আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সংগঠনের মাধ্যমে জামায়াত সক্রিয়

হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সংগঠনের ব্যানারে সভা-সেমিনারের আড়ালে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এ রকম অন্তত সাতটি সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যার নেতৃত্বে আছেন জামায়াতের নেতরাই। দলের পক্ষে প্রচার চালানো ও জনমত গঠনই এসব সংগঠনের কাজ। বর্তমানে কোণঠাসা অবস্থায় আছে জামায়াতে ইসলামী।

নেতারা আত্মগোপনে, নিজ ব্যানারে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না দলটি। বর্তমানে প্রায় ১৫টি জামায়াতপন্থি সংগঠন সক্রিয়। তাদের অনেকগুলোর জন্ম ১৯ সেপ্টেম্বরের পর। আবার এক নেতাই ঘুরে ফিরে প্রায় সব সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জামায়াতেও তারা পদধারী নেতা।

এসব সংগঠনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও গণমাধ্যমে পাঠানো হয় একই ই-মেইল ঠিকানা থেকে। মাঝেমাঝে জামায়াতের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় একই ঠিকানা থেকে। সংগঠনগুলোর নেই নিবন্ধন কিংবা কমিটি। নেই কোনো কার্যালয়। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককেন্দ্রিক এসব সংগঠন।

এদের কাজ হলো জামায়াতের পক্ষে বিভিন্ন ইস্যুতে মানববন্ধন, আলোচনা সভা, সেমিনার কিংবা গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা। ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াত রাজপথে নেমে ব্যাপক ভাংচুর করার পর থেকে বেকায়দা অবস্থায় রয়েছে। নাগরিক ফোরাম, সুশীল ফোরাম, জাগ্রত জনতা ফোরাম, দেশপ্রেমিক ফোরাম, স্বাধীনতা ফোরাম, দেশপ্রেমিক যুব শক্তি, সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরাম, ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ, কৃষিবিদ ফোরাম, চিকিৎসক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা ফোরাম নামের এসব প্যাডসর্বস্ব সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন জামায়াতের মহানগর ও থানা পর্যায়ের নেতারা। জামায়াত ও এর দুই অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এবং চাষি কল্যাণ ফেডারেশন, জামায়াতের অনুসারী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির পুলিশের বাধায় স্বনামে কর্মসূচি পালন করতে পারছে না। তাই জামায়াতের পক্ষে এবং সরকার ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিপক্ষে জনমত গঠনে কাজ করছে এসব সংগঠন।

জামায়াতের হয়ে কাজ করলেও এসব সংগঠনের সভা-সেমিনারে জামায়াতের নেতাদের আলোচক কিংবা বক্তা হিসেবে খুবই কম আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপি ও এর সমমনা দলগুলোর প্রথমসারির নেতা, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরই এসব সভা-সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনকি বামপন্থি নেতারাও এসব আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত বক্তা হন। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলনকারী জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব এবং এলডিপি সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল অলির মতো নেতাদেরও এসব সংগঠনের আলোচনা সভায় বক্তা করা হয়। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা জামায়াতপন্থি সংগঠনের একটি নাগরিক ফোরামের সভাপতি আবদুল্লাহ মাসুদ জামায়াতের নেতা।

তিনি আবার সুশীল ফোরাম ও জাগ্রত জনতা ফোরামের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। জাগ্রত জনতা ফোরাম সভাপতি শহীদ চৌধুরীও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনিও আছেন সম্পৃক্ত হঠাৎ গজিয়ে ওঠা প্রায় সব সংগঠনের সঙ্গেই। ফোরাম অব ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড আর্কিটেক্টস সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও মহাসচিব শেখ আল আমীন দু'জনই ঢাকা মহানগর জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তারা দু'জনই দলের রুকন।

শেখ আল-আমীন আবার আরেক সংগঠন সম্মিলিত পেশাজীবী ফোরামেরও সাধারণ সম্পাদক। ঢাকা মহানগর জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এসব তথ্য স্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রেস ক্ল্লাব ও ডিআরইউতে যত কর্মসূচি হয়, তাতে আয়োজক-শ্রোতা সবাই আমাদের লোক। সবাই ডানপন্থি। তিনি বলেন, জামায়াত একটি বৈধ রাজনৈতিক দল হওয়ার পরও সরকার কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না।

দলের নেতাকর্মীরা তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।