আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কানিজ আলমাসের মিনতি...(পড়তে হবে, ভন্ডামি/শয়তানি)

দুঃখের জল,করে ছল-ছল... ভিডিও কেলেঙ্কারি ধরা পড়ার পর প্রভাবশালী মহলের সহায়তা নেওয়ার চেষ্টার পাশাপাশি গ্রাহকদেরও সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন পারসোনার সত্ত্বাধিকারী কানিজ আলমাস খান। এজন্য মঙ্গলবার তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কেটেছে ব্যস্তদিন। বিভিন্ন সময়ে যারা পারসোনার গ্রাহক হয়েছেন অথবা যাদের টেলিফোন নম্বর পারসোনার কাছে রয়েছে তার একটি ডাটাবেজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরে সেই ডাটাবেজ ধরে কানিজ আলমাস খানের নামে একটি বার্তা মোবাইলফোন নম্বর গুলোতে পাঠানো হয়েছে। যাতে তিনি গ্রাহকদের কাছে সব ধরনের সহযোগিতা চান।

কানিজ আলমাসের পাঠানো মোবাইল ফোন ম্যাসেজের একটি কপি বাংলানিউজের হাতে পড়েছে। ইংরেজিতে লেখা এই বার্তায় তিনি বলেছেন: ‘প্রিয় গ্রাহক, আপনার সহায়তার জন্য পারসোনার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। আমরা একত্রিত থাকলে যে কোনো পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারবো এবং একটি শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তুলতে পারবো। আমরা আপনাকে সর্বশ্রেষ্ঠ সেবা দিতে সচেষ্ট। ’ তবে কানিজ আলমাসের এই বার্তা গ্রাহকদের কতটুকু প্রভাবিত করেছে তা স্পষ্ট জানা না গেলেও তাতে কানিজ নিজে যে সন্তুষ্ট নন তা জানা গেছে।

কারণ এরই মধ্যে তিনি সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে এবং প্রভাবশালী পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে সহায়তা চেয়েছেন। পরের দিকে নিজেদের কোনো অপরাধ নেই বললেও ঘটনার পরের দিন কানিজ আলমাস বাংলানিউজকে নিজেই ফোন করে জানিয়েছিলেন তাদের কাজটি ভুল হয়ে গেছে। ভুলটিকে সামান্য উল্লেখ করে সেদিন তিনি এও বলেছিলেন, এর জন্য পারসোনাকে ক্ষমা করে দেওয়া যায়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নিজের স্ট্যাটাসে কানিজ আলমাস এ বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। এদিকে, পারসোনার ভিডিও কেলেংকারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটি বনানী কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।

সেখানে বিভিন্ন তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছেন তারা। তবে তদন্তের সার্থে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। বুধবারই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে তদন্ত দল। গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবীর বাংলানিউজকে জানান, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা আগামীকাল বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পারসোনার ভিডিও কেলেঙ্কারী তদন্তে পুলিশ পিছু হটছে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের সহকারী কমিশনার এস. এম. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘এখানে পিছু হটার কোন কারণ নেই। আমরা ঘটনাটিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল হিসেবে নিয়ে এর এটি তদন্ত করছি। ’ উল্লেখ্য, গত এক চিকিৎসকের স্ত্রীর অভিযোগের সূত্র ধরে গত শুক্রবার পারসোনার বনানী শাখায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় স্পা কক্ষ থেকে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে তারা।

পরবর্তীতে তদন্ত ছাড়াই ওই হার্ড ডিস্ক অভিযোগকারীকে দিয়ে দেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা। এরপরই হার্ড ডিস্ক থেকে ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলার অভিযোগ ওঠে এবং ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়। (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম থেকে সংকলিত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.