আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাগলের সাথে একদিন

বিনা অপরাধে যারা শাস্তি পায়, তাদের কষ্ট শেয়ার করা যায় না। আমরা কয়েকজন বন্ধু কমার্স কলেজের সামনে একসাথে বসে আড্ডা মারছি। কলেজের ইন্টারের কিছু মেয়ে দেখলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। সুন্দরী না সেক্সি বলব বুঝে উঠতে পারিনা। থাক সেইসব কথা।

আজ তার চেয়েও একজন আকর্ষনিয় লোকের সাথে পরিচয় হলো। দেখতে অনেকটা নোংরা, চুল কোঁকরা, গায়ের থেকে গন্ধ বের হচ্ছে। হঠাৎ আসা লোকের সাথে কথোপকথন এরূপ : পাগল: জনাব বসতে পারি? আমি : ( কিছুক্ষন তার দিকে তাকিয়ে দেখে নিলাম) এটাতো সরকারি জায়গা, যে কেউ বসতে পারে। বসেন। পাগল: আচ্ছা ভাই বলেনতো, ইংরেজি U বর্ণ বাংলা উচ্চারণ করলে কয়টি অক্ষর আসবে? আমি : U বর্ণ বাংলা করলে, তুমি যদি স্বরবর্ণের কথা চিন্তা কর তাহলে ২টা, ব্যঞ্জনবর্ণের কথা চিন্তা কর তাহলে ৪টা, ক্লিবর্ণের কথা চিন্তা কর তাহলে ৬টা, আর যদি একসাথে চিন্তা কর তাহলে ১৪টা।

অর্থাৎ ২টা বর্ণ বোনাস আসবে। পাগল: ( সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ! ) ভাই আরেকটা প্রশ্ন করি? আমি : কর। পাগল: না থাক। আমি : আমি তোমাকে একটা প্রশ্ন করি? পাগল: করেন। আমি : নাম কি? পাগল: পাগল।

আমি : সুন্দর নাম। কি কর? পাগল: ফুটবল খেলি। আমি : কোন দলে খেল? পাগল: মদিনা দলে খেলি। এবারের বিশ্বকাপ খেলব আমেরিকার বিপক্ষে। আমি : তাই।

তুমিতো ফুটবল খেলো, তোমাকে TVতে দেখাবে কবে? পাগল: কালকে 'আইতে' । আমি : বলোতো ফুটবল খেলায় খেলোয়ার কতজন থাকে? পাগল: ৬০-৭০জন। আমি : (কিছুটা অভাক হয়ে) ও তাই ! আমিতো জানি ১৫০-২০০ জন। ধুর, তুমি কি ফুটবল খেলো কতজন খেলোয়ার খাকে এটাই জানোনা। আচ্ছা এবার বলো, ফুটবলে অ্যাম্পেয়ার থাকে না রেফারি থাকে? পাগল: রেফারি।

আমি : (আবার অভাক হলাম, এই প্রথম কোনো সঠিক উওর পেলাম ) তুমি কচু জানো, ফুটবলে অ্যাম্পেয়ার থাকে। পাগল: ও হ্যাঁ, অ্যাম্পেয়ার থাকে। আমি : রিক্সায় ওই দুইজন বসে আছে ( একটা খ্যাঁত ছোকরা ও একটা সেক্সি রমনী) এদের মধ্যে কে অ্যাম্পেয়ার, কে রেফারি? পাগল: এদের কাছে কোনো বল দেখতাছিনা। আমি : ভাল মত দেখ, দেখতে পাবা। পাগল: তাহলে দুইজনই রেফারি, একজনকে অ্যাম্পেয়ারও বলতে পারেন।

আমি : তুইতো ভবের পাগল? কই থাকস? পাগল: চাঁদপুর। আমি : ঢাকায় আসলি কেন? পাগল: চিড়িয়াখানা দেখতে। চিড়িয়াখানায় য়াইতে কতখন লাগব? আমি : সি.এন.জি যেতে দেড় ঘন্টা, রিক্সায় যেতে ৮-১০ মিনিট। পাগল: আপনারে একটা প্রশ্ন করি? আমি : কর। পাগল: ভারেতর বাপের নাম কি? আমি : আমেরিকা।

পাগল: হয় নাই, ভারেতর বাপের নাম লুলু পাগল। আপনে কি ছাত্র? আমি : তোর কি মনে হয় আমি এখানে মাইয়া দেখতে আসছি? পাগল: ছাত্র হইলে আপনার বই খাতা কই? আমি : বই হলো আমার মাথা, কলম হলো আমার আঙ্গুল, ইসারায় পড়ালেখা করি। পাগল: বুশরে চিনেন? আমি : আমার uncle হয়। তোর কোন দরকারে লাগবে? লাগলে বল? পাগল: আমি বুশকে জিগামু আমেরিকার লগে আমাদের খেলা কবে? আমি : তোগ দলের অধিনায়ক কে? পাগল: নাসরিন। আমি : সে কি পোলা না মাইয়া? পাগল: মাইয়া আমার পাগলি।

আমি : কই থাকে? পাগল: দোযগে, স্বামীর সাথে। আমি : (২০ টাকা দিয়ে) হোটেলে যাইয়া কিছু খাইয়ানিস। শুরুটা অনেক আন্দের মনে হলেও শেষটা করুনার। এভাবে অনেক নাসরিনের কারনে অনক সুস্থ ছেলে নিজের নাম ভুলে যায়। নিজেকে পাগল বলে  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।