আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিয়া করমু পাত্রী চাই

বয়সতো অনেক হল। আগামী নভেম্বরে পঁচিশে পা দিবো। মেডিকেলের ফাইনাল পরীক্ষা দিতেছি। পাশ করলেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরবে। বাপের টাকা আসা বন্ধ।

ভাবছিলাম বিসিএস দিয়ে সরকারী চাকুরী কারবো। এদিকে এডহকের মাধ্যমে কত ডাক্তার চাকুরী পেয়ে গেল। গত বিসিএসে পোস্টিং খালি ছিল ডাক্তার কৌঠায় মাত্র সর্ব সাকুল্যে চল্লিশ। এর মাঝে কৌঠাতেই পঞ্চান্ন ভাগ চলে গেলো। বাকি থাকল পয়তাল্লিশ।

তাতে মাত্র উনিশটা থাকে যার সব ছাত্রলীগের জন্য সংরক্ষিত থাকাটাই স্বাভাবিক। সামনের বিসিএসে অবস্থা আরো করুণ হবে বলেই মনে হয়। বাপের টাকা আসা বন্ধ। বিয়ের সময় ঘনিয়ে আসা । নিজের ভবিষ্যত।

নিজের চাকুরী। সব নিয়ে পুরাই তালমাতাল অবস্থায় আছি পাশ করার আগেই। হঠাত্‍ করেই শুনি হাসিনা আফার নাকি মুক্তিযুদ্ধার নাতিনাতনীদেরো কৌঠা দিবেন। তাই ভাবলাম মুক্তিযুদ্ধার নাতনীকেই বিয়ে করতে হবে। তাতেও যদি নাতনীর জামাই হিসেবে চাকুরী পেয়েই যাই।

আছে নাকি এমন পাত্রী। খুব দুঃখের সাথে লিখলাম । মুক্তিযোদ্ধারা দেশের গর্বিত সন্তান। কিন্তু আজ যদি তারা বুক উচু করে বলতেন আমরা নিজের বংশধরদের জন্য যুদ্ধ করিনি। তারা যদি বলতেন আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য কৌঠা চাইনা।

তারা যদি বলতেন এদেশ স্বাধীন করেছি সকলের জন্য তবে জাতি আজ সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা পেতো। আজ তাদের দেখলে আমার নিজের বাবাকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে বাবা দেখ ওরা ওদের সন্তানদের জন্য কত কি করে গেছেন আর তুমি আমার জন্য কি করেছো? যখন ওদের নাতী নাতনীরা কৌঠায় চাকুরী পায় তখন তোমার ছেলে চাকুরীর জন্য দারে দারে ঘুরে বেড়ায়। বাবা আমি কি এই দেশের নাগরিক না? বাবা কেন তুমি মুক্তিযুদ্ধ করো নি? কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিলো আর তুমি এটাও করতে পারলে না? বাবা তুমি অনেক ভুল করেছো। তুমি মুক্তিযুদ্ধ করো নি ভালো । তুমি ভুয়া সার্টিফিকেট নাও নি তাও ভালো ।

তুমি মুক্তিযুদ্ধার মেয়েকে বিয়ে করোনি তাও মেনে নিলাম। কিন্তু বাবা এই ভূলটি তুমি করো না। তোমার ছেলেকে অনেক বঞ্চিত করেছো। এবার আমায় মুক্তিযুদ্ধার নাতনীর সাথে বিয়ে দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করো । সবার দোয়া প্রার্থী আমি।

। পরবে। বাপের টাকা আসা বন্ধ। ভাবছিলাম বিসিএস দিয়ে সরকারী চাকুরী কারবো। এদিকে এডহকের মাধ্যমে কত ডাক্তার চাকুরী পেয়ে গেল।

গত বিসিএসে পোস্টিং খালি ছিল ডাক্তার কৌঠায় মাত্র সর্ব সাকুল্যে চল্লিশ। এর মাঝে কৌঠাতেই পঞ্চান্ন ভাগ চলে গেলো। বাকি থাকল পয়তাল্লিশ। তাতে মাত্র উনিশটা থাকে যার সব ছাত্রলীগের জন্য সংরক্ষিত থাকাটাই স্বাভাবিক। সামনের বিসিএসে অবস্থা আরো করুণ হবে বলেই মনে হয়।

বাপের টাকা আসা বন্ধ। বিয়ের সময় ঘনিয়ে আসা । নিজের ভবিষ্যত। নিজের চাকুরী। সব নিয়ে পুরাই তালমা ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।