আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানবাধিকার কাহাকে বলে, উহা কত প্রকার ও কি কি?

১- মার্কিন পুলিশ যখন চ্যাংদোলা করিয়া কতিপয় বিক্ষোভকারীকে লইয়া লকআপে পুরিয়া দেয়, তখন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হইয়া যায়। ২- প্রচণ্ড শীতের মধ্যে যখন একজন অকুপাই আন্দোলনকারী সড়কে স্থাপিত তাহার তাবুর ভেতর জমিয়া বরফ হইয়া ভবলীলা সাঙ্গ করেন, তখন মানবাধিকার বলিতে থাকে- আহা হা, এ ধারার আরামে তো আর কখনোই ছিলাম না। ৩- অথচ যুক্তরাষ্ট্রের অদ্য যাহা ঘটিতেছে, তাহার কিঞ্চিতও যদি প্রাচ্যের কোন দেশে ঘটিত, তাহা হইলে গণমাধ্যম গলা ফাটাইয়া গাহিয়া উঠিত- মানবাধিকার গেল, মানবাধিকার গেল, উহাকে ধরো ধরো। না হইলে উহা মরিয়া যাইবে। ৪- আবার এই প্রাচ্যেরই মার্কিনপন্থী কোন দেশে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের দমন করিলে সেখানেও মানবাধিকার আহ্লাদে আটখানা হইয়া পড়ে।

হস্ত প্রসারিত করিয়া বলিয়া ওঠে- দেখিয়া যাও আমি কত শান্তিতে আছি। ৫- এ কারণেই বাহরাইন ও ইয়েমেনে যাহাকে মানবাধিকার রক্ষা করিবার উপলক্ষ করিয়া দেখানো হয়, সেই আচরণই সিরিয়ায় চরমভাবে মানবাধিকারের লংঘন বলিয়া প্রতিভাত হয়। ৬- বাংলাদেশের মিডিয়ার কথা না বলিলে মনের ক্ষোভ মিটিবে না। ইহারা (বাংলাদেশি মিডিয়া) সিরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হইতে দেখে, কিন্তু অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট দেখে না। এই পরজীবীরা আর কত আমেরিকার অর্থ পকেটে লইয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র সফর করিতে যাওয়ার বাসনা মনে পুষিয়া আমেরিকার মানবাধিকারের লংঘনের খবর ধামাচাপা দিয়া রাখিবে? কিছু চিত্র (যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের চরম সেন্সরের পরও যাহা হস্তগত হইয়াছে) দিলাম।

বিবেকবান মানুষের মন কিছুটা হইলেও দোলাইতে পারিবে বলিয়া বিশ্বাস। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.