আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বলিউডের দুষ্টু গান - ৩

আইটেম গানকে সিনেমার অন্যতম দর্শনীয় উপাদানে নিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিত। চিত্র পরিচালকরাও এ সময় উপলব্ধি করতে সক্ষম হন, একটি আইটেম নাম্বারের ভালো চিত্রায়ন অনেক দর্শককে একাধিকবার হলে টেনে আনতে সক্ষম। ১৯৮৮ সালে তেজাব সিনেমায় ‘এক দো তিন’ এবঙ ‘বেটা’ সিনেমায় ‘ধাক ধাক’ আইটেম নাম্বারে মাধুরী দিক্ষিত দর্শকদের কাপিয়ে দেন। বছর চারেক পরে ‘খলনায়ক’ সিনেমায় ‘চোলি কে পিছে ক্যায়া হ্যায়’ গানটি অন্যতম সমালোচিত এর শব্দচয়নের কারণে। খোদ পার্লামেন্টে এই গানটি ব্যান করার জন্য আবেদন করা হয়, মজার ব্যাপার হলো, ব্যান হবার পরিবর্তে গানটি সুপারহিট হয়ে যায়, একটা রিপোর্টে দেখা যায়, অনেক দর্শকই দুই এর বেশীবার হলে গিয়ে সিনেমাটি ‘চোলি কি পিছে ক্যায়া হ্যায়’ গানটি পর্যন্ত দেখেছেন এবং গান শেষে হল ত্যাগ করেছেন।

প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, চোলি কি পিছে ক্যায়া হ্যায় – এর বাংলা হলো, ‘ব্লাউজের নিচে কি?’ তবে, দর্শক হিসেবে আপনি যা কল্পনা করছেন, চোলির নিচে কিন্তু তা ছিল না, ছিল ‘মন’ ! মাধুরি দিক্ষিতের দেখানো পথ ধরে উর্মিলা মাতন্ডকর, সোনালী ব্রেন্দ্রে, শিল্পা শেঠি, রাভীনা ট্যান্ডন থেকে শুরু করে হালের কারিশমা কাপুর, টাবু, মনিশা কৈরালা, সুস্মিতা সেন, ঐশ্বরিয়া রাই, কারিনা কাপুর, ক্যাটরিনা কাইফও আইটেম নাম্বারে যোগ দিয়েছেন। এখানে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ্য যে, আইটেম নাম্বারের সংজ্ঞা কিন্তু শুরু থেকেই ছিল না, বরং এসব গান ক্যাবারে বা পার্টি সঙ হিসেবে পরিচিত ছিল। ‘আইটেম নাম্বার’ শব্দটি শিল্পা শেঠির সাথে বেশ জড়িত। ‘শূল’ সিনেমায় Main Aai Hoon UP Bihar Lootne গানের মাধ্যমে আইটেম নাম্বার শব্দের ব্যবহার শুরু হয়। গত এক দশক ধরে আইটেম নাম্বারে প্রতিযোগিতা লক্ষ্যনীয়।

সিনেমা হিট হবে কিনা তার চে’ আইটেম নাম্বার হিট হবে কিনা সে বিষয়ে পরিচালকরা প্রতিযোগিতায় নামছেন। বছরে কমপক্ষে ৮/১০ টি হিট আইটেম সঙ মুক্তি পাচ্ছে, সব শেষে টিকে থাকছে দু-একটি। একটি গানকে টপকে যা্ওয়ার জন্য আরও মেধা এবং অর্থ খরচ করে নির্মান করা হচ্ছে আরেকটি আইটেম নাম্বার। আইটেম নাম্বারের নর্তকীরা এখন নিজ নামে পরিচিত হচ্ছেন, মুন্নি-শীলা এরই অংশ। দারাশিকো ব্লগের ফেসবুক পেজ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।