আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটি সতর্কতামুলক পোসট "জিহাদী বই'

বলতে পারিস বিশ্বপিতা ভগবানের কোন সে জাত! কোন ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অসুচি হন জগন্নাথ! সরকার যখন জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে; ঠিক সে মুহূর্তে সহায়ক বইয়ের নামে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অসংখ্য জিহাদী বইয়ে ছেয়ে গেছে বাজার। পর্যবেৰকদের ধারণা, সরকারের আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিৰানীতির বিরুদ্ধে এটি হুমকি স্বরূপ। অথচ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সুপরিকল্পিতভাবে এসব বই প্রকাশ করছে এবং ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ প্রত্যন্ত এলাকায়। এ ধরনের বেশিরভাগ বইয়ে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা এবং ছাত্রছাত্রীদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের অসত্য তথ্যের প্রবেশ ঘটানো হয়। এদের কার্যক্রম কেবল মাদ্রাসাগুলোতেই সীমাবদ্ধ নেই; ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অনেক কিন্ডারগার্টেন এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

জানা গেছে, বাজারে বর্তমানে প্রায় পাঁচ শ' অবৈধ সহায়ক বই চালু আছে। কোন কল্যাণমূলক দিকই এসব বইতে পাওয়া যাবে না; বরং ছাত্রছাত্রীদের বিভ্রান্ত করাই এসব বইয়ের উদ্দেশ্য। সরকারের উচিত এ বিষয়ে তদন্ত করা এবং এ ধরনের বইয়ের প্রকাশনা বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ধরনের বই দেশের বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে বিভ্রান্ত করছে। এতে সরকারের আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিৰাক্রম বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে।

চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশের প্রতিটি স্কুলে এ ধরনের অনুমোদনহীন 'জিহাদী বই' পড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছিল। তারপরও এই ধরনের তৎপরতা বন্ধ হয়নি। যথাযথ পদৰেপ না নেয়ার কারণে অবৈধ বইয়ের কাছে কোণঠাসা হয়ে গেছে বোর্ড অনুমোদিত বৈধ ও মানসম্মত বই। প্রশ্ন উঠেছে এসব বইয়ের প্রকাশের অর্থের উৎস কোথায়? এই অপতৎপরতা রোধে এখনই ব্যবস্থা নেয়া দরকার। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত রাখার স্বার্থেই তা করতে হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.