আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জীবন আর যন্ত্র ( রুয়েট বিষয়ে স্বপ্ন নিয়ের আর্টিকেল সাথে আমার ফটুক)

দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী! প্রথম আলোর স্বপ্ন নিয়েতে আজকে জীবন আর যন্ত্র শিরোনামে আমাদের রুয়েট নিয়ে একটা আর্টিকেল ছাপানো হয়েছে । সেখানে আমার ছবি + বক্তব্য ছাপানো হয়েছে । ফয়সাল ভাইয়ের লেখাটাঃ তখন সবে ক্লাস শেষ হয়েছে। ব্যস্ত ভঙ্গিতে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসেন যন্ত্রকৌশলের অমিত। সঙ্গে তাঁর সহপাঠী বন্ধুরা।

টানা ক্লাসের ক্লান্তিটা ছিল ওদের সবার মুখেই। কিন্তু নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যেই না কথা বলা শুরু হলো, অমনি মুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সবার। উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)। বিজ্ঞানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ঠিকানা এই রুয়েট। সেই মেধাবীদের দিনগুলো কেমন কাটছে, সেটাই জানতে দিন কয়েক আগে ঢুঁ মেরেছিলাম রুয়েটে।

একে একে কথা বলা শুরু করেন ভবিষ্যৎ প্রকৌশলীরা। ‘রুয়েট ক্যাম্পাস আমার খুব ভালো লাগে। ’ বলে ওঠেন সিফাত। তাঁর কথার সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্বজন, শামস বলে ওঠেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই, মারামারি, হানাহানি নেই। শান্ত, নিরিবিলি ক্যাম্পাস, তাই খুব ভালো লাগে।

’ পাবনার মেয়ে মুন আবার রাজশাহী শহরটাকে খুব বেশি ভালোবাসেন। এ শহরের শান্ত, নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ, যানজটমুক্ত রাস্তাঘাট, বন্ধুবৎসল সহজ-সরল মানুষ, স্নিগ্ধ পদ্মা নদী—এর সবই ভালো লাগে এমনটাই জানালেন মুন। ক্যাম্পাস ভালো লাগে, শহরও ভালো লাগে; তা তো বুঝলাম। কিন্তু ক্লাস, পরীক্ষা সব যখন একসঙ্গে হানা দেয়, তখন কেমন লাগে জানতে চাই। এবার যেন আনন্দের স্রোতে ভাটা পড়ে কিছুটা।

আকিব বলেন, ‘আমাদের ক্লাস আর পরীক্ষা অনেক বেশি। সেমিস্টার শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় ক্লাস টেস্ট। ’ ‘আর সেই সঙ্গে একের পর এক অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। ’ মনে করিয়ে দেন নীপা। পড়াশোনার চাপ অনেক, কিন্তু এসবের ভালো দিকও যে অনেক, তা কিন্তু তাঁরা ঠিকই বোঝেন।

‘আমাদের ল্যাবগুলোতে হয়তো একেবারে অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম নেই, কিন্তু যা আছে, তাও কিন্তু কম নয়। ’ বলেন অমিত। তাঁদের শিক্ষকেরা যে অনেক আন্তরিক ও হেল্পফুল, তা জানাতেও কিন্তু ভোলেন না অমিত, মুন, অন্তু, হাফিজ। ক্লাস, পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট—এসব তো আছেই। কিন্তু এসবের চাপে পিষ্ট হয়ে গেছেন রুয়েটের শিক্ষার্থীরা, এটা মনে করলে কিন্তু বড্ড ভুল হবে।

পড়াশোনার পাশাপাশি বিতর্ক, নাচ-গান, খেলাধুলা—এসবেও পিছিয়ে নেই তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে। ডিবেট ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, রোবটিক্স সোসাইটি, ট্যুরিস্ট ক্লাব আরও কত ক্লাব। সব কটিরই রয়েছে নিজ নিজ কার্যক্রম। ক্লাবগুলোর আয়োজনে প্রায়ই বিভিন্ন ইভেন্ট হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।

মাঝেমধ্যে হয় রোবটিক্স প্রতিযোগিতা, অলিম্পিয়াড আবার কখনো বা হয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। এসব নিয়ে বেশ ভালোই আছেন রুয়েটের শিক্ষার্থীরা। মূল লেখার লিঙ্ক Click This Link আর নিজের ঢোল বড়রকম ভাবে নিজে পেটালাম বলে ব্লগার গন নিজ গুনে ক্ষমা করে দিয়েন  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.