আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে কারণে আমার ভাবনা গুলো মৃত্যু ঘটে।

কয়েক দিন ধরে একটা বিষয় মাথা থেকে সরাতে পারছি না। কারণ আমি বড় কলামিষ্ট নই কোথাও লেখার তেমন যোগ্যতা নেই। কিন্তু মনে মনে একটা অর্ন্তদহনে ভুগছি। তাই আমার লেখার সর্বশেষ জায়গা সামুতে লিখলাম। গত দু/তিন দিন আগে ব্লগে এবং পত্রিকায় খবরটি পড়ি।

সেটি হল- গফরগাঁয়ে মা, বোন, ভাই এবং নবপরিনিতা বধূর সামনে এক ব্যক্তিকে জবাই করে মাথা কেটে কালো পলিথিন ব্যাগে পুরে নিয়ে যায় ৭০/৮০ জনের এক দলয সন্ত্রাসী। খুন জখম পূর্বেও ছিল বর্তমানে আছে এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত মনে হয় চলতে থাকবে। কিন্তু যাকে হত্যা করা হয় তিনি তো মরে গিয়ে বেঁচে যান। যাদের চোখের সামনে হত্যা করা হয় প্রিয় জনকে তাদের হত্যার দৃশ্য সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হবে এবং তা মৃত্যু থেকে দু:সহ। গফরগাঁয়ে খুন, হত্যা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার।

আমার মনে হয় বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুন অরাজগতা গফরগাঁয়ে হয়। গফরগাঁও তো কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় অথবা দূর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামের মতো নয়। তাহলে গফরগাঁয়ে কেন শান্তি আনা যাচ্ছে না? কত মানুষ খুন হলে গফগাঁয়ে শান্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে? প্রতিটি অপমৃত্যুর সাথে আমার মৃত্যু ঘটে। আমি মানুষের নৃশংসতার সাথে নিজেকে নৃশংস ভাবে হত্যা করি। আমার ভাবনা গুলোর মৃত্যু ঘটে প্রতিদিন।

একজন খুনী হিংস্র হলে খুন করে ফেলবে। কিন্তু কতটুকৃ হিংস্র হলে খুন করে মাথা কেটে নিয়ে যায়? আমাদের দেশে খুন গুলো নৃশংস হয় বেশি তার কারণ হল- আমাদের চলচ্চিত্রে খুনের দৃশ্য খুব নৃশংস ভাবে চিত্রায়ন করা হয়। বিশেষ করে ইদানিং কালের কিছু ছবিতে দেখা যায় যে, নায়ক অথবা ভিলেন কাউকে খুন করার আগে তার হাত পা কেটে নেন অথবা চুলের মুষ্ঠি ধরে মাথা কেটে ফেলেন। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নায়ক এবং ভিলেন উভয়ের হত্যার দৃশ্য এবং নৃশংসতার রূপ এক রকম হচ্ছে। কিন্তু তা একরকম হওয়ার কথা না।

কারণ নায়ক সমাজের আদর্শ তার হাতে যদি কোন মানুষ মারা যায় তা হবে তার অনিচ্ছাকৃত অথবা সমাজের বড় একটা বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য হতে পারে। আর ভিলেনের হত্যার দৃশ্য হবে তার নৃশংসতা প্রকাশের চরম মাত্রা। তাই দুই দৃশ্য মনোভাব এক হতে পারে না। এ বিষয়টি একটি মনস্তাত্তিক বিষয়। চলচ্চিত্র পরিচালকরা তাদের লগ্নিকৃত টাকা যে কোন ভাবে উঠিয়ে নিতে চাইবেন এবং যে কোন দৃশ্য চিত্রায়ন করে উঠাতে চাইবেন তার জন্য নগ্ন দৃশ্য, কাটপিস সংযোজন করছে তার মধ্যে নতুন মাত্রা পাচ্ছে খুন মারা মারির অতি নৃশংস দৃশ্যের লোম হর্ষক চিত্রায়ন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.