে পারতেন ও বুঝতে পারতেন- পাকিস্তানের ক্রিকেটে জোর অত কম নয়, অত সহজে ঘোরে পড়তে হবে। কিন্তু তারা পড়ল ও পড়ে গিয়ে সব শেষ করল।

পাকিস্তান ইংল্যান্ডের কাছে হেরে গিয়ে তাদের লেজের ডগার প্রাণটা ধড়ে পাঠানোর আগে স্কটল্যান্ড যে হারল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে, ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে, তা বিস্ময় কী! আছে। বিস্ময় তাতেও আছে। একজন ব্যাটসম্যান স্কটিশদের, ওপেনিং ব্যাটসম্যান কোয়েটজার। দলের ৮১ রানের মধ্যে ওর সংগ্রহ ৪২। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও স্কটিশদের ব্যাটিং-সমাচারের পুরোটাই অর্ধশতক ছোঁয়া কোয়েটজারের।

দল টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে, নিক; যাওয়ার আগে তারা শুধু বুঝিয়ে গেল- দুনিয়াকে দেখানোর মতো আমাদেরও আছে বিশিষ্ট একজন। আগেরবার কিছু দেখিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন হ্যামিলটন, এবার তিনি বেছে নিয়েছেন ব্যর্থতার বন। সূত্র:-http://jugantor.info/news/issue/2009/06/10/news0653.php আমাদের সময় টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সকাল সাড়ে ৮টায় জিয়া বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে তারা। দেশ ছাড়ার আগে দলপতি মোহাম্মদ আশরাফুল দেশবাসীকে আশারবাণী শুনিয়ে গেলেও মাঠে খেলায় তারা হতাশ করেছে গোটা জাতিকে।

গ্রুপ ম্যাচে ভারতকে শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করেও দলের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ভারত ‘বধের’ উচ্চাশা প্রকাশ করতে কসুর করেননি। পাশাপাশি তারা এও বলেছেন, ভারতের কাছে পরাজিত হলেও আয়ারল্যান্ডের কাঁধে নিঃশ্বাস ফেলে সুপার এইট নিশ্চিত করবো। কিন্তু সব আশাই শেষ পর্যনত্ম দূরাশায় রূপ নিয়েছে। টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারতের কাছে ২৫ রানের পরাজয়ে দেশের ক্রীড়ামোদীরা মোটেও হতাশ হননি। ওই ম্যাচে জুনায়েদ সিদ্দিকী ছাড়া কেউই উলেস্নখযোগ্য রান করতে পারেননি, তারপরও ভারতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মনোভাব নিয়ে খেলে কম রানের (২৫) ব্যবধানের পরাজয়কে ক্রীড়ামোদীরা উদার চিত্তে গ্রহণ করেছেন।

কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে ১২ নম্বর দল আয়ারল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের অসহায় আত্মসমর্পণ কেউই মানতে পারছেন না। টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে মুখ থুবড়ে পড়ার ধরন দেখে মনে হয়েছে জীবনে কোনো দিন আশরাফুল, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, জুনায়েদ ও রকিবুল হাতে ব্যাট ধরেছেন বলে। সহঅধিনায় মাশরাফির (৩০) শেষদিকে ঝলসে ওঠার সুবাদে বাংলাদেশ সেদিন ১৩৭ রানের স্কোর গড়তে সক্ষম হয়। ব্যাটিং বর্থতার পাশাপাশি বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ৬ উইকেটে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ দল। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও ম্যাচ জেতার কোনো উপায় ছিলো না।

প্রাপ্তি আর প্রত্যাশার মধ্যে যে জোযন জোযন ফারাক তা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আবারো প্রমাণ করলো। সূত্র:- Click This Link আয়ারল্যান্ড এমন একটি দল যাদের চালচুলো কিছুই নেই। তারা একটি এসোসিয়েটেড মেম্বার দল হয়ে এ ভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতে সুপার এইটে ওঠবে এতারা নিজেরাও ভাবেনি। তারাও জানতো বাংলাদেশ তাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। বাংলাদেশ অর্থনেতিক দিক দিয়েও অনেক সচ্ছল বিধায় তাদের খেলা ছাড়া অন্য কিছু চিনত্মায় নেই।

সে দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উন্নত এবং ভাল খেলবে এটি ছিল তাদের ধারনা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আশাবাদী ছিলেন তাদের জয়ের ব্যাপারে। কিন্তু গেম পস্নানিং,কোচের সঙ্গে মতের গড়মিল ইত্যাদির কারণে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতওে পারে নি বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডে মাত্র দু জন পেশাদারী খেলোয়াড় রয়েছেন। ট্রেন্ট জনস্টোন এবং এ্যালেক্স কুসাক ।

এ ছাড়া বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কাউন্টিতে খেলেন। দলের অধিনায়ক উইলিয়াম পোটারফিল্ড এ প্রেক্ষিতে বলেন,নিয়মিত চুক্তি করে ক্রিকেটার রাখার মত অর্থ আমাদের নেই। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে তাদের কর্মস্থলে ছুটির দরখাসত্ম দিতে হবে। তাদের বেতন পাওয়া নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ সব বিবেচনা করে আমাদের পরের রাউন্ডে খেলতে হবে।

সূত্র:- Click This Link ভারতকে হারানোর কথা বলে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে আসর থেকেই বিদায়। এর কী ব্যাখ্যা দিবেন অধিনায়ক আশরাফুল! দায়সারা ভাবে ব্যাটিংকেই দুষেছেন তিনি। আর কোচ জেমি সিডন্স আইরিশদের কাছে হারের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটসম্যানদের কড়া সমালোচনা করতেও ছাড়েননি এ অস্ট্রেলিয়ান। পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সিডন্স বলেন, ‘ব্যাটসম্যানরা নির্বোধের মতো আচরণ করেছে।

ওপেনারদের একটু এগ্রেসিভ হতে হয়। কিন্তু আইরিশরা যে ইনিংসের শুরুর দিকে ভালো স্লোয়ার দিতে পারে সেটা জানার পরও তারা একই ভুল করেছে। এ সফরে একইভাবে আরো ক’বার রান আউট হয়েছে তামিম। সাকিব এ সফরেই একইভাবে আউট হয়েছে ৫ বার। একই ধরনের শটে, একই জায়গায়।

স্কিলে তারা কিন্তু কারও চেয়ে কম না। বারবার তাদের নির্বোধের মতো আচরণ দেখে আমি কিন্তু হতাশা, ধৈর্য্যের চরম সীমানায় পৌঁছে গেছি। তাদের এ ধরনের নির্বোধ আচরণের চিকিৎসাও আমার জানা নেই। স্বয়ং অধিনায়কও একই ভুল করেছে। বরং একবার বেঁচে যাওয়ার পরও সে একই শট খেলে আউট হয়েছে।

যেন তাদের ক্যাচ প্র্যাকটিস করাতে মাঠে নেমেছিল সে। ’ আশরাফুলের মতে প্রথম ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলাটা ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তিনি বলেন,‘আমরা পরিকল্পনা মতো খেলতে পারিনি। আমাদের শট সিলেকশন ছিল খুবই নিম্নমানের। ’ আইরিশদের শ্রেষ্ঠত্বও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি, ‘তিন বিভাগেই তারা আমাদের চেয়ে ভালো করেছে।

তাদেরকে চাপে ফেলার মতো রানও আমরা করতে পারিনি। আর ইংল্যান্ডে আসার পর এ ম্যাচেই সবচেয়ে জঘন্য খেললাম আমরা। ’ আইরিশদের বিরুদ্ধে তারা চাপে ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, তারা চাপে ছিলেন না। তারা জানতেন যে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই তাদের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া যেতো। মাশরাফি এবং নাইমকে ব্যাটিংয়ে একটু আগে পাঠানো যেতো কিনা, এর জবাবে তিনি বলেন, ‘শুরুতে বেশ কটি উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা তাদের আগে পাঠাইনি।

’ সূত্র: টাইগার ক্রিকেট সূত্র:- Click This Link প্রথম আলো লিংক দিলাম:- Click This Link Click This Link এবার চাই আপনার তদন্ত রিপোর্ট অথবা মন্তব্য।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।