আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দূর্ভাগা

:- ঐ ! কৈ রে তুই ? :- এই তো দোস্ত, আমি ফয়েজ লেক ! জ্যামে পড়ছি । আইতাছি ! :- শালা তাড়াতাড়ি আয় । :- হু । রাখ ! লাফ দিয়ে বিছানা থেকে নামলাম । সকাল ৯ টায় বন্ধুদের সাথে একটা গেট টুগেদার ছিল ।

জিইসি তে । আর এখন বাজে ৮ টা ৫০, আর আমার ঘুম ভাঙ্গছে মাত্র ! ধুর । এই ঘুম আর না ভাঙ্গলেও কি হত ? বিছানা ছেড়ে ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে শার্ট গায়ে দিতে দিতে টয়লেটে ঢুকলাম । প্রকৃতিক কম্ম আর ব্রাশ একসাথে (!) সেরে মুখ টা কোন রকমে ধুয়ে মানিব্যাগটা নিয়ে বেল্ট পড়তে পড়তে বেরিয়ে গেলাম । এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে আজ অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়- হাতেনাতে কথাটার প্রমাণ পেলাম ।

পাক্কা ৩০ মিনিট একে খান মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকেও বাসের দেখা পেলাম না । অথচ অন্যসময় বাসের ঝটলা লাগে এখানে । ঘড়িতে তখন সাড়ে ৯ টা ! আর দেরি করা যায় না । ডান দিকে তাকাতেই একটা রিক্সায় চোখ পড়ল । চালক মাঝ বয়সী, উদাস ভঙ্গিতে বসে সিগারেট ফুঁকছে ।

এগিয়ে গেলাম । :- মামা, যাইবা ? :- কই যাইবেন মামা ? :- একটু জিইসি যাওয়া লাগবো । :- ৮০ ট্যাকা দিতে হইবো ! :- কি কও মামা ? ৫০ টাকা রেট ভাড়া । :- কি যে কন মামা ? হে দিন কি আর আছে ? দিন বদলাইছে না ? বুঝলাম, দিন আসলেই বদলাইছে । বারকেটিং করে শুধু টাইম লসই হবে, কোন লাভ হবে না ।

তাই আর কথা না বাড়িয়ে রিক্সায় চেপে বসলাম । :- চলেন মামা । রিক্সা ঘুরিয়ে যখন চলতে শুরু করলেন, ঠিক তখনই কিছু একটার (!) দিকে চোখ পড়তেই মনের ভিতর ভাবের উদয় হল- মাইরালা ! মোরে মাইরালা ! :- খাড়ান ! খাড়ান মামা ! এক মিনিট খাড়ান ! :- কি হইছে মামা ? :- এক মিনিট ওয়েটান । রিক্সা থেকে নেমে রাস্তার পাশে মুখটা উল্টা চাঁদের মত দুঃখী দুঃখী করে রাখা (!) সুন্দরীটার দিকে এগিয়ে গেলাম । মুখে যথাসম্ভব একটা বিনয়ীর ভাব ফুটিয়ে বললাম- এক্সকিউজ মি ? মেয়েটা একরাশ বিরক্তি নিয়ে আমার দিকে ফিরে তাকাল ।

প্রত্যাশিতই ছিল । কোন সুন্দরী আমার দিকে মোহনীয় ভঙ্গিতে তাকাবে এমনটা কস্মিনকালেও ভাবতে পারি না ! আবার সে বিনয়ী ভাবটা ফুটিয়ে তুলে বললাম- আমি একটা রিক্সা নিয়েছি । আপনি কি আমার সাথে যাবেন ? মেয়ে এমন দৃষ্টিতে তাকাল ! তাতেই বুঝলাম যে আমার বলার মধ্যে বিশাল একটা ভুল হয়েছে ! তাই তাড়াতাড়ি ভুল সংশোধন করে আবার বললাম- দেখুন আমাকে ভুল বুঝবেন না । আপনি তো অনেকক্ষণ ধরে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন । আমিও তো এতক্ষণ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম ।

কিন্তু বাসের তো আজ দেখা নেই । হয়ত লাইনে কোন সমস্যা হয়েছে । তাই হয়ত বাস বন্ধ । এদিকে আপনি বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছেন । ফাইলের মধ্যে প্রবেশপত্র দেখা যাচ্ছে ।

হয়ত আপনার পরীক্ষার দেরি হয়ে যাচ্ছে । তাই বলছিলাম- চাইলে আপনি আমার সাথে যেতে পারেন । মেয়েটার চোখে মুখে দ্বিধান্বিত ভাব দেখা যাচ্ছে । হয়ত আমাকে বিশ্বাস করবে কিনা এই নিয়ে কিন্ঞ্চিত টেনশিত ! আমি ন্যাকামিটা আরেকটু বাড়িয়ে বললাম- এমনিতে এখান থেকে ভাড়া ৫০ টাকা । কিন্তু আজ বাস নেই বলে ৮০ টাকার নিচে যেতে রাজি হচ্ছে না ।

তাই আপনি যদি যেতে চান তাহলে ৫০% ভাড়া শেয়ার করেন তাহলে আপনারও যাওয়া হয় আমারও টাকা কিছু বাঁচে এই আরকি । চাইলে আসতে পারেন ! মেয়েটাকে টাকার কথা না বললেও হত । তবে কেন বলছি তার পেছনে একটা লজিক আছে । কথায় বলে- নারীর মন নাকি স্রষ্টাও বোঝে না ! তারা কোন সময় কিভাবে রিএক্ট করে এটা আগে থেকে ধারণা করা যায় না বলেই এই কথা বলা হয় । মেয়েটাকে ভাড়া শেয়ারের কথা বলার পেছনে আমার লজিকটা হচ্ছে- সুন্দরী মেয়েদের ইগো একটু বেশিই হয় ।

কোন সুন্দরীকে অপরিচিত একটা ছেলে এসে করুণা করবে এটা মেনে নেয়া তার ইগোর প্রতি হুমকিস্বরূপ । ভাড়া শেয়ার কথা এজন্যেই বলা যে- যাতে সে বুঝতে পারে প্রয়োজনটা তার নয়, আমার । আমি তাকে করুণা করছি না, বরং সে গেলে আমারই উপকার হয় ! সুন্দরীরা বোকা হলে তাদের মনটা অনেক দয়ালু হয় ! আমার উপকার করার এমন সুযোগ কি মেয়েটা হাতছাড়া করবে ? কমনসেন্স বলে করবে না । আমি রিক্সার দিকে ফিরে হাঁটছি । মেয়েটা পেছন থেকে ডাকার কথা ।

কিন্তু ডাকছে না কেন ? তাহলে কি আমার আমার লজিকে ভুল ছিল নাকি কমনসেন্স ফেল মারল । রিক্সায় উঠব ঠিক এমন সময়ই কাঙ্খিত ডাকটি এল- শুনুন.... আমি তো এটার জন্যই তৈরি ছিলাম । সাথে সাথেই ঘুরে বললাম- জ্বি বলুন.... মেয়ে এগিয়ে এসে নাভার্স ভাবটা অক্ষুণ্ন রেখেই বলল- চলুন.... হে হে ! লজিক তাইলে ঠিকই আছে । রিক্সায় উঠবো এমন সময় রিক্সাওয়ালা মামা বেঁকে বসল । ঠোঁটের কোণায় হাসি ফুটিয়ে তিনিও ন্যাকামি শুরু করলেন ! :- মামা, কামটা কিন্তু ঠিক হইল না ! :- কোন কামটা মামা ? :- একজন যাইবেন বলে রিক্সা ঠিক করছেন কিন্তু এখন যাইতেছেন দুজন ! :- তাতে কি ? একজন আর দুজনের ভাড়া তো একই ! তিনজন হইলে এ না কথা ছিল ! :- ভাড়া কিন্তু বাড়াইয়্যা দিতে অইবো ! :- আইচ্ছা দেখা যাইবো নে, এখন চলেন.... রিক্সা চলতে শুরু করল ।

আমি ভেতরে ভেতরে পাশ্ববর্তীনীর সাথে কথা বলার তাগাদা অনুভব করলাম । :- আপনার নামটা কি জানতে পারি ? :- কেন ? :- না মানে.... একই রিক্সায় যাচ্ছি তো । তাই... :- একই রিক্সায় চড়তে হলে নাম জানতে হবে- এমনটা কি কোন আইনে উল্লেখ আছে ? :- না না ! তা থাকবে কেন ? হঠাত্‍ করেই কথা বলার উত্‍সাহ হারিয়ে ফেলে চুপসে গেলাম । আর আমার চুপসে যাওয়া দেখে রিক্সাওয়ালা মিটিমিটি করে হাসছে । ব্যাটা হারামি একটা !! :@ দুজন রিকশায় মুখ দুদিকে করে বসে আছি ।

কারো মুখে কোন কথা নাই ! যে সময়টা উপভোগ্য হওয়ার কথা ছিল সেটাই হল চরম বিরক্তিকর । হঠাত্‍ ধরণী দ্বিধা হল আই মিন উঁচা হল !! ঘটনাটা খুলেই বলি । রিকসা তখন আকবর শাহ মাজারের কাছাকাছি । প্রচন্ড গতিতে ছুটছে । রাস্তা ফ্রি বলে রিকসাওয়ালা মামাও কোন দিকে খেয়াল না করেই চোখ বুজে টানছে ।

ফলে যা হবার তাই হল । ঘন্টায় চল্লিশ মাইল বেগে এক স্পীড ব্রেকারের উপর দিয়ে তিনি রিকসা তুলে দিলেন আর আমরা দুজন বসা অবস্থা থেকে লাফ দিয়ে ৬ ইন্ঞ্চি উপরে উঠে গেলাম ! মেয়েটা ভয় পেয়ে ছোট্ট একটা চিত্‍কার দিয়ে শক্ত করে আমার হাত ধরে বসল ! একটু পরে স্বাভাবিক হয়ে রিকসাওয়ালাকে ঝাড়তে শুরু করল ! মেয়েটা যা ঝাড়তে পারে ! ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ঝাড়ুদারীনী হবে !! (:পি) ব্যথা+ভয় আমিও পেয়েছি । তাই আমার কিছু বলা উচিত ! কিন্তু আমার মধ্য তখন রোমান্টিসিজম ভর করেছে ! মেয়েটা যে এখনো আমার হাত ধরে বসে আছে ! মনে মনে মামাকে থ্যাংকস দিলাম ! মাম্মা, আরেকটা ঝাঁকি, প্লিজ ! আমার নির্লিপ্ত ভাব দেখেই বোধহয় মেয়েটার হুঁশ হল । সে আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বলল- স্যরি ! কেউ 'স্যরি' বললে তাকে 'ইটস ওকে' বলতে হয় । এটাই ম্যানার ।

কিন্তু আমি মুখে ভাব বজায় রেখে বসে রইলাম । চাইছিলাম মেয়েটাই যেন কথা শুরু করে ! করলও ! :- আমি কিন্তু স্যরি বলেছি ! :- তো ? :- কেউ স্যরি বললে তাকে ইটস ওকে বলতে হয় । এটাকে নূন্যতম কার্টেসি বলে । :- পাশাপাশি দুজন যাত্রাসঙ্গী পরিচিত হওয়াও নূন্যতম কার্টেসির ভিতরেই পড়ে ! একটু খোঁচা মেরেই কথাটা বললাম । যাতে মেয়েটা বুঝতে পারে যে, তার প্রারম্ভিক আচরণ আমার পছন্দ হয় নি ! :- ওহ ! রাগ করে আছেন বুঝি ? :- আমার রাগ এত সস্তা না ।

এসব ছোটখাটো বিষয়ে রাগার টাইম নাই ! :- তাহলে মুখটা এমন হুঁতুম পেঁচার মত 'ওফফ' করে রেখেছেন কেন ? বলেই মেয়েটা ফিক করে হেসে দিল । হাসবো না হাসবো না করেও হেসে দিলাম ! হাসি মারাত্মক এক সংক্রামক ব্যধি । এক ড্রাম রাগও এক ফোঁটা হাসির কাছে ম্লান হয়ে যায় ! মেয়েটাই আবার কথা শুরু করল । :- আজ কেমেস্ট্রি এক্সাম । কিন্তু প্রিপারেশান একদমই খারাপ ।

এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে । তার উপর গাড়িও পাচ্ছিলাম না । সবকিছু মিলিয়ে মেজাজটা বিগড়ে ছিল । তাই তখন ওরকম করেছিলাম । কিছু মনে করবেন না প্লিজ ! :- ইটস ওকে ।

ব্যাপার না । :- আমি ঐন্দ্রিলা । আপনি ? :- আমি মানুষ । :- হি হি হি ! সেটা তো আমিও দেখছি । আমি আসলে আপনার নাম জিজ্ঞাসা করেছিলাম ! :- ও ।

আমি ইমন । কোথায় থাকেন আপনি ? :- আমি সাগরিকা রোড়ে থাকি । আপনি ? :- আমি কৈবল্যধামে । সাগরিকা রোড়ে তো আমার প্রায়ই যাওয়া হয় । আপনাকে কখনো দেখি নি তো ! :- দেখার কথাও না ।

আমি তো সারাদিন রোড়ে রোড়ে টাং টাং করি না ! :- হুম । তা অবশ্য ঠিক । আমি আসলে ঠিক আপনাদের বাসার লোকেশানটা জানতে চাচ্ছিলাম ! :- আপনাদের ছেলেদের সমস্যাটা কি জানেন ? আপনারা বসতে পেলে শুতে চান । :- মানে ? :- মানে ? এখন বাসার লোকেশান চাইলেন । তারপর নামার সময় ফোন নাম্বার চাইবেন ! কাল থেকে সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে বাসার সামনে গিয়ে আড্ডা মারবেন ! রাইতে বিরাইতে ফোন দিয়ে 'জানু, ভাত খাইছো ?' টাইপ ডায়ালগ মারবেন ! কলেজ ছুটি হওয়ার সময় হা করে গেইটে দাঁড়িয়ে থাকবেন ! আপনাদের মত ছেলেদের আমি ভাল করেই চিনি ।

অবশ্য আপনাদের আর কি দোষ ? আপনাদের কারেক্টারই এমন !! আমি পুরাই হতবিহ্বল । খাঁটি বাংলায় যেটাকে বলে 'তাব্বুশ' !! তেরি মাকি আঁখ ! পাইছস কি তুই ? দায়া করে তোরে লিফট দিছি ! একটা থ্যাংকস দিবি তা না । সে প্রথম থেকেই পটর পটর করে যাইতেছস ! এদিকে বেয়াদপ রিক্সাওয়ালাটাও কুটকুট করে হাসছে । ইচ্ছা করতেছে দুইটারেই থাপ্পর লাগাই ! কিন্তু আমি কিছুই করলাম না । সৃষ্টিকর্তা আমাকে একটি খুবসুরত্‍ চেহারা না দিক ! চরম বিপদেও মাথা ঠান্ডা রাখার আজব এক গুণ দিয়েছেন ।

তাই মেয়েটার সব কথা কানের এক পাশ দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য পাশ দিয়ে বের করে দিলাম । মুখে আগের মতই সেই 'মাসুম' ভঙ্গিমাটা ফুটিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে বললাম- না না ! আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন ! আমার সেই রকম কোন উদ্দেশ্য ছিল না ! :- তা আপনার কি রকম উদ্দেশ্য ছিল তাহলে ? :- আসলে বাসায় আমার ছোট চাচার জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছে । আপনি যদি আপনার বাসার লোকেশানটা দিতেন, তাহলে আব্বু আর দাদুকে নিয়ে চাচার জন্য আপনাদের বাসায় যেতাম আরকি !! (:পি) রিক্সাওয়ালা এতক্ষণ কুটকুট করে হাসছিল । আমার কথা শুনে আর কুটকুটে ভাবটা ধরে রাখতে পারল না ! হো হো করে হেসে উঠল । হাসবে না ? 'আনক্লিনড ব্যাম্বু কাটিং ফ্রম বাঁশঝাড়' আর কাকে বলে ! আমি মুখে সেই চিরায়ত ভঙ্গি ফুটিয়ে বললাম- মামা, হাসো কেন ? :- আপনের কথা শুনে, মামা ! :- আমি হাসির কি বললাম ! উনাকে আমার চাচার সাথে কিন্তু সেইরকম মানাবে ! :- হো হো হো ! :- হাইস্যো না ! দেইখ্যা চালাও ! ঐন্দ্রিলার দিকে তাকাতে সাহস পেলাম না ।

তবে না তাকিয়েই বুঝলাম সে আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করছে ! মানুষের চোখ দিয়ে যদি লেজার বীম বের হওয়ার সুযোগ থাকত তবে এতক্ষণে আমি পাউডার হয়ে যেতাম ! মেয়েটার সাথে আর কথা বলার সাহস করলাম না । সেও কিছু বলল না । রিক্সার টুনটাং শব্দ ছাড়াও তার নিশ্বাসের ফোঁস ফোঁস শব্দও কানে আসছে ! যাক ভাবা, ভালই ক্ষেপছে ! আমার সাথে গিরিঙ্গিবাজি ! (:বি) উইমেন কলেজের সামনে ঐন্দ্রিলা নেমে গেল । জানি মেয়েটার হৃদয় ভেঙ্গে খান খান (শাহরুখ খান) হয়ে গেছে । ফেবিকল দিয়েও আর জোড়া লাগবে না ।

তাই কিছু উসুল করার এই সুযোগ ! মিনমিন করে বললাম- ইয়ে ভাড়াটা.... ঐন্দ্রিলা তার অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে আরেকবার তাকাল । আমি নিশ্চিত এই দৃষ্টি নিয়ে যদি কোন প্রতিপক্ষ তাকাত তবে মোহাম্মদ আলীরও বুক ধক করে উঠত ! আমি কোথাকার চুনোপুঁটি !? তাই আরেকবার মিনমিন করে বললাম- মামা চলেন যাই ! আমার চল্লিশটা টাকা জলেই গেল !! ভাড়া দেয়ার সময় রিক্সাওয়ালা মুচকি হেসে বলল- মামা, জব্বর একটা কাজ করছেন ! এই পর্যন্ত রিকসায় যত জুটিরে বসাইলাম, সবসময়ই দেখছি মেয়েগুলাই শুধু ছেলেগুলারে বাঁশ দে ! আর ছেলেগুলার আবালের মত তাদের বাঁশ খাইয়্যাও হাসে ! হেগো মত বড় দুর্ভাগা আর নাই । আমার দেখা আপনেই পরথম পোলা যিনি এই মাইয়্যাডারে এত বড় বাঁশ দিলেন ! এক্কেবারে চাচী বানাইয়্যা দিলেন ! (:ডি) পরথম বাঁশ দেয়ার আনন্দ মুখে ফুটিয়ে বললাম- দোয়া কইরেন মামা এই রকম যাতে সবসময়ই দিতে পারি ! চলে আসতে আসতে মনে মনে বললাম- মামা, আপনারে তো একটা কথা বলাই হয় নাই । এইরকম পথে ঘাটে অপরিচিত কোন মেয়েরে ধরে বাঁশ দিয়ে নিজেরে বীরপুরুষ জাহির করার কোন ইচ্ছাই আমার কোন কালে ছিল না । আমিও তো চেয়েছিলাম সেইসব আবালদের মত সকাল বিকাল কেউ একজনের ঝাড়ি খাইতে ।

ঝাড়ি খাইয়্যাও মুক বাঁকা করার বদলে মুখ কেলিয়ে হাসতে । কিন্তু আমার বড়ই দুর্ভাগ্য যে আমি সেইরকম 'দুর্ভাগা' হতে পারলাম না । কেন আমার এই দুর্ভাগ্যটা হল না !?? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।