আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘোড়ার খুরের শব্দে যখন লক্ষ্মণ সেন পালায়, তখনতো বখতিয়ারকেই স্বাগত জানাতে হয়!

Shabag‘কোটা বাতিলের আন্দোলনে যদি জামাত-শিবির অনুপ্রবেশ করে থাকে, এর জন্যও মুক্তিযুদ্ধ-ব্যবসায়ী দল আওয়ামী লীগ দায়ী। ’ বখতিয়ার খলজির সহযোদ্ধা যে ১৭ সেপাই বাংলা জয় করেছেন, এদের মধ্য থেকে ২ জনের নাম বলুন। ভাইভায় আমাকে এই প্রশ্ন করলেন পিএসসির মেম্বার মাহফুজুর রহমান। উত্তর জানা নেই। তখন, পাশের প্রশ্নকর্তাকে মাহফুজ বললেন, দেখছেন, এই প্রশ্নের উত্তর জানে না, ছেলে আবার ফরেন অ্যাফেয়ার্স চায়।

ওই দুই যোদ্ধার নাম আমি এখনও জানি না। সম্ভবত ইতিহাসও জানে না। আর এটাও বুঝতে পারছি না, মুসলিম সাম্রাজ্যবাদের দুই সৈনিকের নাম জানার সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির সম্পর্ক কি? যাক, ওয়ান ইলেভেন দুর্নীতিবাজ মাহফুজরে ভালোই সাইজ করছে। আর পিএসসির কোটা জটিলতা সাইজ করছে আমারে। ২১তম বিসিএসের ভাইভা ফেল করার পর থেকেই শাহবাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোরাফেরা শুরু করি।

২২, ২৪ বা ২৭-এর ভাইভা পর্যন্ত দৌড়ানোর পরও অফিসার হইতে পারি নাই। আওয়ামী লীগের ঠিকাদার এক পিএসসি মেম্বারের ছেলেকে দেখলাম ফেন্সিডিল জটিলতায় ১২ বছর স্টাডি ব্রেকের পরও বিএনপির আমলে ম্যাজিস্ট্রেট হইসে! আজ ৩৪তম বিসিএসের পোলাপানের জন্য মায়া লাগতাছে। ওরাও দেখি শাহবাগে জটালা পাকাইসে! বখতিয়ার খলজির পেছনের মূল বাহিনীটা শাহবাগ ঘিরে ফেলেছে। বখতিয়ারের মূলবাহিনীই এখন বাংলাদেশের বাস্তবতা। যে শাহবাগে পুনর্জন্ম দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ, আজ সেখানেই মুক্তিযুদ্ধ কোটার প্রতিবাদ।

সমর্থন জানালাম। কোটায় এসএম হলের ক্যাডার হয়ে গেছে পুলিশ; বুয়েট পরিত্যাক্ত ডাইলখোর হয়ে গেছে ম্যাজিস্ট্রেট। ২৪তম বিসিএসের ভাইভায় পিএসসি মেম্বার সাহেব প্রশ্ন করলেন, আজকের কাগজে চাকরি করো, ওটাতো আওয়ামী লীগের পত্রিকা; তুমি ছাত্রলীগ! বললাম, সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদতো চশমা মার্কায় ইলেকশন করছে, সেতো আর আওয়ামী লীগে নাই। আমার ছাত্রলীগ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর চশমা নিয়ে ইলেকশন করেছেন কাজী শাহেদ।

ছাত্রলীগের ছেলেপেলে ঢুকতে দেয়া যাবে না। পাশের জনকে বিড়বিড় করে বললেন তিনি। এবার আমি বললাম, আমি ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কে কাজ করি; খোদার কসম, ওই পাতায় খালেদা-হাসিনার নিউজ ছাপা হয় না। ..................... মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিতে বাপের কিছু কাগজপত্র নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে গেলাম। শুনলাম, ৩০ হাজার টাকা লাগবে।

বাপরে কইলাম,৩০ হাজার টাকা দিয়া সার্টিফিকেটটা নিলে চাকরির সময় লাখ টাকার ঘুষ দেয়া লাগবে না। বাপ রাইগা কইলেন, আমার যোগ্যতায় তোমার চাকরি করার দরকার নাই। মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে এপ্রিলে, এখন জুলাই চলছে। যা পুড়েছে, তা বাতিল মাল; এ নিয়ে মায়াকান্না সাংস্কৃতিক দৈন্যতা ছাড়া আর কিছু নয়। চারুকলার মূর্তি পুড়িয়ে যদি কেউ মক্কা বিজয়ের ফ্লেভার নিতে চায়, তা ওই মায়াকান্নার চেয়েও বেশি হাস্যকর! পুলিশের টিয়ারসেল থেকে বাঁচার জন্য আগুন জ্বালানোর দরকার ছিল, বিসিএস পরীক্ষার্থীরা তা-ই জ্বালিয়েছে।

এর মধ্যে অন্য কোনও মাত্রা যোগ করাটাও একটা ষড়যন্ত্র। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।