আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমরা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নাকি ফকিন্নিরপুত...... ঢাবির ছেলেরা নাকি বড়লোকের মেয়ে দেখলে মাগি বলে সম্বধন করে।

একদেশে একদিন এক ফকিন্নির পুতের জন্ম হলো। ধীরে ধীরে সে বড় হয়। ফকিন্নির পুত রাস্তায় দাড়ায়া দাড়ায়া দেখে পোলাপান সুন্দর সুন্দর জামা পইড়া ইস্কুলে যায়, ফকিন্নির পুলা মনে মনে ভাবে ইশকুলে যাবে, কারন ইশকুলে পড়া ফকিন্নির পুতের অধিকার। ফকিন্নি পুতের বাপ একদিন ফকিন্নির পোলারে ইশকুলে ভর্তি কইরা দেয়, সরকারী ফ্রি ইশকুল। সাথে আবার ট্যাকাও দেয় কালে ভদ্রে! গুড়াদুধ জামা কাপড়, ফ্রি বইও পায়।

ফকিন্নিরপুতের জৌলস গেলো বেড়ে। রাস্তায় ঘুইরা বেড়ানো পোলাপানদের দিকে ফকিন্নিরপুত আর তাকায় না, কারণ হেতে ইশকুলে পড়ে। একদিন ফকিন্নিরপুত হাইইস্কুলে উঠে, সেখানেও বিন্দাজ!! ৩০ টাকা বেতন! যদিও ফকিন্নির পুত ফুল ফ্রি স্টুডেন্টশীপ নিয়া নিসে চিপা দিয়া। প্রতিদিন ১০ টাকা দামের টিফিন দেয়। কেক, পেস্ট্রি, সিঙ্গারা!! ফকিন্নির পুত পড়ালেখা করে আর শীষ দেয় আর ঘুইরা বেড়ায়, বছর বছর গোটাকয়েট প্রশ্ন মুখস্ত কইরা পরীক্ষায় খাতায় লিখে দিলেই পাশ।

কয়দিন আগে ফকিন্নিরপুত মেধাবী হিসাবে পাশ দিলো। এরপর একদিন ফকিন্নির পুত কলেজ পাশ দিয়া ইউনিভার্সিটিতে উঠলো। জীবনে পরথম ঢাকা শহর আসলো। আয়হায়!! ঢাকা শহর কত সোন্দররে!! বড়লোক ছেলেদের পিছে মেয়েরা বাইকে ঘুইরা বেড়ায়। ওইদিকে কিছুক্ষণ তাকায়া থেকে 'হালার পুত মাগি নিয়া ঘুরে' গালি দিয় পকেটে হাত দিয়া দেখে মাত্র ৪০ ট্যাকা আছে।

এইডা দিয়া আরো দুইদিন চলতে হইবো, তারপর ভার্সিটির হোস্টেলে সীট পাওয়ার কথা। হোস্টেলে ৪০ ট্যাকা দিয়া তিন দিন খাওন যায়। এর মধ্যে শোনা যায় ভার্সিটি তাগো বেতন মাসে ২ টাকা থেকে আড়াই ট্যাকা করসে! কী!!!!!!! এতবড় সাহস! ঐ ভাং ভার্সিটি। ফকিন্নির পুতের অধিকারে হাত দেয় সরকার! এতবড় সাহস!!!! অত:পর ফকিন্নির পুত বছর পাচেঁক ছবির হাটে ঘুরাঘুরি করলো, গোটা দশেক ছাত্র পড়াইলো, গোটা চল্লিশ কেজি গাঞ্জা শেষ করিয়া পাশ দিলো। মাঝ খানে এক বড়লোক মেয়েরে পটায়া লাখ খানের টাকা বাণিজ্যও হইসে।

এখন সরকারী চাকরি করার সময়! ফকিন্নির পুত শুনসে সরকারী চাকরিতে এত ঘুষ যে বেতনও তুলতে হয় না। পাশ দিয়া বাইর হওয়ার সময় ফকিন্নির পুত হিসাব কইরা দেখলো যে সব মিলায়া ৬৩০ টেকার মত খরচ হইসে পড়ালেখা করতে। ফকিন্নির পুত জানতেও পারলো না, এই দেশের গরিব চাষাভুষা খেত মজুর দোকানদার মেথররা ভার্সিটির প্রতিটা ফকিন্নির পুতের জন্য কয়েক লাখ টাকা সরকাররে জমা দিসে!! অতপর: ফকিন্নিরপুত বিসিএস পরীক্ষা দিলো, কিন্তু জানতে পারলো ওই খানে নাকি মুক্তিযুদ্ধা আর উপজাতির লাইগা কোটা আছে! ফকিন্নির পুতের মাথায় বিচি উঠে গেলো, এতদুর!!! এতদুর!!!! মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কুটা!! হালায় তোরা মুক্তিযুদ্ধ করসছ কুটা নিয়ে তুই নিবি! তুই পরীক্ষা দিবি! তোর পুতকেন, তোর পুতের কীসের অধিকার?? অধিকার হইলো আমার! আমি ফকিন্নিরপুত! হু বাবা!!!! সারাজীবন ফ্রি পড়সি, ফ্রি চিকিৎসা নিসি, ফ্রিতে গাঞ্জা খাইসি! পরিশেষে চারুকলার ভাস্কর্যে আগুন দেয়া হলো, পুরছে দেশের হৃদপিন্ড!! _________________________ ফকিন্নির পুত'রা যখন ২০ বছর বিনা পয়সায় পড়ালেখা করে লায়েক হয়, পাছায় তেল বাড়ে তখন কোটাবিরোধী আন্দোলন জমবে, এতে আর অবাক কী!!! সরকারের উচিত পাবলিক ইউনিভার্সিটি আর কলেজগুলোতে সরকারী বরান্ধ বন্ধ করে দেয়া। যা শালা! নিজের বাপের ট্যাকায় পড়। সরকারী বরাদ্ধ এক ধরনের 'কোটা' ছাড়া আর কিছুই না, যে দেশে'র ৭০ ভাগ লোক দরিদ্রসীমার নিচে, ৩০ ভাগ লোক না খেয়ে থাকে সে দেখে আবার শিক্ষার জন্য বরাদ্ধ কীসের? আগে লোকজন খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকবে তারপর শিক্ষার জন্য বরাদ্ধ।

দেশের রিকশাওয়ালা, মেথর, দোকানদার, সাধারন মানুষের ট্যাক্সের টাকায় ফ্রি পড়ালেখা করে আজ তাহারা মেধাবী পশ্চাৎদেশের ঝুনঝুনি বাজাতে আসছে! ফকিন্নির পুতরা অলওয়েজ রকস্। তাদের এই ঝুনঝুনি আর নতুন শুনছি না। বরং আমার চারপাশে তাদের কলরব। সব 'কোটা' তুলে দেয়া হোক, সবার আগে ফকিন্নির পুতদের সরকারী বরাদ্ধ। ----- Kawsar Ahmed লেখাটার লিংক লেখকের ফেবু কিংক রিয়েলি.... আই আ্যম প্রাউড টু বি এ ফকিন্নির পুত.....।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.