আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হতভাগা তিন ভাই

আমাদের সাথে পড়ত ছেলেটি.নাম তার হাফিয। তারা তিন ভাই। তারা তিন ভাই যোগ্যতার দিগ দিয়ে প্রথম সারির। তবুও কেমন যেন.... বড় ভাই বি ডি আর এর একজন র্কমর্কতা ছিলেন। স্ত্রি সন্তানদের নিয়ে খুব সুখের সংসার ছিল।

BDRদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য ঢাকার পিলখানায় আসেন। আসার পরদিনই এক মস্ত বড় গন্ডগোল শুরু হয়। যে ব্যাপারে অল্প বিস্তর অনেক কিছুই জানি। বড় ভাই কারারুদ্ধ হলেন । এখন র্পযন্ত অনেক সৈনিক মুক্তি পেলেও মুক্তি পাননি তিনি।

তাঁর স্ত্রি সন্তান ও মায়ের অপেক্ষার প্রহর গোণা এবং চোখের জল ফেলা ছাড়া কোন কাজ নেই। মেঝ ভাই খুব ভাল ছাত্র । একদিন তাদের কলেজে কয়েকজন লোক আসল.তারা অনেক ছাত্র ছাত্রীর নামে DV লটারির ফরম পূরণ করল । এর মাঝে মেঝ ভাই এর নামেও একটি ফরম পাঠান হল। ভাগ্যক্রমে তার ফরমটা লেগে গেল।

কিন্তু যাদের সহয়তায় ফরম প্ররণ করেছিল তারা মেঝ ভাই এর কাছে অনেক মোটা অংকের টাকা দাবি করে (আনুমানিক ৮লাখ টাকা) যা দেয়া তার পক্ষে অসভ্মব। অনেক আলোচনার পর তারা ১লাখ টাকায় রাজি হয়। কিন্তু তাদের সম্পদ খুবই কম। তারা কিছু জমি বিক্রি করে টাকা জমা দেয়। কিন্তু পরে দেখা গেল তার SSC র্সাটিফিকেটে যে নাম দেয়া হয়েছে সেই নামের সাথে লটারিতে দেয়া নামে সামান্য অমিল।

পরর্বতীতে এই সমস্যাও দূর হল। বিপত্তি বাধল এম্বেসীতে গিয়ে। ৬জনের ইন্টারভিউ নেয়া হল। ৫জনকে ভিসা দেয়া হল । একজনকে দেয়া হলনা।

সেই একজন হল মেঝ ভাই। এই দুই পরজয়ের গল্প আমি হাফিয ভাই এর কাছ থেকে শুনেছি। এখন শুনুন তার কথা . ঢাকায় এক নামকরা উস্তাদের থেকে তিনি কোরানে হাফেয হয়েছে। তার তেলাওয়াতের মতো মনমুগ্ধকর মায়াবী সুর আমি আর শুনিনি। বাংলাদেশে মাঝে মাঝে কোরান প্রতিযোগিতা হয়।

যে প্রথম হয় সে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে যাওয়ার সুযোগ পায়। হাফিয যতো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে সব গুলোতে দ্বিতীয় হয়েছে । কখনো প্রথম হয়নি। আমাদের মাদ্রাসা অনেক নামকরা একটি মাদ্রাসা। যেখানে র্ভতি হওয়া অনেকের স্বপ্ন থাকে।

আমাদের মাদ্রাসার নিয়ম র্বাষিক পরীক্ষায় গড়ে ৭০করে না পেলে পরর্বতী বছর র্ভতি করা হয়না। হাফিয ভাই পরীক্ষা দিল গড়ে৮০এর উপর পেল। কিন্তু সে আমাদের কাছে বলল আগামি বছর অন্য মাদ্রাসায় পড়বে। আমরাও হুযুরদেরকে তেমনটিই বললাম। হাফিয ভাইএর স্হানে অন্য ছাত্র র্ভতি করার পরই সে এসে উপস্হিত হয় ।

কিন্তু তাকে আর র্ভতি করা হয়না। তার একটি অদ্ভুত অসুখ ছিল । প্রায়ই ঘুমের মাঝে তাকে একটি অদৃশ্য প্রাণি তার বুকে বসে গলা চেপে ধরে দম বন্ধ করতে চায়। কত তাবিজ কবজ ঝাড় ফুক চিকিত্‍সা করল .কিন্তু কোন কাজে আসেনি। আজ একজন ফোন করে জিঞ্জেস করল হাফিয ভাই এর কোন খবর জান নাকি ? আমি বললাম অনেক দিন ধরে তার সাথে যোগাযোগ নেই ।

সে বলল আমি তার কাছে ফোন করেছিলাম। তার মা ফোন ধরল । জিঞ্জেস করলাম হাফিয ভাই কোথায় । তিনি বললেন সে আর নেই ..... এগুলো সবই আল্লাহ তায়ালার লীলা খেলা। আল্লাহর কোন কাজ হেকমত শূণ্য নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.