আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেসবুকীয় আদব-কায়দা সমগ্র।

বাংলাদেশের মানুষ অল্প কিছুদিন ধরে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করেছে। এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হচ্ছে ফেসবুক নামক সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইটটির। কেউ কেউ কেবল নিজের পরিচিত বন্ধুদের গণ্ডির মধ্যে ফেসবুককে সীমাবদ্ধ রাখলেও বেশিরভাগ মানুষই স্বল্পপরিচিত কিংবা অপরিচিত মানুষদের সাথে বন্ধুত্ব করছে। আর এখানেই ঘটছে নানান রকমের বিপত্তি। সুস্থ-স্বাভাবিক চিন্তা বা আচরণ না করার কারণে কেউ কেউ অন্যদের জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠেছে।

আরো অবাক ব্যাপার হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ যেমন রাস্তা-ঘাটে যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার ব্যাপারটা খুব স্বাভাবিক ভাবে নেয়, তেমনি ফেসবুকের এই অশোভন কাজগুলোকেও স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে। "netiquette" (http://en.wikipedia.org/wiki/Netiquette) শব্দটি ইন্টারনেটের জগতে বহুল পরিচিত হলেও আমাদের দেশের মানুষের জন্য মোটামুটি অপরিচিত একটি শব্দ। তো সব কিছু আবার সব দেশের মানুষের বেলায় খাটে না। তাই বাংলাদেশীদের জন্য কিছু সাধারণ ফেসবুকীয় আদব-কায়দা লিখে দিচ্ছি। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে, আদব-কায়দা আর নিয়ম-কানুন এক জিনিস নয়, তাই আদব-কায়দা মানতে কেউ বাধ্য নয়।

আর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের ক্ষেত্রে মনে হয় না কোনো আদব-কায়দা মানবার দরকার আছে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি চাইলেই কাউকে ফেসবুক থেকে বাদ দিতে পারি (এবং সেটা করিও), কিন্তু তাতে তো সবার কাছে বিষয়গুলো জানা হচ্ছে না। তাই কারো ইচ্ছা করলে আমার নোটের পয়েন্টগুলো নিয়ে হুবুহু কিংবা নিজের ইচ্ছামতো পরিবর্তন করে নোট লিখে শেয়ার দেওয়া যাবে। (friend request) পাঠানোর সময়ে তুমি যদি নিশ্চিত না হও যে ওই ব্যক্তি তোমাকে চিনে, তাহলে সংক্ষেপে নিজের পরিচয় দাও। Send Request বাটনের বাম দিকেই একটা লিঙ্ক আছে, 'Add a personal message...', সেটা ব্যবহার করে মেসেজ পাঠানো যেতে পারে।

নিজের আসল নাম দাও, নইলে চিনতে সময় লাগে। সবুজ ঘাস, গরুর গোবর ধরণের নাম গ্রহনযোগ্য না। তবে এইসব নাম কেবল চ্যাটরুমে ও বিভিন্ন ব্লগে ব্যবহার করা যেতে পারে। অহেতুক অপ্রাসঙ্গিক ছবি ট্যাগ, কিংবা বিষয়বস্তুর সাথে তার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা নেই (এই বিষয়টা কমন সেন্স প্রয়োগ করে বুঝে নিতে হবে), সে ছবিতে তাকে ট্যাগ করা যাবে না। যেমন, কোরবানির গরু/ছাগল কিনে ছবি তুলে সেই ছবিতে ট্যাগ করা, নতুন বই বা মোবাইল কিনে সেই ছবিতে ট্যাগ করা ইত্যাদি হচ্ছে অনাকাংক্ষিত ট্যাগিংয়ের উদাহরণ।

যেসব অ্যাপ্লিকেশন অটো ট্যাগ করে, সেগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কাউকে না বলে গ্রুপে যুক্ত করার ব্যাপারটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক। খুব ব্যক্তিগত বিষয় হলে ওয়ালে পোস্ট করার বদলে ইনবক্সে মেসেজ আকারে দেওয়াই ভালো। ইনবক্সে গণমেসেজ (যেটা একসাথে অনেকজনকে পাঠানো হয়) পাঠানোর আগে খেয়াল রাখা উচিত, যাদেরকে পাঠানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে কমপ্লিট গ্রাফ আছে কি না (সবাই সবার পরিচিত কি না) অন্যথা বিষয়টা বিরক্তিকর হয়ে যায়, যখন একের পর এক অপ্রয়োজনীয় জবাব আসতে থাকে, তাও আবার অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে। উৎসবের শুভেচ্ছা যেমন 'ঈদ মোবারক' বা 'শুভ নববর্ষ' লেখা কোনো ছবিতে ৪০-৫০ জন বন্ধুকে ট্যাগ করাটা মোটেও শুভেচ্ছা জানানোর ভালো পদ্ধতি না।

বরং ওয়ালে পোস্ট বা ইনবক্সে প্রত্যেককে আলাদা মেসেজ পাঠানো যেতে পারে। আদব-কায়দা মেনে না চললে সেই বন্ধুকে প্রয়োজনমতো (পারস্পরিক সম্পর্কের উপর নির্ভর করে) hide, un-friend বা block করা যাবে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.