আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমির আহমদ শফীর কোন ধর্মীয় জ্ঞান আছে বলে মনে হয় না। ইসলামের অপব্যবহার করার জন্য শফীকে গ্রেফতার করা উচিত!!!

বেপোয়া মানুষ আমির আহমদ শফীর কোন ধর্মীয় জ্ঞান আছে বলে মনে হয় না। ইসলামের অপব্যবহার করার জন্য শফীকে গ্রেফতার করা উচিত!!! হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর কোন ধর্মীয় জ্ঞান আছে বলে মনে হয় না। যদি তিনি কোরান হাদীস বুঝতেন তাহলে নারীকে নিয়ে এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিতেন না। ইসলামের নাম ব্যবহার করে তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এ জন্য শফীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত।

অনেক বিশিষ্ট আলেমগণ আমির আহমদ শফীর ইসলামী জ্ঞান বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। ইসলামে নারীর মর্যাদা যে ভাবে দেওয়া হয়েছে তাথেকে হেয় করে তিনি নারীদেরকে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা সারা বিশ্বের কাছে তাদেরকে খেলনা পুতুল বানিয়েছেন। আজ আমির আহমদ শফীর জন্য দেশের আলেম সমাজ লজ্জিত। আলেমগণ বলেন, শফী জাতির জন্য সংক্রামক ব্যাধি। নারীরা ঘরের বাইরে যেতে পারবে না এমন বক্তব্য সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী।

হেফাজত আমির আহমদ শফীর বক্তব্য ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। দেশের অর্থনীতি ও বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সর্বোচ্চ খাত পোশাক শিল্প। এ শিল্পকে নারীরাই বাঁচিয়ে রেখেছে। নারীদের শ্রমের বিনিময়ে দেশ এগিয়ে চলছে। নারীদের নিয়ে আহমদ শফী প্রকাশ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিশ্লেষণ করলে বুঝতে কষ্ট হয় না যে তিনি একটি সম্প্রদায়ের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছেন।

শুধু তাই নয়, আহমদ শফী নিজের স্বার্থেই ইসলামকে ব্যবহার করছেন বলে বুঝা যায়। ধর্মকে নিজের স্বার্থে বা রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করলে সত্য কথাটা বলা যায় না। অতীতে একশ্রেণীর আলেম একসময় ইংরেজী শিক্ষাকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল। সরলপ্রাণ মুসলমানরা সেই ফতোয়া গ্রহণ করে বরং পিছিয়ে পড়েছে। মুসলমানদের সম্মানজনক অবস্থান থেকে বঞ্চিত করার পরিকল্পনাই তখন বাস্তবায়িত হয়েছে ঐ ধরনের ফতোয়ার মধ্য দিয়ে।

একজন নারীর পক্ষে আরেক নারী চিকিৎসকের কাছে শারীরিক সমস্যার কথা যেভাবে তুলে ধরা সম্ভব তা পুরুষ চিকিৎসকের কাছে বলা সম্ভব নয়। আহমেদ শফী নারী চিকিৎসকদের বিষয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা নিঃসন্দেহে তার নারীদের উচ্চশিক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান। আহমদ শফীর নারীবিদ্বেষী বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে যায়, তারা কওমি মাদ্রাসাগুলোতে কী শিক্ষা দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এ ধরনের কওমি মাদ্রাসাগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি আরোপ করা সরকারের একান্ত প্রয়োজন। আহমদ শফী যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে তিনি আফগানিস্তান থেকে এসে কথা বলছেন।

এ ধরনের ব্যক্তিকে ‘আল্লামা’ আখ্যায়িত করা দেশের আলেম সমাজের জন্যই লজ্জাকর। তিনি আল্লামা নন, বরং একজন জঙ্গী নেতা। হেফাজতে ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র করছে। তারা ইসলামের শত্রু। এই কওমিরা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

রাজনীতির খাতিরে এই জঙ্গী নেতাকে যারা সমর্থন দিচ্ছেন তারাও ভাল করছেন না। এ ধরনের জঙ্গী মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক ও নৈতিক সহযোগিতা প্রদান না করার জন্য এদেশের সর্বস্তরের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি আহ্বান রইল। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।