আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেলফোন ও শিশুদের ব্যবহার সচেতনতা

অতি সাধারণ জীবন-যাপন করতে অভ্যস্ত সম্প্র্রতি আমেরিকান বিশেষজ্ঞরা অভিভাবকদের সতর্ক করে তাদের শিশুদের কাছে সেলফোন দেয়ার বিরোধিতা করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন। তারা গবেষণায় দেখিয়েছেন, সেলফোন থেকে নিঃসরিত রশ্মি স্বাস্থ্যের বিপর্যয় ঘটাতে পারে। জাতীয় রশ্মি প্রতিরক্ষা বোর্ড (একটি সরকারি উপদেষ্টা পরিষদ) সেলফোন ব্যবহার করার জন্য পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য একটি মিটিং কল করেছিল। এই পর্যবেক্ষণে তারা স্ব্বীকার করেছে, এই রশ্মিটি যে ক্ষতিকর তার কোনো সুদৃঢ় প্রমাণ নেই, আবার এটাও তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এটাকে আবার একেবারে উড়িয়েও দেয়া যায় না। আবার আমরা দৃঢ়ভাবে একথাও বলতে পারি না, মোবাইল বা সেলফোন ব্যবহার করা নিরাপদ।

উইলিয়াম স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে এনআরপিবি যখন দ্বিতীয়বার রিপোর্টটি উত্থাপন করল তখন তারা আবার মোবাইল ফোন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরের ওপর গভীর গবেষণা করল। এই নতুন রিপোর্টটিতে তারা আরও যোগ করেছে। এই রিসার্চের সঙ্গে একটি ইউরোপিয়ান পর্যবেক্ষণও সংযুক্ত হয়ে একমত প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যে এই রশ্মিটি ডিএনএ’রও ক্ষতি করতে পারে। এর আগে একটি সুইডেন পর্যবেক্ষণ দল দেখায়, নার্ভের টিউমারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কিত।

তারও আগে ডেনমার্কের একটি পর্যবেক্ষণ দল প্রমাণ করে, সেলফোন ব্যবহার মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এনআরপিবি’র প্রধান বিজ্ঞানী উল্লেখ করেন, এর সব জটিল ব্যাপার তদন্ত করতে হবে। যেমন—নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক সেলফোন রেডিয়েশনের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে না-কি বেশিসংখ্যক লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এই রিপোর্টে এটাও বলা যায় যে আমরা যেন আমাদের মনকে ভেঙে না ফেলি। স্ট্রয়ার্ট একথা বলেন, নয় বছরের নিচের ছেলেমেয়েদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেয়া উচিত নয়।

কেননা তারা বিশেষভাবে সেলফোনের রেডিয়েশনে আক্রান্ত হতে পারে। কারণ, এই রেডিয়েশন তাদের মস্তিষ্কের একটি বৃহত্তম অংশে আঘাত করতে এবং তাদের নার্ভাস সিস্টেমটিকেও বাড়িয়ে দিতে পারে। এনপিআরডি’র রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক বা বয়স্ক ছেলেমেয়েরা যেন ভয়েস কল ব্যবহার না করে টেক্সট মেসেজ ব্যবহারের সুযোগ নেয়। এই সেলফোনগুলো যে হারে বিস্তার লাভ করছে সেটাও কিন্তু উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ। তৃতীয় প্রজন্মের সেলফোনগুলো পুরনো সেলফোন অপেক্ষা বেশি রেডিয়েশন উত্পাদন করে।

কিন্তু এটা নিয়ে খুব কমই গবেষণা হয়েছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।