আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হার্ট ব্লক এবং হার্ট অ্যাটাক

হৃদ্পিণ্ডের মাংসপেশী তার নিজের খাবার বা অক্সিজেন পায় দু'টি প্রধান করোনারি আর্টারি (ধমনী) থেকে। একটি লেফ্ট করোনারি আর অন্যটি রাইট করোনারি আর্টারি। এ দুটি আর্টারি (ধমনী) সরাসরি অ্যাওরটা বা মহাধমনী থেকে উঠে আসে। বাঁ দিকের করোনারি আর্টারি দুটি বড় শাখায় ভাগ হয়ে যায়। এর একটি লেফ্ট এনটেরিয়র ডিসেনডিং আর্টারি (এল এ ডি) এবং অন্যটি লেফ্ট সারকা...মফ্লেঙ্ আর্টারি (এল সি এক্স) তাই হৃদ্পিণ্ড অক্সিজেনের যোগান পায় মোট তিনটি প্রধান আর্টারি (ধমনী) থেকে।

এগুলো রাইট করোনারি বা আরসিএ, এলএডি এবং এলসিএঙ্। এ তিনটি আর্টারির (ধমনী) একটিতেও যদি চর্বি জমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় তবে রোগীর বুক ব্যথা হবে। ত্রিশ বছরের পর সবার আর্টারিতেই (ধমনী) একটু আধটু ব্লক থাকে। তবে যদি কোনো ব্লক ৫০%-এর বেশি হয় তবে তা অসুখ হিসেবে ধরা হয়। যখন কোনো ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা ৭০%-এর বেশি হয় তখন তার চিকিৎসার দরকার হয়।

যদি হঠাৎ করে বুকের ওপরে অথবা ভেতরে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তবে করোনারি আর্টারি (ধমনী) ১০০% ব্লক হয়ে যায়। তখন তাকে বলে হার্ট অ্যাটাক। যে প্রক্রিয়ায় এ হার্ট অ্যাটাক হয় তার নাম করোনারি থ্রম্বোসিস। যদি কারও একটি আর্টারিতে ৫০%-এর বেশি বস্নক থাকে তবে তাকে বলা হয় সিঙ্গেল ভেসেল ডিজিজ, আর তিনটিতেই যদি ব্লক থাকে তবে তাকে বলে ট্রিপল ভেসেল ডিজিজ। ভেসেল কথার অর্থ আর্টারি বা ধমনী।

একটি ধমনী পুরো ব্লক হলেও হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। কেনো হার্ট অ্যাটাক হয়? কেনো ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ হয় তার কোনো সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কতগুলো কারণে এ ধরনের অসুখ হতে পারে। এ কারণগুলোকে বলা হয় করোনারি রিস্ক ফ্যাক্টর। এ রিঙ্ ফ্যাক্টরগুলোকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়।

মোডিফাইয়েবল রিস্ক ফ্যাক্টর, আন-মোডিফাইয়েবল রিঙ্ ফ্যাক্টর এবং বিবিধ। এসব রিস্ক ফ্যাক্টরকে নিয়ন্ত্রণ করে মানুষ ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ প্রতিরোধ করতে পারে। যে সমস্ত করোনারি রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোকে পরিবর্তন বা নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেগুলোকে বলা হয় মোডিফাইয়েবল রিস্ক ফ্যাক্টর। যেসব ফ্যাক্টর মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেগুলোকে বলা হয় আন-মোডিফাইয়েবল রিস্ক ফ্যাক্টর। করোনারি রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলো- ক) মোডিফাইয়েবল রিস্ক ফ্যাক্টর (নিয়ন্ত্রণযোগ্য) ১. হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, ২. ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র, ৩. স্মোকিং বা ধূমপান, ৪. হাইপার লিপিডিমিয়া বা রক্তে উচ্চ কোলেস্টেরল, খ) আন-মোডিফাইয়েবল রিস্ক ফ্যাক্টর (নিয়ন্ত্রণযোগ্য নয়) ঃ ১. সেক্স, ২. বংশগত রোগের ইতিহাস, ৩. বয়স, গ) বিবিধ রিস্ক ফ্যাক্টর ঃ ১. স্থুল দেহ, ২. অলসতা, ৩. মানসিক দুশ্চিন্তা, ৪. পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, ওষুধ ঃ গার্লিট্যাব ঃ ১-২ ট্যাবলেট দিনে ২-৩ বার সেব্য।

সিরাফ ছাফী ঃ ২ চা চামচ দিনে ২ বার সেব্য। সফুফ মুসাক্কেন (জে-ওয়াই. এইচ. বি) ঃ ১ স্যাচেট দিনে ২ বার সেব্য। সূত্র ঃ 'বাংলাদেশের অতি পরিচিত রোগ ও হামদর্দ হলিস্টিক চিকিৎসা' ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।