আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অকারণ ঝামেলা যন্ত্রনা

আমি খুব র্নিবিবাদী মানুষ আপন মনে থাকি প্রকৃতির সাথে। নিজের সৃষ্টি নিয়ে মেতে থাকি। কত কীযে করার আছে, কত কী যে করতে ইচ্ছে করে কিন্তু সময় আর বাস্তবতার পারদ এক সাথে না হলে অনেক ভাবনা মাথায় ঢেউ তুলে হারিয়ে যায়, অনেক চুপ করে ঘুমিয়ে থাকে, আবার হয়তো জলের ধারার মতন ঝরতে শুরু করে কখনো তখন লিখে যাই বা আঁকি আপন মনে। এত্তো কিছু সামলে উঠে অন্যদিকে চাওয়ার সময় হয়ে উঠেনা অনেক সময়। আজকাল পত্রিকা অফিসগুলোতে ধন্যাদিতে হয় না।

নিজের লেখা ছাপানোর সুযোগ করে দিয়েছে অর্ন্তজাল। সবাই নিজের ভাবনা ছড়িয়ে দিচ্ছে লিখার সাথে সাথেই বন্ধুদের মাঝে। অনেকটা নিজের ডায়েরীর পাতার মতন হয়ে উঠেছে ফেইসবুক বা ব্লগের লেখাগুলো এর মাঝে অনেক জ্ঞানীগুনি তথ্যসম্বলিত লেখাও আসে। প্রতিটি মানুষের নিজেস্ব ভাবনা চিন্তা চেতনার জগৎ ভিন্ন। খুব মজার জায়গা এই অর্ন্তজালের যোগাযোগ।

একজন যখন বলছে, বাংলাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে, আরেক জন মরুভূমিতে বসে সে বৃষ্টির জন্য হা হুতাস করছে। আবার লিবিয়ার যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক মন্দা পৃথিবী ব্যাপী তা নিয়েও তুমুল বাক বিতন্ডা তথ্য, যুক্তির ফুলঝুড়ি ছুটে দখল হতে থাকে শূণ্য জগতের অসীম খাতার পাতা নিমিশে। অর্ন্তজালে যোগাযোগ আজ থেকে প্রায় দশ বছর ধরে। তখন লিখতাম বাসভূমি" নামে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত একটা ওয়েব ম্যাগাজিনে। তারপর স্মৃষ্টি ইন্ডিয়া থেকে প্রচারিত বাংলা ম্যাগাজিন, এরপর আর হিসাব নাই কত যে ওয়েব ম্যাগাজিন ব্লগ এলো গেলো, আছে, নতুন করে যোগ হচ্ছে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাই বাংলা স্পেস্' আমাদের আড্ডা যেখানে লেখা কথা বলা আড্ডা, টেলিভিষন দেখা অনেক কিছু যোগ করা আছে্ । ধীরে ধীরে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে ফেসবুক। বাংলাদেশের অর্ন্তজালের যোগাযোগ সহজ হওয়ার পর ২০০৭ থেকে বাংলাদেশের লোকজন অনেক বেশী অর্ন্তজাল ব্যবহার শুরু করে। প্রথমদিকে অর্ন্তজালের যাচ্ছেতাই ব্যবহার ধীরেধীরে পরিমার্জিত সুন্দরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কোনঠাসা হয়ে যাচ্ছে উশৃঙ্খল, অসভ্য ব্যবহারকারী।

ইদানিং শিল্প, সংস্কৃতি চর্চার এক মাধ্যম হয়ে উঠেছে ব্লগ, ফেইসবুক। আমার ফেইসবুক খুব আপন জনের মাঝে সীমিত থাকলেও লেখালেখির কারনে অনেকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ করেন। নিজের লেখায় মন্তব্য দিতে অনুরোধ করেন। দিনক'য়েক থেকে দেখছি খুব বেশী গ্রুপ তৈরী হচ্ছে ফেইসবুকে। আর অনুরোধ না পাঠিয়েই কীভাবে যেন আমাকে সেখানে এ্যাড করে ফেলছে।

গেলো সপ্তাহে আমি এমনি এ্যাড হয়ে যাই 'জুলেখা সিরাপ' নামে এক গ্রুপে। যার এডমিন, চয়ন খাইরুল হাবিব" আমি ভাবলাম এটা আবার কেমন কিসের গ্রুপ! এটাও শিল্প স্ংস্কৃতির গ্রুপ। নামটা পছন্দ না হলেও আমার যে বন্ধু আমাকে সেখানে এ্যাড করেছে তাকে সম্মান জানিয়ে আমি একটা লেখা ওখানে পোষ্ট করি। আর খুব কাজের তাড়া থাকায় বাইরে চলে যাই। পরদিন ইমেলে চারখানা নোটিশ দেখি ঐ লেখার মন্তব্য।

ফেসবুক খুলে মন্তব্য খুঁজে পাইনা কিছু আছে দেখাচ্ছে নোটিফিকেশনে কিন্তু আমি কিছুই দেখতে পাইনা। অনেক কসরত করে ডিলিট করা ই মেইলের লেথা খুলে দেখি পরপর চার মিনিটে আমাকে ঐ গ্রুপ থেকে আমার লেখা তুলে নিতে বলা হয়েছে না হলে আমার নামে ফেইস বুকে রির্পোট করে আমার অনলাইন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। আমার বোধগম্য হলো না। যারা অন্যের লেখা সহ্য করতে পারে না তারা কেন তবে গ্রুপ খুলে এবং তাদের সদস্য করার জন্য অনুরোধ করে অন্যদের। তারা অন্যের লেখা চায় না শুধু নিজের লেখার প্রশংসা চায়‍!!! এবং খুবই আশ্চর্য হয়ে দেখলাম আমার লেখা সরিয়ে নেয়ার পরও আমার ফেইসবুক একাউন্ট আমি খুলতে পারছিনা প্রায় সাতদিন ধরে।

এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা মনে হলো অন্যেদের জানিয়ে দেই যে আমাদের মাঝে অনেক ভদ্রবেশী ভন্ড ক্রিমিনাল আছে। আমার বন্ধুটির সাথে কথা বলে জানলাম ও কোন কিছু পছন্দ বা মন্তব্য দিলে তাকে নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করে ইনবক্স ম্যাসেজ দিয়ে বা চ্যাটের মাধ্যমে ঐ গ্রুপের এডমিন। যারা অনলাইনকে ব্যবহার করে নিজেকে প্রচার করার চেষ্টা করছে উলংগ ভাবে ওরা যে আসলে ছোটলোক। সেটা বুঝে নিতে অবশ্য বুদ্ধিসম্পন্য মানুষের বেশী সময় লাগার কথা না। র্নিবিবাদি হয়েও নিরাপদে থাকা যায়না অনেক সময় তাই জানলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।