আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোজায় হরতাল অনৈসলামিক

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। সোমবার ও মংগলবার রোজার দিনে জামায়াতে ইসলামীর সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বীতশ্রদ্ধ সাধারণ মুসল্লিরা। চরম বিরক্তও। নির্বিঘ্ন ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যাঘাত পড়ায় মুসল্লিদের মনে জন্ম নিয়েছে বিতৃষ্ণা। ইসলামের কথা বলে এমন অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে ঘর ও ঘরের বাইরে সর্বত্র বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষ।

ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, রমজান ইবাদত-বন্দেগি ও পুণ্যের মাস। এ মাসে একটি পুণ্যের কাজ করলে যেমন অসংখ্য সওয়াব জমা হয়, তেমনি একটি গুনাহর কাজ করলে অসংখ্য গুনাহ যোগ হয় আমলনামায়। সে মাসে হরতাল ডেকে জামায়াতে ইসলামী জাহেলের কাজ করেছে। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছে ইবাদত-বন্দেগিতে বাধা। হরতাল ঘোষণার পরপরই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

ভীতসন্ত্রস্ত করে ফেলে সাধারণ মানুষকে। সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারির কেনাকাটা করতে বের হয়ে বিপাকে পড়েন অনেকে। ভীতি-বিহ্বল মানুষ কষ্ট করে কোনোমতে সেরে নেন ইফতারটুকু। তারাবির নামাজে যেতেও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন কেউ কেউ। আজ সোমবারের হরতালের ঘটনায় জামায়াতের ইসলামীর ইসলাম ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসা নিয়ে আবারও সন্দিহান হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে রোজার মাসে হরতাল দেওয়ায় খোদ অনেক সমর্থকের মধ্যেও বিরক্তের উদ্রেক হয়েছে। তারা কিছুতেই রাজনৈতিক কর্মসূচির ফাঁদে পড়ে নিজেদের ইসলামের মূল্যবোধকে নস্যাত্ করতে রাজি নন। ইসলামী চিন্তক ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, জামায়াতে ইসলামী কখনোই ইসলামের পক্ষের দল নয়। ওরা ইসলামের কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা লোটে। অনৈতিক-অনৈসলামিক কাজ করে।

যেমনটি করেছে রোজার মাসে হরতাল দিয়ে। তারা কখনোই সাধারণ মুসলমানের কথা ভাবে না। সাধারণ মুসলমানের কষ্ট অনুভব করে না। এই ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, রোজার মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। এ মাসে যে একটি পুণ্যের কাজ করবে, সে অসংখ্য পুণ্য পাবে আর যে একটি গুনাহ করবে তার আমলনামায় অসংখ্য গুনাহ জমা হবে।

জামায়াত হরতাল ডেকে জাহিলিয়াতের কাজ করেছে। ওরা জাহেল। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন আমার মনে আছে, জামায়াত এক রোজায় হরতাল ডেকেছিল। ইফতারের সময় রাস্তার পাশে সব ইফতারি নষ্ট করল। সাধারণ মুসলমানকে মারধর করল।

মেসাবিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু হানিফ বলেন, মাহে রমজান রহমত-মাগফিরাতের মাস। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের পবিত্র মাস। এ মাসে যারা হরতাল ডাকে বা ইবাদত-বন্দেগিতে বাধা পড়ে এমন কোনো কাজ করে তা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক। ইসলাম কখনোই এসব বরদাশত করে না। তিনি আরও বলেন, এ মাসে একটি নফল ইবাদত করলে একটি ফরজের সমান এবং একটি ফরজ ইবাদত করলে ৭০টি ফরজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

তাই এ হরতাল সাধারণ মুসলমান মানে না। মানবে না। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.